করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে

এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হচ্ছে ডেঙ্গুর মৌসুম। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পিক টাইমও শুরু। করোনা সংকটে ডেঙ্গুর বিষয়টি অনেকটা ঢিলেঢালা। এমন পরিস্থিতি হলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে অনেক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হয় সেপ্টেম্বরে। ইতোমধ্যে মশার কামড়ে প্রতিদিনই শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের খবর আসছে। চলতি বছরের ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিষয়টি উদ্বেগের। এখনই মশক নিধনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এখনও ডেঙ্গুজ্বরের কোন প্রতিষেধক বের করতে পারেনি সরকার। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, সাধারণত জুন-জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার থাকে। তবে জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত পরিস্থিতি বেশি খারাপ থাকে। মূলত মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব এবং মানুষের অসচেতনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী।

হঠাৎ থেমে থেমে স্বল্পমেয়াদি বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা পায়। ফলে এডিস মশার বিস্তারও ঘটে বেশি। মশা যত বেশি হবে ডেঙ্গুর হারও তত বাড়বে। উৎস বন্ধ করতে না পারলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি থেকেই যাবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনের তেমন কোন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি। এখন থেকে দুই সিটি করপোরেশন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে টেকসই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। নইলে এবার গত বছরের চেয়ে চরম মূল্য দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টি হলে এ সমস্যা আরও বাড়বে। কাজেই দেরি না করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রথমত, সব খানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এডিস মশা নিধন এবং এডিসের বংশ বিস্তার রোধে জোরদার অভিযান পরিচালনা করবে- এ প্রত্যাশা নগরবাসীর। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি, ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা, ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করাও দরকার।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে

এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হচ্ছে ডেঙ্গুর মৌসুম। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পিক টাইমও শুরু। করোনা সংকটে ডেঙ্গুর বিষয়টি অনেকটা ঢিলেঢালা। এমন পরিস্থিতি হলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে অনেক মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হয় সেপ্টেম্বরে। ইতোমধ্যে মশার কামড়ে প্রতিদিনই শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের খবর আসছে। চলতি বছরের ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিষয়টি উদ্বেগের। এখনই মশক নিধনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এখনও ডেঙ্গুজ্বরের কোন প্রতিষেধক বের করতে পারেনি সরকার। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, সাধারণত জুন-জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার থাকে। তবে জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত পরিস্থিতি বেশি খারাপ থাকে। মূলত মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব এবং মানুষের অসচেতনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য দায়ী।

হঠাৎ থেমে থেমে স্বল্পমেয়াদি বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা পায়। ফলে এডিস মশার বিস্তারও ঘটে বেশি। মশা যত বেশি হবে ডেঙ্গুর হারও তত বাড়বে। উৎস বন্ধ করতে না পারলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি থেকেই যাবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনের তেমন কোন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি। এখন থেকে দুই সিটি করপোরেশন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে টেকসই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। নইলে এবার গত বছরের চেয়ে চরম মূল্য দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টি হলে এ সমস্যা আরও বাড়বে। কাজেই দেরি না করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রথমত, সব খানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এডিস মশা নিধন এবং এডিসের বংশ বিস্তার রোধে জোরদার অভিযান পরিচালনা করবে- এ প্রত্যাশা নগরবাসীর। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি, ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা, ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করাও দরকার।