নয় জেলায় পুলিশসহ শনাক্ত ৮৯

বাগেরহাটে এসআইসহ ১০

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট সদর মডেল থানার একজন এসআইসহ জেলায় নতুন করে ১০ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত এ নিয়ে বাগেরহাট জেলায় মোট ৭৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জরুরী সভা করেছে। জেলা শহরে লোক সমাগম ঠেকাতে বাগেরহাট পৌরসভা ও ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে পৌরসভায় মিটিং করে দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমাউন কবির জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ল্যাব থেকে জেলায় আরও ১০ জন নতুন করোনা পজিটিভ হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে।

কিশোরগঞ্জে ২৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মে. ক. হাসপাতালের ল্যাব থেকে শনিবার রাতে ৯৪টি নমুনার ফলাফল জানানো হয়েছে। তাতে সদর উপজেলায় ১৯ জন, পাকুন্দিয়া ও নিকলীতে দু’জন করে এবং হোসেনপুরে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭০টি নমুনা নেগেটিভ হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে মোট ৮৭৯ জনের করোনা হলো। তবে এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৭৫ জন, আর মারা গেছেন ১৭ জন।

ঝালকাঠিতে ৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

গত শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিত করোনাভাইরাসে নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৮১ জন আক্রান্ত হলো। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় ৩৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ও পলাতক রয়েছেন একজন। এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০ জন, নলছিটিতে ২৩, রাজাপুরে ১৮ ও কাঠালিয়ায় ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

পঞ্চগড়ে ৮

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো আটজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৯ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান। তিনি জানান, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দেবীগঞ্জ উপজেলার সাতজন ও পঞ্চগড় সদর উপজেলায় একজন। সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ১৮৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর ১৫৫৫ জনের রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে ১০৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। জেলার ১০৯ জন আক্রান্তের মধ্যে তেঁতুলিয়ায় ১৩ জন, সদরে ৩৪, আটোয়ারীতে ৯, বোদায় ৮ এবং দেবীগঞ্জে ৪৫ জন। ইতিমধ্যে জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট ৪১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে বোদা উপজেলার একজন ও দেবীগঞ্জ উপজেলার একজন।

নওগাঁয় পুলিশসহ ১৩

প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁয় দুই পুলিশসহ জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৪ জন এবং মহাদেবপুর ও সাপাহার উপজেলায় ১ জন করে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৮ জন।

সিভিল সার্জন ডা. আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে ১৩৩ জনকে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৮ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২ জন, মান্দা উপজেলায় ৭ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২৪ জন, পত্মীতলা উপজেলায় ১ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১২ জেন, সাপাহার উপজেলায় ৯ জন এবং পোরশা উপজেলায় ১০ জন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় ৮ হাজার ৮শ ৯৫ জনকে।

দোহার-নবাবাগঞ্জে ১৫

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

দোহার উপজেলায় নতুন করে আরও ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দোহার উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত মোট ১৬৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ মৃত্যুবরণ করেছে দুইজন। সুস্থ হয়েছে ৪২ জন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার রাতে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান, গত ৮ জুন ঢাকায় পাঠানো ২৫ জনের নমুনা থেকে ৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলার সুতারপাড়া ২, রাইপাড়া২ এবং নারিশা ২ জন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ৬ জনের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এদিকে নবাবগঞ্জে নতুন করে আরও ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মির্জাপুরে ১১

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মা-ছেলে, ভাই-বোনসহ সর্বোচ্চ ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭৫ জন। গতকাল রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ৭ জুন ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। রোববার তাদের মধ্যে ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্তের খবর পায় তারা। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স (পুরুষ) মারা গেছেন।

খোকসায় গার্মেন্ট কর্মী

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

খোকসায় নতুন করে দারাগ আলী (৩৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ জন। আক্রান্ত বাকি ১২ জনের মধ্যে এক জন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে এবং অন্যরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত শনিবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। করোনা আক্রান্ত ওই গার্মেন্টস কর্মী উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের দেলোয়ার আলীর ছেলে । জানা গেছে, ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে তিনি বাড়িতে আসলে বেশ কিছু উপসর্গ তার মধ্যে দেখা দেয়।

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল জানান, ১২ জুন শুক্রবার খোকসা থেকে মোট ১১টা নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে শনিবার বিকেল পাঁচটায় এক জনের করোনা পজিটিভ ধরা পরে।

গোয়ালন্দে একজন

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম আলমাস মোল্লা (৭৫)। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বকারটিলা গ্রামের বাসিন্দা। সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী সোহেল রানার বাবা আলমাস মোল্লার শরীরে কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তীতে গত ৮ জুন তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে তার করোনার পজিটিভ হিসেবে রিপোর্ট আসলে বিষয়টি জানার পর জেলার সিভিল সার্জ ডা. মো. নুরুল ইসলামকে অবগত করা হয়। পরবর্তীতে সিভিল সার্জনের পরামর্শে শনিবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে এনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ২৩ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার তিন দিন পর করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১

নয় জেলায় পুলিশসহ শনাক্ত ৮৯

বাগেরহাটে এসআইসহ ১০

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট সদর মডেল থানার একজন এসআইসহ জেলায় নতুন করে ১০ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত এ নিয়ে বাগেরহাট জেলায় মোট ৭৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জরুরী সভা করেছে। জেলা শহরে লোক সমাগম ঠেকাতে বাগেরহাট পৌরসভা ও ব্যবসায়ী সংগঠন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে পৌরসভায় মিটিং করে দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমাউন কবির জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ল্যাব থেকে জেলায় আরও ১০ জন নতুন করোনা পজিটিভ হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে।

কিশোরগঞ্জে ২৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মে. ক. হাসপাতালের ল্যাব থেকে শনিবার রাতে ৯৪টি নমুনার ফলাফল জানানো হয়েছে। তাতে সদর উপজেলায় ১৯ জন, পাকুন্দিয়া ও নিকলীতে দু’জন করে এবং হোসেনপুরে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭০টি নমুনা নেগেটিভ হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে মোট ৮৭৯ জনের করোনা হলো। তবে এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৭৫ জন, আর মারা গেছেন ১৭ জন।

ঝালকাঠিতে ৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

গত শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিত করোনাভাইরাসে নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৮১ জন আক্রান্ত হলো। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় ৩৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ও পলাতক রয়েছেন একজন। এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০ জন, নলছিটিতে ২৩, রাজাপুরে ১৮ ও কাঠালিয়ায় ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

পঞ্চগড়ে ৮

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো আটজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৯ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান। তিনি জানান, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দেবীগঞ্জ উপজেলার সাতজন ও পঞ্চগড় সদর উপজেলায় একজন। সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ১৮৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর ১৫৫৫ জনের রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে ১০৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। জেলার ১০৯ জন আক্রান্তের মধ্যে তেঁতুলিয়ায় ১৩ জন, সদরে ৩৪, আটোয়ারীতে ৯, বোদায় ৮ এবং দেবীগঞ্জে ৪৫ জন। ইতিমধ্যে জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট ৪১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে বোদা উপজেলার একজন ও দেবীগঞ্জ উপজেলার একজন।

নওগাঁয় পুলিশসহ ১৩

প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁয় দুই পুলিশসহ জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৪ জন এবং মহাদেবপুর ও সাপাহার উপজেলায় ১ জন করে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৮ জন।

সিভিল সার্জন ডা. আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে ১৩৩ জনকে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৮ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২ জন, মান্দা উপজেলায় ৭ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২৪ জন, পত্মীতলা উপজেলায় ১ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১২ জেন, সাপাহার উপজেলায় ৯ জন এবং পোরশা উপজেলায় ১০ জন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় ৮ হাজার ৮শ ৯৫ জনকে।

দোহার-নবাবাগঞ্জে ১৫

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

দোহার উপজেলায় নতুন করে আরও ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দোহার উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত মোট ১৬৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ মৃত্যুবরণ করেছে দুইজন। সুস্থ হয়েছে ৪২ জন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার রাতে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান, গত ৮ জুন ঢাকায় পাঠানো ২৫ জনের নমুনা থেকে ৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলার সুতারপাড়া ২, রাইপাড়া২ এবং নারিশা ২ জন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ৬ জনের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এদিকে নবাবগঞ্জে নতুন করে আরও ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মির্জাপুরে ১১

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মা-ছেলে, ভাই-বোনসহ সর্বোচ্চ ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭৫ জন। গতকাল রোববার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ৭ জুন ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। রোববার তাদের মধ্যে ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্তের খবর পায় তারা। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স (পুরুষ) মারা গেছেন।

খোকসায় গার্মেন্ট কর্মী

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

খোকসায় নতুন করে দারাগ আলী (৩৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ জন। আক্রান্ত বাকি ১২ জনের মধ্যে এক জন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে এবং অন্যরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত শনিবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। করোনা আক্রান্ত ওই গার্মেন্টস কর্মী উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের দেলোয়ার আলীর ছেলে । জানা গেছে, ৫-৬ দিন আগে ঢাকা থেকে তিনি বাড়িতে আসলে বেশ কিছু উপসর্গ তার মধ্যে দেখা দেয়।

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল জানান, ১২ জুন শুক্রবার খোকসা থেকে মোট ১১টা নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে শনিবার বিকেল পাঁচটায় এক জনের করোনা পজিটিভ ধরা পরে।

গোয়ালন্দে একজন

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম আলমাস মোল্লা (৭৫)। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বকারটিলা গ্রামের বাসিন্দা। সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী সোহেল রানার বাবা আলমাস মোল্লার শরীরে কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরবর্তীতে গত ৮ জুন তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে তার করোনার পজিটিভ হিসেবে রিপোর্ট আসলে বিষয়টি জানার পর জেলার সিভিল সার্জ ডা. মো. নুরুল ইসলামকে অবগত করা হয়। পরবর্তীতে সিভিল সার্জনের পরামর্শে শনিবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে এনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ২৩ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুলের শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার তিন দিন পর করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।