দেশের একমাত্র ‘ওয়াই’ সেতু ভূমিখেকোদের দৌরাত্ম্যে হুমকিতে

শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা-তিতাস সেতু’ নির্মাণের দু’বছরের মাথায় সৌন্দর্য্য কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একদল ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয়দের জোর দাবি ভূমিখেকোদের হাত থেকে সেতু পাড়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে অবিলম্বে সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দেওয়ার।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পূর্ব পাড়ের চরলহনীয়া নামক স্থানে তিতাস নদীর ভিতরে প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে বিশাল বাঁধ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্থাপনা তৈরীর লক্ষে ভরাটের কাজ চলছে। তার পাশেই রয়েছে দু’টি কফি হাউজের স্থাপনা। যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সৌন্দর্য্য হারাতে বসছে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ওয়াই সেতুটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ১০ লক্ষ লোকের যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে হোটেল-মোটেল নির্মাণের পায়তারা করছে কতিপয় প্রভাবশালী। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১

দেশের একমাত্র ‘ওয়াই’ সেতু ভূমিখেকোদের দৌরাত্ম্যে হুমকিতে

প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

image

মুরাদনগর (কুমিল্লা) : ওয়াই আকৃতির সেতুর পাশে বালি দিয়ে বাঁধ -সংবাদ

শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা-তিতাস সেতু’ নির্মাণের দু’বছরের মাথায় সৌন্দর্য্য কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একদল ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্থানীয়দের জোর দাবি ভূমিখেকোদের হাত থেকে সেতু পাড়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার করে অবিলম্বে সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দেওয়ার।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পূর্ব পাড়ের চরলহনীয়া নামক স্থানে তিতাস নদীর ভিতরে প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে বিশাল বাঁধ দিয়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্থাপনা তৈরীর লক্ষে ভরাটের কাজ চলছে। তার পাশেই রয়েছে দু’টি কফি হাউজের স্থাপনা। যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সৌন্দর্য্য হারাতে বসছে দেশের একমাত্র দৃষ্টিনন্দন ওয়াই সেতুটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ১০ লক্ষ লোকের যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে হোটেল-মোটেল নির্মাণের পায়তারা করছে কতিপয় প্রভাবশালী। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।