শেরপুরে তিন এলাকা ‘হটস্পট’

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক বিবেচনায় তিনটি এলাকা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে ঘোষিত করোনার ‘হটস্পট’ এলাকা হলো শেরপুর শহরের উত্তরসাহাপাড়া, স্যান্যালপাড়া ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা। এসব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এদিকে গত পাঁচদিন ধরে এই উপজেলায় করোনা পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হলেও পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসেনি। ফলে এই রোগে আক্রান্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে তাদের নির্বিঘেœ ঘোরাফেরা ও বিচরণ ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে করে সব শ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত এই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫ জন। এরমধ্যে চিকিৎসক, ক্লিনিকের পরিচালক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।

সূত্রটি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৫১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠনো হয়। এরমধ্যে ৩৮০টি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি ৩৯টির রিপোর্টের ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে করোনা পরীক্ষার রির্পোটের ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, একজন ব্যক্তি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল পাওয়া প্রয়োজন। ফলাফল পাওয়া সম্ভব না হলে নতুন করে পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ রোগী শনাক্ত হবে না। ফলে তারা বাইরে স্বাভাবিক কর্মকা- চালিয়ে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা সংক্রমণের দিক বিবেচনায় এনে ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় পাঠানো হচ্ছে। তবে কিছুকিছু নমুনা ঢাকায় পাঠানোর কারণে পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১

শেরপুরে তিন এলাকা ‘হটস্পট’

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক বিবেচনায় তিনটি এলাকা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে ঘোষিত করোনার ‘হটস্পট’ এলাকা হলো শেরপুর শহরের উত্তরসাহাপাড়া, স্যান্যালপাড়া ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা। এসব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এদিকে গত পাঁচদিন ধরে এই উপজেলায় করোনা পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হলেও পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসেনি। ফলে এই রোগে আক্রান্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে তাদের নির্বিঘেœ ঘোরাফেরা ও বিচরণ ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে করে সব শ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত এই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫ জন। এরমধ্যে চিকিৎসক, ক্লিনিকের পরিচালক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।

সূত্রটি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৫১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠনো হয়। এরমধ্যে ৩৮০টি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি ৩৯টির রিপোর্টের ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে করোনা পরীক্ষার রির্পোটের ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, একজন ব্যক্তি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল পাওয়া প্রয়োজন। ফলাফল পাওয়া সম্ভব না হলে নতুন করে পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ রোগী শনাক্ত হবে না। ফলে তারা বাইরে স্বাভাবিক কর্মকা- চালিয়ে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা সংক্রমণের দিক বিবেচনায় এনে ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় পাঠানো হচ্ছে। তবে কিছুকিছু নমুনা ঢাকায় পাঠানোর কারণে পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।