একঝাঁক তরুণের উদ্যোগ

চট্টগ্রামে করোনা আইসোলেশন সেন্টার

১০০ শয্যার মধ্যে প্রস্তুত ৬৫টি : ভর্তি শুরু

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দেয়ায় এবার এক ঝাঁক তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ গড়ে উঠেছে। নগরীর হালিশহরের পোর্ট কানেকটিং সড়কে প্রিন্স অব চিটাগং নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারকে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। করোনা আইসোলেশন সেন্টার, চট্টগ্রাম নামে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন। যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণিসহ সংগঠনটির একদল নেতাকর্মী, ডাক্তার-আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকরাও।

জানা গেছে, ১০০ শয্যার মধ্যে ৬৫ শয্যা প্রস্তুত হয়েছে। বাকি ৩৫টি শয্যা আগামী সপ্তাহে এসে পৌঁছবে। আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার, নেবুলাইজার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে। ১২ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক করোনায় আক্রান্তদের সেবা দেবেন। রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহন করা হবে। আইসোলেশন সেন্টারে তাদের পর্যাপ্ত খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হবে।

জানা গেল, মাত্র ১০ দিনের প্রচেষ্টায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একটি ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ গড়ে তুলেছেন একদল তরুণ-যুবক। তাদের মধ্যে কেউ শিক্ষার্থী, কেউ চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। বিত্তবান ও আগ্রহীদের সহযোগিতা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে তোলা এই আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল থেকে করোনায় আক্রান্তদের ভর্তি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে বলেও জানা গেছে।

সাজ্জাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের চিকিৎসা দিতে ক্রমাগত অসহযোগিতার কারণে মত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে গত এক মাস ধরে। করোনায় আক্রান্তরা তো চিকিৎসা পাচ্ছেনই না, আক্রান্ত নন এমন রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় গত ২৪ মে একটি আইসোলেশন সেন্টার গড়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই। দু’দিন পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন ভাইয়ের মাধ্যমে প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে তার প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারে রাজি করাই। এরমধ্যে আরও ১০-১৫ জন আমার সঙ্গে নিজ আগ্রহে যুক্ত হন। ১ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মপ্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করি। ৪ জুন থেকে আমরা ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার বানানোর কাজে নেমে পড়ি। আইসোলেশন সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, আইসোলেশন সেন্টারে করোনায় আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে এই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য হাহাকার চলছে। এই মুহূর্তে আইসিইউ শয্যার চেয়েও বেশি প্রয়োজন এইডিইউ সেবা। সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রার অক্সিজেন প্রাপ্তি নিশ্চিত করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। ভেন্টিলেটর নয়, হাইফ্লো নজল ক্যানুলা ও নন বিব্রেদার অক্সিজেন মাস্কের প্রাপ্তি নিশ্চিত করলেই তীব্র উপসর্গে ভুগতে থাকা রোগীদের জীবন বাঁচানো সহজতর হবে।

image
আরও খবর
আ’লীগ তথ্য গোপনের রাজনীতি করে না : কাদের
বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক রয়েছে : আতিউর
শিবলী রুবাইয়াতসহ তিনজন হলেন ঢাবি সিন্ডিকেট সদস্য
মৃত্যুর মিছিলে সাবেক সেনাসদস্য, চিকিৎসক আ’লীগ নেতা
মায়ের কবরে শায়িত মোহাম্মদ নাসিম
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহর দাফন সম্পন্ন
করোনাযুদ্ধে মৃত পুলিশ সদস্যের ছেলের জন্মদিনে সহকর্মীরা
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে বাজার
যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মাউন্ট এডোরায় প্লাজমা থেরাপি শুরু
নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান আইজিপির
কার্যকর পদক্ষেপ নিলে ৫ জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো প্রতিবেদন
৫ ডাকাত গ্রেফতার ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত গরুর মৃত্যু

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১

একঝাঁক তরুণের উদ্যোগ

চট্টগ্রামে করোনা আইসোলেশন সেন্টার

১০০ শয্যার মধ্যে প্রস্তুত ৬৫টি : ভর্তি শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো

image

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দেয়ায় এবার এক ঝাঁক তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে একটি ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ গড়ে উঠেছে। নগরীর হালিশহরের পোর্ট কানেকটিং সড়কে প্রিন্স অব চিটাগং নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারকে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। করোনা আইসোলেশন সেন্টার, চট্টগ্রাম নামে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন। যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণিসহ সংগঠনটির একদল নেতাকর্মী, ডাক্তার-আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকরাও।

জানা গেছে, ১০০ শয্যার মধ্যে ৬৫ শয্যা প্রস্তুত হয়েছে। বাকি ৩৫টি শয্যা আগামী সপ্তাহে এসে পৌঁছবে। আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার, নেবুলাইজার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে। ১২ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক করোনায় আক্রান্তদের সেবা দেবেন। রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহন করা হবে। আইসোলেশন সেন্টারে তাদের পর্যাপ্ত খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হবে।

জানা গেল, মাত্র ১০ দিনের প্রচেষ্টায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একটি ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার’ গড়ে তুলেছেন একদল তরুণ-যুবক। তাদের মধ্যে কেউ শিক্ষার্থী, কেউ চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। বিত্তবান ও আগ্রহীদের সহযোগিতা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে তোলা এই আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল থেকে করোনায় আক্রান্তদের ভর্তি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে বলেও জানা গেছে।

সাজ্জাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের চিকিৎসা দিতে ক্রমাগত অসহযোগিতার কারণে মত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে গত এক মাস ধরে। করোনায় আক্রান্তরা তো চিকিৎসা পাচ্ছেনই না, আক্রান্ত নন এমন রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় গত ২৪ মে একটি আইসোলেশন সেন্টার গড়ার আগ্রহের কথা জানিয়ে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই। দু’দিন পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন ভাইয়ের মাধ্যমে প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে তার প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারে রাজি করাই। এরমধ্যে আরও ১০-১৫ জন আমার সঙ্গে নিজ আগ্রহে যুক্ত হন। ১ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মপ্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করি। ৪ জুন থেকে আমরা ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার বানানোর কাজে নেমে পড়ি। আইসোলেশন সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, আইসোলেশন সেন্টারে করোনায় আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে এই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য হাহাকার চলছে। এই মুহূর্তে আইসিইউ শয্যার চেয়েও বেশি প্রয়োজন এইডিইউ সেবা। সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রার অক্সিজেন প্রাপ্তি নিশ্চিত করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। ভেন্টিলেটর নয়, হাইফ্লো নজল ক্যানুলা ও নন বিব্রেদার অক্সিজেন মাস্কের প্রাপ্তি নিশ্চিত করলেই তীব্র উপসর্গে ভুগতে থাকা রোগীদের জীবন বাঁচানো সহজতর হবে।