বনানীতে

মায়ের কবরে শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে গতকাল বনানীতে মায়ের কবরে দাফন করা হয়েছে। বনানী কবরস্থান মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মা আমেনা মনসুরের কবরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তর, কেন্দ্রীয় ১৪ দল, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মরহুমের প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মোহাম্মদ নাসিমের বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয়সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেয়া হয়।

এর আগে গতকাল সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দাফনের আগে তানভীর শাকিল জয় মোহাম্মদ নাসিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। গত শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম এম মনসুর আলী ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন। মোহাম্মদ নাসিমের মায়ের নাম মোসাম্মৎ আমিনা খাতুন, যিনি আমেনা মনসুর হিসেবেই পরিচিত। তিনি একজন গৃহিণী ছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।

image

দাফনের আগে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি জানানো হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা -সংবাদ

আরও খবর
আ’লীগ তথ্য গোপনের রাজনীতি করে না : কাদের
বাজেটে লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক রয়েছে : আতিউর
চট্টগ্রামে করোনা আইসোলেশন সেন্টার
শিবলী রুবাইয়াতসহ তিনজন হলেন ঢাবি সিন্ডিকেট সদস্য
মৃত্যুর মিছিলে সাবেক সেনাসদস্য, চিকিৎসক আ’লীগ নেতা
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহর দাফন সম্পন্ন
করোনাযুদ্ধে মৃত পুলিশ সদস্যের ছেলের জন্মদিনে সহকর্মীরা
বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে বাজার
যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মাউন্ট এডোরায় প্লাজমা থেরাপি শুরু
নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান আইজিপির
কার্যকর পদক্ষেপ নিলে ৫ জনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো প্রতিবেদন
৫ ডাকাত গ্রেফতার ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত গরুর মৃত্যু

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১

বনানীতে

মায়ের কবরে শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দাফনের আগে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি জানানো হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা -সংবাদ

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে গতকাল বনানীতে মায়ের কবরে দাফন করা হয়েছে। বনানী কবরস্থান মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মা আমেনা মনসুরের কবরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তর, কেন্দ্রীয় ১৪ দল, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মরহুমের প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মোহাম্মদ নাসিমের বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয়সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেয়া হয়।

এর আগে গতকাল সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দাফনের আগে তানভীর শাকিল জয় মোহাম্মদ নাসিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। গত শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম এম মনসুর আলী ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন। মোহাম্মদ নাসিমের মায়ের নাম মোসাম্মৎ আমিনা খাতুন, যিনি আমেনা মনসুর হিসেবেই পরিচিত। তিনি একজন গৃহিণী ছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।