জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বাদ আসর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কেকানিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গত শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি.... রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ২ স্ত্রী, ৯ কন্যা, ১ পুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমদেনা জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক সৈকত সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুপুরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মরদেহ ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে নেয়া হয়। বাদ আসর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কেকানিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও গোপালগঞ্জের সবার প্রিয় মুখ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর খবরে জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।
অ্যাম্বুলেন্সে করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে সরাসরি তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কেকানিয়া গ্রামে এসে পৌঁছায়। বিকেল ৫টার দিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামের বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্য, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও গ্রামবাসী জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ , ১ আষাঢ় ১৪২৭, ২২ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বাদ আসর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কেকানিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গত শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি.... রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ২ স্ত্রী, ৯ কন্যা, ১ পুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমদেনা জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক সৈকত সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুপুরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মরদেহ ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে নেয়া হয়। বাদ আসর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কেকানিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও গোপালগঞ্জের সবার প্রিয় মুখ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর খবরে জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।
অ্যাম্বুলেন্সে করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে সরাসরি তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কেকানিয়া গ্রামে এসে পৌঁছায়। বিকেল ৫টার দিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামের বাড়ির মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্য, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও গ্রামবাসী জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।