পাল্টে দেয়া হচ্ছে বিছানার চাদর। ঝাড়ু হাতে ফ্লোর পরিষ্কার করছেন মেয়র। সঙ্গে থাকা কারও হাতে ময়লা রাখার বস্তা। কেউ জীবাণুনাশক ছিটিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারও ব্যস্ততা সিলিং ফ্যান, বৈদ্যুতিক বাতি নতুন করে লাগানোর কাজে। কেউ করছেন মেরামত। আগাছা পরিষ্কারের কাজও চলছে যথারীতি।
এভাবে ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় বদলে গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র। উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল সকালে হাসপাতালটিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর পর যেন প্রাণ ফিরে পাওয়ার অবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী সকাল সোয়া ১০টার দিকে পরিচ্ছন্নতার কাজে নামেন। প্রথমেই তারা রোগীদের ওয়ার্ডের ফ্লোর ও টয়লেট পরিষ্কার করেন। সেখানে ২৪টি নতুন বিছানার চাদর, তিনটি সিলিং ফ্যান ও ১৫টি নতুন লাইট নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের নতুন ভবন ও আশপাশেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। জেলা পরিষদ সদস্য মো. আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবদুল মমিন বাবুল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দীপক কুমার ঘোষ, পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মনির খান, আবু কাউছার ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ এতে অংশ নেন। এ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রাশেদুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার শ্যামল কুমার ভৌমিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগ নেতা আবদুল মমিন বাবুল বাবুল বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে সবাই খুব আন্তরিকভাবে এ কাজে অংশ নিয়েছেন। প্রতিমাসেই যুবলীগের উদ্যোগে এটা করা যায় কিনা বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মনির খান বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ। আমরা এটা অব্যাহত রাখবো আশা করি।’
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘মূলত মন্ত্রী মহোদয়ই এ বিষয়ে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। এখন থেকে প্রতি মাসেই হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার কাজটি করবে যুবলীগ। এছাড়া নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরুসহ এক্সরে মেশিন, দাঁতের মেশিন চালুর বিষয়েও মন্ত্রী বিষয়ে কথা বলব।’
মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪
প্রতিনিধি, আখাউড়া
পাল্টে দেয়া হচ্ছে বিছানার চাদর। ঝাড়ু হাতে ফ্লোর পরিষ্কার করছেন মেয়র। সঙ্গে থাকা কারও হাতে ময়লা রাখার বস্তা। কেউ জীবাণুনাশক ছিটিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারও ব্যস্ততা সিলিং ফ্যান, বৈদ্যুতিক বাতি নতুন করে লাগানোর কাজে। কেউ করছেন মেরামত। আগাছা পরিষ্কারের কাজও চলছে যথারীতি।
এভাবে ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় বদলে গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র। উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে গতকাল সকালে হাসপাতালটিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর পর যেন প্রাণ ফিরে পাওয়ার অবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী সকাল সোয়া ১০টার দিকে পরিচ্ছন্নতার কাজে নামেন। প্রথমেই তারা রোগীদের ওয়ার্ডের ফ্লোর ও টয়লেট পরিষ্কার করেন। সেখানে ২৪টি নতুন বিছানার চাদর, তিনটি সিলিং ফ্যান ও ১৫টি নতুন লাইট নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের নতুন ভবন ও আশপাশেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। জেলা পরিষদ সদস্য মো. আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবদুল মমিন বাবুল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দীপক কুমার ঘোষ, পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মনির খান, আবু কাউছার ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ এতে অংশ নেন। এ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রাশেদুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার শ্যামল কুমার ভৌমিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগ নেতা আবদুল মমিন বাবুল বাবুল বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে সবাই খুব আন্তরিকভাবে এ কাজে অংশ নিয়েছেন। প্রতিমাসেই যুবলীগের উদ্যোগে এটা করা যায় কিনা বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মনির খান বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ। আমরা এটা অব্যাহত রাখবো আশা করি।’
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘মূলত মন্ত্রী মহোদয়ই এ বিষয়ে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। এখন থেকে প্রতি মাসেই হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার কাজটি করবে যুবলীগ। এছাড়া নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরুসহ এক্সরে মেশিন, দাঁতের মেশিন চালুর বিষয়েও মন্ত্রী বিষয়ে কথা বলব।’