অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিন

কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় দেশে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে রোগী নিজেই অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করছেন। ভাইরাল রোগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করারও খবর জানা গেছে। এ নিয়ে গত রোববার একটি জাতীয় দৈনিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনে রোগীর অবস্থার উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে অবনতি হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ।

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগ পুরোনো। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপব্যবহারের কারণে অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই কার্যকারিতা হারিয়েছে। অন্যদিকে শক্তিশালী হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা না গেলে আগামীতে হয়তো কোন সুপারবাগ বিশ্বজুড়েই এক মহাবিপর্যয় তৈরি করবে। সারাবিশ্বই আজ অ্যান্টিবায়োটিকসহ ওষুধের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। দেশেও ওষুধের অপব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। তবে কোন পদক্ষেপই যে কার্যকর হয়নি সেটার প্রমাণ হচ্ছে কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার।

মানুষ যে শুধু অপ্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করছে তাই নয়, ওষুধের নির্দিষ্ট কোর্সও সম্পন্ন করছে না। ওষুধের অপব্যবহারের পেছনে একশ্রেণীর ফার্মেসির দায় রয়েছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তারা ওষুধ বিক্রি করে। কোন আইন দিয়ে তাদের নিবৃত্ত করা যায়নি। কারণ আইন আছে শুধু কাগজে। বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। আমরা বলতে চাই, অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। যারা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। চিকিৎসকরা যেন অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব না করেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, যথেচ্ছ ওষুধ সেবনে শরীরে ক্ষতি হয়। এমনিতেই নানা কারণে দেশের জনস্বাস্থ্য নাজুক অবস্থায় আছে। অপ্রয়োজনে ওষুধ সেবন বন্ধ করা না গেলে জনস্বাস্থ্য আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে।

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪

অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিন

কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় দেশে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে রোগী নিজেই অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করছেন। ভাইরাল রোগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করারও খবর জানা গেছে। এ নিয়ে গত রোববার একটি জাতীয় দৈনিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনে রোগীর অবস্থার উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে অবনতি হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ।

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগ পুরোনো। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপব্যবহারের কারণে অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই কার্যকারিতা হারিয়েছে। অন্যদিকে শক্তিশালী হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা না গেলে আগামীতে হয়তো কোন সুপারবাগ বিশ্বজুড়েই এক মহাবিপর্যয় তৈরি করবে। সারাবিশ্বই আজ অ্যান্টিবায়োটিকসহ ওষুধের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। দেশেও ওষুধের অপব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। তবে কোন পদক্ষেপই যে কার্যকর হয়নি সেটার প্রমাণ হচ্ছে কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার।

মানুষ যে শুধু অপ্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করছে তাই নয়, ওষুধের নির্দিষ্ট কোর্সও সম্পন্ন করছে না। ওষুধের অপব্যবহারের পেছনে একশ্রেণীর ফার্মেসির দায় রয়েছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তারা ওষুধ বিক্রি করে। কোন আইন দিয়ে তাদের নিবৃত্ত করা যায়নি। কারণ আইন আছে শুধু কাগজে। বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। আমরা বলতে চাই, অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। যারা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। চিকিৎসকরা যেন অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব না করেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, যথেচ্ছ ওষুধ সেবনে শরীরে ক্ষতি হয়। এমনিতেই নানা কারণে দেশের জনস্বাস্থ্য নাজুক অবস্থায় আছে। অপ্রয়োজনে ওষুধ সেবন বন্ধ করা না গেলে জনস্বাস্থ্য আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে।