বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘ইন্ট্রোডাকশন টু মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। গত ১০ জুন অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) কো-অর্ডিনেটর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, মডার্ন ওয়ার্কপ্লেসের ধারণা অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে। মানুষ প্রতিনিয়ত তার কর্মক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাসায় বসে অফিসের কাজ এমন ধারণা একসময় অমূলক থাকলেও গত দশকে আমরা এর আমূল পরিবর্তন দেখেছি। গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ যতো নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা বহু আগে থেকেই বাসায় বসে কর্মীদের কাজের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তবে বাসায় বসলেইতো আর হবে না। কাজ করার জন্য আপনার বাসার বসার ঘরে আপনার সুযোগ সুবিধা কতটা প্রশস্ত তাও দেখতে হবে। আমি আশা করি প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা এই প্রশিক্ষণে উপকৃত হবেন।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা বাসায় বসে কীভাবে অফিসের কাজ করতে হয় তার একটি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। একজন ব্যাংকারের জন্য একটা সময় অফিস ছাড়া কাজ করার সুযোগ ছিল না। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন সহজেই বাসাকে অফিসে রুপান্তর করতে পারি। দরকার অফিসকে পরিচালনা করার প্রযুক্তি জ্ঞান। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাসায় বসে নিজের কর্মক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে যেসব তথ্য এবং অ্যাপসের দরকার হয় এই প্রশিক্ষণে আমাদের সদস্যরা সেসম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারবেন। বিসিএস এই সেশনে মোট ৮টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী এবং একটি আলোচনা সভা অনলাইনে সম্পাদন করেছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিসিএস এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অংশগ্রহণকারী সকল অতিথি এবং বিসিএস সদস্যদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের এই ধরনের কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বিসিএস যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিসিএসের সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, কোষাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং পরিচালক মো. রাশেদ আলী ভূঁঞা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিসিএস এর প্রাক্তন সভাপতি এসএম ইকবাল, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এএসএম আবদুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিসের পরিচালক জাফর আহমেদ এবং রায়ান্স কম্পিউটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান জুয়েল ‘মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন স্মার্ট টেকনোলোজিস বিডি লিমিটেডের সফটওয়্যার বিজনেসের প্রধান মো. মিরসাদ হোসাইন। অনলাইনে প্রায় তিন শতাধিক বিসিএস সদস্য এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ‘মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিয়ে মো. মিরসাদ হোসাইন বলেন, মডার্ন ওয়ার্ক বিষয়টা হলো নির্দিষ্ট কাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজে গতিশীলতা বাড়িয়ে দেয়া। মডার্ন ওয়ার্কপ্লেসে রাইট টুল পছন্দ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার সহায়ক যে টুলগুলো ব্যবহার করবেন তার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে কাজ সহজ এবং গতিময় হবে। একজন বিজয়ী এবং বিজিত একসঙ্গেই কাজ শুরু করেন। কিন্তু বিজয়ী লক্ষ্য ঠিক করে সেখানে পৌঁছাতে সঙ্গে সঙ্গেই কাজে যুক্ত হয় কিন্তু বিজিত সেই কাজটি করেন না বলেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যান।
কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু ইউসুফ। উল্লেখ্য, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘ইন্ট্রোডাকশন টু মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। গত ১০ জুন অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) কো-অর্ডিনেটর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ. এইচ. এম. শফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, মডার্ন ওয়ার্কপ্লেসের ধারণা অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে। মানুষ প্রতিনিয়ত তার কর্মক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাসায় বসে অফিসের কাজ এমন ধারণা একসময় অমূলক থাকলেও গত দশকে আমরা এর আমূল পরিবর্তন দেখেছি। গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ যতো নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা বহু আগে থেকেই বাসায় বসে কর্মীদের কাজের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তবে বাসায় বসলেইতো আর হবে না। কাজ করার জন্য আপনার বাসার বসার ঘরে আপনার সুযোগ সুবিধা কতটা প্রশস্ত তাও দেখতে হবে। আমি আশা করি প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা এই প্রশিক্ষণে উপকৃত হবেন।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা বাসায় বসে কীভাবে অফিসের কাজ করতে হয় তার একটি ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। একজন ব্যাংকারের জন্য একটা সময় অফিস ছাড়া কাজ করার সুযোগ ছিল না। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন সহজেই বাসাকে অফিসে রুপান্তর করতে পারি। দরকার অফিসকে পরিচালনা করার প্রযুক্তি জ্ঞান। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাসায় বসে নিজের কর্মক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে যেসব তথ্য এবং অ্যাপসের দরকার হয় এই প্রশিক্ষণে আমাদের সদস্যরা সেসম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারবেন। বিসিএস এই সেশনে মোট ৮টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী এবং একটি আলোচনা সভা অনলাইনে সম্পাদন করেছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিসিএস এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অংশগ্রহণকারী সকল অতিথি এবং বিসিএস সদস্যদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমাদের এই ধরনের কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বিসিএস যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজনের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিসিএসের সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, কোষাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং পরিচালক মো. রাশেদ আলী ভূঁঞা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিসিএস এর প্রাক্তন সভাপতি এসএম ইকবাল, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এএসএম আবদুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিসের পরিচালক জাফর আহমেদ এবং রায়ান্স কম্পিউটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান জুয়েল ‘মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন স্মার্ট টেকনোলোজিস বিডি লিমিটেডের সফটওয়্যার বিজনেসের প্রধান মো. মিরসাদ হোসাইন। অনলাইনে প্রায় তিন শতাধিক বিসিএস সদস্য এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ‘মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস’ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিয়ে মো. মিরসাদ হোসাইন বলেন, মডার্ন ওয়ার্ক বিষয়টা হলো নির্দিষ্ট কাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজে গতিশীলতা বাড়িয়ে দেয়া। মডার্ন ওয়ার্কপ্লেসে রাইট টুল পছন্দ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার সহায়ক যে টুলগুলো ব্যবহার করবেন তার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে কাজ সহজ এবং গতিময় হবে। একজন বিজয়ী এবং বিজিত একসঙ্গেই কাজ শুরু করেন। কিন্তু বিজয়ী লক্ষ্য ঠিক করে সেখানে পৌঁছাতে সঙ্গে সঙ্গেই কাজে যুক্ত হয় কিন্তু বিজিত সেই কাজটি করেন না বলেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যান।
কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু ইউসুফ। উল্লেখ্য, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।