এলপি গ্যাসের দোকানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সেলুনেও বিক্রি হচ্ছে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার। এমনকি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানগুলোতেও অসুস্থ রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে দেদার। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়েছেন।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযানে সেলুনসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে । অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তিন প্রতিষ্ঠান থেকেই শতাধিক সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানেও এক প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমনা করা হয়েছে।

অভিযানের ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, মেসার্স তাহের ইন্টারপ্রাইজ মূলত এলপি গ্যাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা করোনাকালে ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন না নিয়ে এলপি গ্যাসের ব্যবসার আড়ালে অক্সিজেন সিলিন্ডারও বিক্রি করে আসছিল, সঙ্গে ভাড়ায় সিলিন্ডার সরবরাহ করছিল। পলাশ বসু বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার মূলত এক ধরনের ড্রাগ, যা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া মজুদ বা বিক্রির কোন সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবেই তা করে আসছিল। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু তাহের কুরাইসিকে পাঁচ লাখ টাকা ও সহযোগী ইয়াসিনকে ৩ লাখ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তেজগাঁও কলোনি বাজারের পাশেই একটি সেলুন। কিন্তু সেই সেলুন ব্যবসার আড়ালে ভেতরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ দেখা যায় যা বিক্রির জন্য রেখেছেন বলে স্বীকার করেন সেলুনের মালিক গোকুল। সেলুনের আড়ালে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি এক ধরনের প্রতারণাও। সেলুনের মালিক গোকুলকে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ , ৩ আষাঢ় ১৪২৭, ২৪ শাওয়াল ১৪৪১

এলপি গ্যাসের দোকানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সেলুনেও বিক্রি হচ্ছে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার। এমনকি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানগুলোতেও অসুস্থ রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে দেদার। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়েছেন।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযানে সেলুনসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে । অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তিন প্রতিষ্ঠান থেকেই শতাধিক সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানেও এক প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমনা করা হয়েছে।

অভিযানের ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু বলেন, মেসার্স তাহের ইন্টারপ্রাইজ মূলত এলপি গ্যাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা করোনাকালে ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন না নিয়ে এলপি গ্যাসের ব্যবসার আড়ালে অক্সিজেন সিলিন্ডারও বিক্রি করে আসছিল, সঙ্গে ভাড়ায় সিলিন্ডার সরবরাহ করছিল। পলাশ বসু বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার মূলত এক ধরনের ড্রাগ, যা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া মজুদ বা বিক্রির কোন সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবেই তা করে আসছিল। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু তাহের কুরাইসিকে পাঁচ লাখ টাকা ও সহযোগী ইয়াসিনকে ৩ লাখ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তেজগাঁও কলোনি বাজারের পাশেই একটি সেলুন। কিন্তু সেই সেলুন ব্যবসার আড়ালে ভেতরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ দেখা যায় যা বিক্রির জন্য রেখেছেন বলে স্বীকার করেন সেলুনের মালিক গোকুল। সেলুনের আড়ালে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি এক ধরনের প্রতারণাও। সেলুনের মালিক গোকুলকে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।