বেতন হয়নি ৩৭২৩ কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ

করোনা সংকটের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার নির্দেশ দিলে অনেক কারখানায় বেতন পরিশোধ করে মালিকরা। দেশের শিল্প অধ্যুষিত ছয় এলাকায় (আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা) উৎপাদনমুখী সব খাতের শিল্প-কারখানা আছে ৭ হাজার ৬০২টি। এরমধ্যে ৩ হাজার ৭২৩টি কারখানা এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও কারখানা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গতকালও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী, মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে আগের মাসের বেতন পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণেই এ ছয় শিল্প এলাকায় একক খাতভিত্তিক কারখানার সংখ্যা বেশি। এ ছয় এলাকায় শুধু পোশাক খাতকেন্দ্রিক কারখানা আছে ৩ হাজার ৩৭২টি। শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ না করা কারখানাগুলোর মধ্যেও পোশাক খাতকেন্দ্রিক কারখানার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। শিল্প পুলিশের তথ্যে দেখা যায়, ছয় শিল্প এলাকায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সদস্য কারখানা আছে মোট ১ হাজার ৮৮২টি। এরমধ্যে শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ করেনি ৭৩৭টি কারখানা। এসব এলাকায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য ১ হাজার ১০১টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করেনি ৮০৮টি। পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন বিটিএমএর এ ছয় এলাকায় সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ৩৮৯টি কারখানা। এরমধ্যে বেতন পরিশোধ করেনি ২১০টি কারখানা। বেপজার আওতাধীন ৩৬৪টি কারখানার মধ্যে শ্রমিকদের মে মাসের বেতন দেয়নি ৫৮টি কারখানা। ছয় শিল্প এলাকায় বস্ত্র ও পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বেপজার আওতাভুক্ত কারখানার বাইরে চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধ সব খাত মিলিয়ে অন্য খাতের কারখানা আছে ৩ হাজার ৮৬৬টি। এরমধ্যে মে মাসের বেতন পরিশোধ হয়নি এমন কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৯১০।

এ ছয় শিল্প এলাকার কারখানাগুলোয় বর্তমানে ৪০-৪১ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন বলে শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শিল্প পুলিশ সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, বেতন পরিশোধ নিয়ে শিল্প এলাকাগুলোয় যেন কোন অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আমরা তদারকি করছি। পোশাক শিল্প মালিক সংগঠনবিজিএমইএ ও বিকেএমইএসহ খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করছিবকেয়া পরিশোধের জন্য। যদিও বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য ১ হাজার ৯২৬ কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৫৩৮টি কারখানা মে মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বাকি ৩৮৮টি কারখানার।

এদিকে গতকাল বকেয়া বেতনের দাবিতে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সনি সিনেমা হল এলাকায় অবস্থান করে তারা বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে মিরপুর থেকে শ্যামলীর প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিনহা গ্রুপের লিবার্টি কারখানা, এসএমএন ফ্যাশন এবং জেএমএস ডিজাইন নামের দুটি কারখানাসহ তিনটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে এই আন্দোলনে নেমেছে। পুলিশ চেষ্টা করেও তাদের রাস্তা থেকে তুলে দিতে পারেনি। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের তিনমাস ধরে বেতন-ভাতা ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। আজ দিবে কাল দিবে করে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। তাই আজ তারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে। বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা। ডিএমপির মিরপুন জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) খায়রুল আমিন বলেন, মালিক পক্ষ ও বিজিএমইএর মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তারা রাস্তা বন্ধ করে এখনএ বিক্ষোভ করছে। বেতন-ভাতা না পেলে তারা সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী শুধু মে মাস নয়, এ ছয় শিল্প এলাকায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করেনি এমন কারখানাও রয়েছে। এরমধ্যে মার্চের বেতন দেয়নি এমন কারখানার সংখ্যা ২৬১। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য কারখানা ৩৬টি। বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ৩১টি। বিটিএমএর সদস্য নয়টি। বেপজার আওতাধীন কারখানাগুলোর মধ্যে বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা পাঁচ। পোশাক শিল্পকেন্দ্রিক কারখানাগুলোর বাইরে অন্য কারখানা আছে ১৮০টি। এ ছয় শিল্প এলাকায় এপ্রিলের বেতন পরিশোধ না করা কারখানার সংখ্যা ৭১০। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য কারখানা ১৫২টি। বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ৫৩টি। বিটিএমএর সদস্য ৩১টি। বেপজার আওতাধীন কারখানাগুলোর মধ্যে এপ্রিলের বেতন দেয়নি আটটি কারখানা। এ ধরনের অন্য খাতের কারখানা রয়েছে ৪৬৬টি।

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় ২৬ মার্চ। রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্রেতা দেশগুলোর প্রায় সবকয়টিতেই এর আগেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের শিল্প-কারখানাগুলো সচল হতে শুরু করে। শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কারখানা বন্ধ থাকা, ক্রেতা দেশগুলো থেকে নতুন কাজের অভাব ও বিদ্যমান ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত সবকিছু মিলিয়ে আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শিল্প-কারখানাগুলো। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই প্যাকেজ থেকে কারখানাগুলোর শ্রমিকদের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসের বেতন পরিশোধ করার কথা।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

বেতন হয়নি ৩৭২৩ কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

করোনা সংকটের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার নির্দেশ দিলে অনেক কারখানায় বেতন পরিশোধ করে মালিকরা। দেশের শিল্প অধ্যুষিত ছয় এলাকায় (আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা) উৎপাদনমুখী সব খাতের শিল্প-কারখানা আছে ৭ হাজার ৬০২টি। এরমধ্যে ৩ হাজার ৭২৩টি কারখানা এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও কারখানা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গতকালও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী, মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে আগের মাসের বেতন পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণেই এ ছয় শিল্প এলাকায় একক খাতভিত্তিক কারখানার সংখ্যা বেশি। এ ছয় এলাকায় শুধু পোশাক খাতকেন্দ্রিক কারখানা আছে ৩ হাজার ৩৭২টি। শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ না করা কারখানাগুলোর মধ্যেও পোশাক খাতকেন্দ্রিক কারখানার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। শিল্প পুলিশের তথ্যে দেখা যায়, ছয় শিল্প এলাকায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সদস্য কারখানা আছে মোট ১ হাজার ৮৮২টি। এরমধ্যে শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ করেনি ৭৩৭টি কারখানা। এসব এলাকায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য ১ হাজার ১০১টি কারখানার মধ্যে বেতন পরিশোধ করেনি ৮০৮টি। পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন বিটিএমএর এ ছয় এলাকায় সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ৩৮৯টি কারখানা। এরমধ্যে বেতন পরিশোধ করেনি ২১০টি কারখানা। বেপজার আওতাধীন ৩৬৪টি কারখানার মধ্যে শ্রমিকদের মে মাসের বেতন দেয়নি ৫৮টি কারখানা। ছয় শিল্প এলাকায় বস্ত্র ও পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বেপজার আওতাভুক্ত কারখানার বাইরে চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধ সব খাত মিলিয়ে অন্য খাতের কারখানা আছে ৩ হাজার ৮৬৬টি। এরমধ্যে মে মাসের বেতন পরিশোধ হয়নি এমন কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৯১০।

এ ছয় শিল্প এলাকার কারখানাগুলোয় বর্তমানে ৪০-৪১ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন বলে শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শিল্প পুলিশ সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, বেতন পরিশোধ নিয়ে শিল্প এলাকাগুলোয় যেন কোন অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আমরা তদারকি করছি। পোশাক শিল্প মালিক সংগঠনবিজিএমইএ ও বিকেএমইএসহ খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করছিবকেয়া পরিশোধের জন্য। যদিও বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য ১ হাজার ৯২৬ কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৫৩৮টি কারখানা মে মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বাকি ৩৮৮টি কারখানার।

এদিকে গতকাল বকেয়া বেতনের দাবিতে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সনি সিনেমা হল এলাকায় অবস্থান করে তারা বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে মিরপুর থেকে শ্যামলীর প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিনহা গ্রুপের লিবার্টি কারখানা, এসএমএন ফ্যাশন এবং জেএমএস ডিজাইন নামের দুটি কারখানাসহ তিনটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে এই আন্দোলনে নেমেছে। পুলিশ চেষ্টা করেও তাদের রাস্তা থেকে তুলে দিতে পারেনি। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের তিনমাস ধরে বেতন-ভাতা ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। আজ দিবে কাল দিবে করে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। তাই আজ তারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে। বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা। ডিএমপির মিরপুন জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) খায়রুল আমিন বলেন, মালিক পক্ষ ও বিজিএমইএর মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তারা রাস্তা বন্ধ করে এখনএ বিক্ষোভ করছে। বেতন-ভাতা না পেলে তারা সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী শুধু মে মাস নয়, এ ছয় শিল্প এলাকায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করেনি এমন কারখানাও রয়েছে। এরমধ্যে মার্চের বেতন দেয়নি এমন কারখানার সংখ্যা ২৬১। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য কারখানা ৩৬টি। বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ৩১টি। বিটিএমএর সদস্য নয়টি। বেপজার আওতাধীন কারখানাগুলোর মধ্যে বেতন না দেয়া কারখানার সংখ্যা পাঁচ। পোশাক শিল্পকেন্দ্রিক কারখানাগুলোর বাইরে অন্য কারখানা আছে ১৮০টি। এ ছয় শিল্প এলাকায় এপ্রিলের বেতন পরিশোধ না করা কারখানার সংখ্যা ৭১০। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য কারখানা ১৫২টি। বিকেএমইএর সদস্য কারখানা ৫৩টি। বিটিএমএর সদস্য ৩১টি। বেপজার আওতাধীন কারখানাগুলোর মধ্যে এপ্রিলের বেতন দেয়নি আটটি কারখানা। এ ধরনের অন্য খাতের কারখানা রয়েছে ৪৬৬টি।

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় ২৬ মার্চ। রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্রেতা দেশগুলোর প্রায় সবকয়টিতেই এর আগেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের শিল্প-কারখানাগুলো সচল হতে শুরু করে। শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কারখানা বন্ধ থাকা, ক্রেতা দেশগুলো থেকে নতুন কাজের অভাব ও বিদ্যমান ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত সবকিছু মিলিয়ে আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শিল্প-কারখানাগুলো। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই প্যাকেজ থেকে কারখানাগুলোর শ্রমিকদের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসের বেতন পরিশোধ করার কথা।