সামান্য উত্থান শেয়ারবাজারে

মঙ্গলবারের মতো গতকালও কিছুটা উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৪২ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ০.০৭ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ০.০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৮.৭২ পয়েন্টে, ১৩২৫.৭০ পয়েন্টে এবং ৭৮৫.০২৪ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ৮৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ২৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৮টির বা ৭ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১৯টির বা ৭ শতাংশের এবং ২৩২টির বা ৮৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৮২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪টির আর ৫৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫২১টি শেয়ার ৩০ বারে হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৬ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩১ কোটি ২৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবি ব্যাংকের।

এছাড়া ব্যাংক এশিয়ার ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, এক্সিম ব্যাংকের ৯ লাখ টাকার, কেঅ্যান্ডকিউয়ের ১ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ১৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, লিগ্যাসির ৭৫ লাখ ২ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৫০ লাখ টাকার, পদ্মা অয়েলের ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, রেকিট বেনকিজারের ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ১ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার টাকার, সুহৃদের ৬৭ লখ ১০ হাজার টাকার, সিঙ্গারের ১০ লাখ টাকার এবং শাহজিবাজার পাওয়ারের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

সামান্য উত্থান শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

মঙ্গলবারের মতো গতকালও কিছুটা উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ০.৪২ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ০.০৭ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ০.০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৮.৭২ পয়েন্টে, ১৩২৫.৭০ পয়েন্টে এবং ৭৮৫.০২৪ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ৮৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ২৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৮টির বা ৭ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১৯টির বা ৭ শতাংশের এবং ২৩২টির বা ৮৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৮২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪টির আর ৫৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫২১টি শেয়ার ৩০ বারে হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৫৬ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩১ কোটি ২৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার রেনেটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবি ব্যাংকের।

এছাড়া ব্যাংক এশিয়ার ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, এক্সিম ব্যাংকের ৯ লাখ টাকার, কেঅ্যান্ডকিউয়ের ১ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ১৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, লিগ্যাসির ৭৫ লাখ ২ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৫০ লাখ টাকার, পদ্মা অয়েলের ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৩২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, রেকিট বেনকিজারের ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ১ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার টাকার, সুহৃদের ৬৭ লখ ১০ হাজার টাকার, সিঙ্গারের ১০ লাখ টাকার এবং শাহজিবাজার পাওয়ারের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।