করোনা দুর্যোগে উৎসব বন্ধ : মানবেতর জীবনে বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা

করোনার প্রভাবে শাহজাদপুর উপজেলার শতাধিক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের জীবন অচল হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পূজা-পার্বণ, বিয়েসহ সকল প্রকার উৎসব বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়া এসব বাদ্যকররা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বীষহ জীবন যাপন করছে। কর্মহীন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা পাওয়া তো দূরের কথা, স্থানীয়ভাবেও কোন সহায়তা পায়নি। এভাবে চলতে থাকলে তাদের উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করে সংসার চালানো ছাড়া অন্য কোন পথ নেই বলে জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী রয়েছে। এরা পৌর এলাকার পুকুরপাড়, শক্তিপুর, প্রাণনাথপুর এবং উপজেলার পোতাজিয়া ও জামিরতা গ্রামে বসবাস করে। পুরুষাণুক্রমে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পূজা পার্বণ, বিবাহ, অন্নপ্রাশণসহ নানা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত বিভিন্ন দিবসসহ স্থানীয়ভাবে পালিত নানা আনন্দ উৎসবে এরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে থাকে। কিন্তু করোনার প্রভাবে পূজা পার্বণসহ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল উৎসব বন্ধ থাকায় সাড়ে তিন মাস ধরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা। এলাকার বাদ্যযন্ত্র শিল্পী সমেশ খাঁ, করিম খাঁ, ছালাম খাঁ, বাবলু খাঁ, আল-মাছ, রফিক, বেল্লাল, জিতেন দাস, লাকি, বাচ্চু খান জানান, পূজা পার্বণ, ধর্মীয় উৎসবসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু করোনার কারণে এসব উৎসব বন্ধ থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে আমরা কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তারা আরও জানান, বাদ্যযন্ত্র বাজানো ছাড়া তাদের আয়ের অন্য কোন উৎস নাই। ক্ষোভের সাথে এসব বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা জানান, সরকারিভাবে বিভিন্ন পেশাজীবিদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলেও বাদ্যযন্ত্র শিল্পীদের কোন সহযোগিতা করা হয়নি। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাদের কোন ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি। পেটের দায়ে কেউ কেউ এই পেশা ছেড়ে দিনমজুরের কাজ করছে বলে তারা জানান। বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা অবিলম্বে সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

করোনা দুর্যোগে উৎসব বন্ধ : মানবেতর জীবনে বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা

বিমল কুন্ডু, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)

image

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : কর্মহীন হয়ে পরিবার নিয়ে সংকটে বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা -সংবাদ

করোনার প্রভাবে শাহজাদপুর উপজেলার শতাধিক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের জীবন অচল হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পূজা-পার্বণ, বিয়েসহ সকল প্রকার উৎসব বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়া এসব বাদ্যকররা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বীষহ জীবন যাপন করছে। কর্মহীন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা পাওয়া তো দূরের কথা, স্থানীয়ভাবেও কোন সহায়তা পায়নি। এভাবে চলতে থাকলে তাদের উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করে সংসার চালানো ছাড়া অন্য কোন পথ নেই বলে জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী রয়েছে। এরা পৌর এলাকার পুকুরপাড়, শক্তিপুর, প্রাণনাথপুর এবং উপজেলার পোতাজিয়া ও জামিরতা গ্রামে বসবাস করে। পুরুষাণুক্রমে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পূজা পার্বণ, বিবাহ, অন্নপ্রাশণসহ নানা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এরা জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত বিভিন্ন দিবসসহ স্থানীয়ভাবে পালিত নানা আনন্দ উৎসবে এরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে থাকে। কিন্তু করোনার প্রভাবে পূজা পার্বণসহ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল উৎসব বন্ধ থাকায় সাড়ে তিন মাস ধরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা। এলাকার বাদ্যযন্ত্র শিল্পী সমেশ খাঁ, করিম খাঁ, ছালাম খাঁ, বাবলু খাঁ, আল-মাছ, রফিক, বেল্লাল, জিতেন দাস, লাকি, বাচ্চু খান জানান, পূজা পার্বণ, ধর্মীয় উৎসবসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু করোনার কারণে এসব উৎসব বন্ধ থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে আমরা কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তারা আরও জানান, বাদ্যযন্ত্র বাজানো ছাড়া তাদের আয়ের অন্য কোন উৎস নাই। ক্ষোভের সাথে এসব বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা জানান, সরকারিভাবে বিভিন্ন পেশাজীবিদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলেও বাদ্যযন্ত্র শিল্পীদের কোন সহযোগিতা করা হয়নি। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাদের কোন ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি। পেটের দায়ে কেউ কেউ এই পেশা ছেড়ে দিনমজুরের কাজ করছে বলে তারা জানান। বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা অবিলম্বে সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানান।