চলচ্চিত্রের সরকারি অনুদান বাড়ল

পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, শিশুতোষ চলচ্চিত্র আর নানামাত্রিক তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য প্রতি অর্থবছরেই অনুদান দেয়া হয় তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে। অনুদানপ্রাপ্ত প্রতি ছবিতে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা করে বেশি ধার্য হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। অর্থ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শর্তও। যার মধ্যে অন্যতম, নির্মাণ করতে হবে ৯ মাসের মধ্যে, মুক্তি দিতে হবে কমপক্ষে ১০টি প্রেক্ষাগৃহে।

গত সোমবার (১৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে বলা হয়েছে, পূর্ণদৈর্র্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিটি ছবি নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি বাড়িয়ে করা হলো সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ। আরও জানানো হলো, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রসহ ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়া হবে এবার। আর অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কমপক্ষে ১০টি সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া বাধ্যতামূলক। এবার একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রসহ মোট ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটিতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে এরসঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, অনুদানের চেক প্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। চলচ্চিত্রের ভাষা ও বিষয়বস্তু জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে। ডিজিটাল ফরমেটে দৃশ্যধারণ করতে হবে। জানা গেছে, নতুন নীতিমালার আলোকে শিগগিরই ১১ সদস্যের অনুদান কমিটি ও ৭ সদস্যের অনুদান বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। এরপর ৩১ আগস্টের মধ্যে চলতি অর্থবছরের অনুদানের জন্য চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

চলচ্চিত্রের সরকারি অনুদান বাড়ল

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, শিশুতোষ চলচ্চিত্র আর নানামাত্রিক তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য প্রতি অর্থবছরেই অনুদান দেয়া হয় তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে। অনুদানপ্রাপ্ত প্রতি ছবিতে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা করে বেশি ধার্য হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। অর্থ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শর্তও। যার মধ্যে অন্যতম, নির্মাণ করতে হবে ৯ মাসের মধ্যে, মুক্তি দিতে হবে কমপক্ষে ১০টি প্রেক্ষাগৃহে।

গত সোমবার (১৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। যেখানে বলা হয়েছে, পূর্ণদৈর্র্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিটি ছবি নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি বাড়িয়ে করা হলো সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ। আরও জানানো হলো, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রসহ ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়া হবে এবার। আর অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কমপক্ষে ১০টি সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া বাধ্যতামূলক। এবার একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রসহ মোট ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটিতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে এরসঙ্গে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, অনুদানের চেক প্রাপ্তির ৯ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। চলচ্চিত্রের ভাষা ও বিষয়বস্তু জেন্ডার সংবেদনশীল হতে হবে। ডিজিটাল ফরমেটে দৃশ্যধারণ করতে হবে। জানা গেছে, নতুন নীতিমালার আলোকে শিগগিরই ১১ সদস্যের অনুদান কমিটি ও ৭ সদস্যের অনুদান বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। এরপর ৩১ আগস্টের মধ্যে চলতি অর্থবছরের অনুদানের জন্য চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।