বিপিও শিল্পে তরুণদের সম্ভাবনা এবং আর্থিক খাতে এ শিল্পের সম্প্রসারণবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশের বিপিও/আউটসোর্সিং শিল্পের একক ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ধারাবাহিকভাবে কনফারেন্স আয়োজন করেছে। বর্তমান মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপিও শিল্প বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে এবং শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিরুপনে এই অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বাক্কোর এই ধারাবাহিক আয়োজনে গত ১৪ জুন দুইটি বিষয়ের উপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম কনফারেন্সটি ছিল ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট: স্কিল ফর টোয়েন্টি ফাস্ট সেঞ্চুরি’ বিষয়ক, যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো তরুণদের বিপিও খাতে সম্ভাবনা, নন ভয়েস স্কিলস, সফট্ স্কিলস এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম ইত্যাদি। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে যত প্রযুক্তির প্রসার হচ্ছে, ততই প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত মেধাশক্তির চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য। এসব বিষয়ে আশার বানী শুনিয়ে কনফারেন্সটির প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “তরুণদের কমিউনিকেশন স্কিল, প্রেজেন্টেশন স্কিল এবং মুক্ত চিন্তা করার উপর আরও জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবার থেকে গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি সন্তানদের প্রযুক্তিবিষয়ক দক্ষতা অর্জনেও উৎসাহ দিতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী আইটি স্কিলসহ অন্যান্য বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। কেননা এই শিল্পে তরুণদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে”। এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর হেড অব ইয়ুথ প্রোগ্রাম মুনির হাসান, রবি ১০ মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক, “নিজের বলার মত একটা গল্প” প্রকল্পের সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার এবং উইমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া খালেদা নীলা। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন বাক্কোর পরিচালক রাশেদ নোমান। এতে মূল বক্তা হিসেবে বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিপিও শিল্পে কাজ করতে তরুণদের যেসব প্রযুক্তিবিষয়ক দক্ষতা প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

দ্বিতীয় পর্বের আয়োজনটিতে ছিল ‘বিপিও ইকো সিস্টেম: একসেস টু ফাইন্যান্স’ বিষয়ক কনফারেন্স, যাতে বর্তমান আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় এবং ব্যাংকিং খাতে আউটসোর্সিং করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এ সময় মন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল গ্রাম এবং ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে”। তিনি সকল দেশীয় ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানান, যেন তারা দেশীয় আউটসোর্সিং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিপিও এবং আইটি শিল্পের বিকাশে সহযোগিতা করেন। একই সঙ্গে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং অন্যান্য ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দেন তিনি। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহাম্মদ রবিউল হোসেন, প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও রাহেল আহমেদ এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মমিনুল ইসলাম। এ সময় তারা জানান, আইটি/আইটিইএস তথা বিপিও শিল্প সম্পর্কে তাদের আরও ধারনা প্রয়োজন। তারা তাদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা আউটসোর্স করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন, যেন ভবিষ্যতে গতানুগতিক ব্যাংকিং ধারার বাইরে গিয়েও বিপিও শিল্পে তারা আরও বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে পারেন।

কনফারেন্সটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান এবং অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি এবং ই-ক্যাব এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। পুরো আয়োজনটি সঞ্চালনা করেছেন এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর সামি আহমেদ। সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

বিপিও শিল্পে তরুণদের সম্ভাবনা এবং আর্থিক খাতে এ শিল্পের সম্প্রসারণবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

image

দেশের বিপিও/আউটসোর্সিং শিল্পের একক ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ধারাবাহিকভাবে কনফারেন্স আয়োজন করেছে। বর্তমান মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপিও শিল্প বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে এবং শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিরুপনে এই অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বাক্কোর এই ধারাবাহিক আয়োজনে গত ১৪ জুন দুইটি বিষয়ের উপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম কনফারেন্সটি ছিল ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট: স্কিল ফর টোয়েন্টি ফাস্ট সেঞ্চুরি’ বিষয়ক, যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো তরুণদের বিপিও খাতে সম্ভাবনা, নন ভয়েস স্কিলস, সফট্ স্কিলস এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম ইত্যাদি। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে যত প্রযুক্তির প্রসার হচ্ছে, ততই প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত মেধাশক্তির চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য। এসব বিষয়ে আশার বানী শুনিয়ে কনফারেন্সটির প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “তরুণদের কমিউনিকেশন স্কিল, প্রেজেন্টেশন স্কিল এবং মুক্ত চিন্তা করার উপর আরও জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে, পরিবার থেকে গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি সন্তানদের প্রযুক্তিবিষয়ক দক্ষতা অর্জনেও উৎসাহ দিতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী আইটি স্কিলসহ অন্যান্য বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। কেননা এই শিল্পে তরুণদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে”। এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর হেড অব ইয়ুথ প্রোগ্রাম মুনির হাসান, রবি ১০ মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক, “নিজের বলার মত একটা গল্প” প্রকল্পের সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার এবং উইমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া খালেদা নীলা। আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন বাক্কোর পরিচালক রাশেদ নোমান। এতে মূল বক্তা হিসেবে বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিপিও শিল্পে কাজ করতে তরুণদের যেসব প্রযুক্তিবিষয়ক দক্ষতা প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

দ্বিতীয় পর্বের আয়োজনটিতে ছিল ‘বিপিও ইকো সিস্টেম: একসেস টু ফাইন্যান্স’ বিষয়ক কনফারেন্স, যাতে বর্তমান আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় এবং ব্যাংকিং খাতে আউটসোর্সিং করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এ সময় মন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল গ্রাম এবং ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে”। তিনি সকল দেশীয় ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানান, যেন তারা দেশীয় আউটসোর্সিং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিপিও এবং আইটি শিল্পের বিকাশে সহযোগিতা করেন। একই সঙ্গে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং অন্যান্য ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দেন তিনি। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আর এফ হোসেন, উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহাম্মদ রবিউল হোসেন, প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও রাহেল আহমেদ এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মমিনুল ইসলাম। এ সময় তারা জানান, আইটি/আইটিইএস তথা বিপিও শিল্প সম্পর্কে তাদের আরও ধারনা প্রয়োজন। তারা তাদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা আউটসোর্স করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন, যেন ভবিষ্যতে গতানুগতিক ব্যাংকিং ধারার বাইরে গিয়েও বিপিও শিল্পে তারা আরও বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে পারেন।

কনফারেন্সটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান এবং অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি এবং ই-ক্যাব এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। পুরো আয়োজনটি সঞ্চালনা করেছেন এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর সামি আহমেদ। সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।