বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতলে সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। করোনার প্রশিক্ষণের জন্য যা করা দরকার তা বাজেটে নেই। বাজেটে মানুষ বাঁচানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। প্রস্তাবিত বাজেট একেবারে শুভঙ্করের ফাঁকি।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২০২০-২১ অর্থবছরে গতানুগতিক উচ্চবিলাসী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট ভাবনা থেকে বেরিয়ে মানবকল্যাণে করোনা সংকটকালীন যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত বাজেট প্রত্যাশা’ শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করে ফিউচার অব বাংলাদেশ। এ সময় ফিউচার অব বাংলাদেশের শওকত আজিজ, জুবায়ের আল বাবু, রেজাউল হোসেন অনিক, কেজি সেলিম, ফয়সাল প্রধান, রাফিজুল হাই রাফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী বলেন, করোনায় আক্রান্তরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। বাজেটে মানুষ বাঁচানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। বরং মানুষ যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে দেশে গণতন্ত্র থাকলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, জবাবদিহিতা থাকলে করোনার সংক্রমণে সারাদেশ সয়লাব হতো না। বাজেটের মধ্যে ফুটে উঠেছে সরকারের নির্মমতা, নির্দয়তা। বাজেট পাস হওয়ার আগেই মোবাইল থেকে টাকা পাচার শুরু হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যখাত। সে খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে গতানুগতিক। বিশেষভাবে কিছু করা হয়নি। করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা দুর্নীতির মহোৎসব দেখলাম। সরকারের অদক্ষতা দেখলাম। আজকে মাস্ক নেই, হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেন নেই। এগুলো কিভাবে আনা যায়, এ অভাব কীভাবে পূরণ করা হবে তা বাজেটের মধ্যে নেই। এই বাজেট শুধুমাত্র মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতলে করোনা সুরক্ষা নেই। সুরক্ষা সামগ্রী না থাকার কারণে চিকিৎসা বিঘিœত হচ্ছে। এ প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে এর কোন দিকনির্দেশনাও নেই। বাংলাদেশের হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় ৮৬ শতাংশ নার্সদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার ছিল। তাদের সেই প্রশিক্ষণ নেই। ফলে যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। এরপর দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী মোরে জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী মোহাম্মদপুর ছাত্রদল আয়োজিত খাদ্য বিতরণে যোগদান করেন রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতলে সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। করোনার প্রশিক্ষণের জন্য যা করা দরকার তা বাজেটে নেই। বাজেটে মানুষ বাঁচানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। প্রস্তাবিত বাজেট একেবারে শুভঙ্করের ফাঁকি।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২০২০-২১ অর্থবছরে গতানুগতিক উচ্চবিলাসী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট ভাবনা থেকে বেরিয়ে মানবকল্যাণে করোনা সংকটকালীন যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত বাজেট প্রত্যাশা’ শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করে ফিউচার অব বাংলাদেশ। এ সময় ফিউচার অব বাংলাদেশের শওকত আজিজ, জুবায়ের আল বাবু, রেজাউল হোসেন অনিক, কেজি সেলিম, ফয়সাল প্রধান, রাফিজুল হাই রাফিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী বলেন, করোনায় আক্রান্তরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। বাজেটে মানুষ বাঁচানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। বরং মানুষ যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে দেশে গণতন্ত্র থাকলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, জবাবদিহিতা থাকলে করোনার সংক্রমণে সারাদেশ সয়লাব হতো না। বাজেটের মধ্যে ফুটে উঠেছে সরকারের নির্মমতা, নির্দয়তা। বাজেট পাস হওয়ার আগেই মোবাইল থেকে টাকা পাচার শুরু হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যখাত। সে খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে গতানুগতিক। বিশেষভাবে কিছু করা হয়নি। করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা দুর্নীতির মহোৎসব দেখলাম। সরকারের অদক্ষতা দেখলাম। আজকে মাস্ক নেই, হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেন নেই। এগুলো কিভাবে আনা যায়, এ অভাব কীভাবে পূরণ করা হবে তা বাজেটের মধ্যে নেই। এই বাজেট শুধুমাত্র মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলার জন্য ৭১ শতাংশ হাসপাতলে করোনা সুরক্ষা নেই। সুরক্ষা সামগ্রী না থাকার কারণে চিকিৎসা বিঘিœত হচ্ছে। এ প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে এর কোন দিকনির্দেশনাও নেই। বাংলাদেশের হাসপাতালে করোনা মোকাবিলায় ৮৬ শতাংশ নার্সদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার ছিল। তাদের সেই প্রশিক্ষণ নেই। ফলে যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। এরপর দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী মোরে জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী মোহাম্মদপুর ছাত্রদল আয়োজিত খাদ্য বিতরণে যোগদান করেন রুহুল কবির রিজভী।