মোবাইল অপারেটররা একটু মানবিক হোন

মহামারী করোনাভাইরাস জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত সাফল্যের মুখ দেখা দেশের অর্থনীতির চাকাকে করে দিয়েছে অচল। প্রাণঘাতী করোনা ঠেকাতে, জীবন বাঁচাতে মানুষকে এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এ হোম কোয়ারেন্টাইনের বোরিং সময়টাকে একটু মধুময় করতে বেশিরভাগ সময়ই মানুষ ইন্টারনেটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৮৫ শতাংশ জনগণই মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে। কিন্তু এ মোবাইল ডাটা অনেক ব্যয়বহুল, বিশেষ করে এই সময়টার জন্য।

১ জিবি ইন্টারনেটের মূল্য কোনো অপারেটরে ৩২ টাকা, কোথাও ২৫ টাকা আবার কোথাও ২১ বা ২২ টাকা। অর্থাৎ ২০ টাকার নিচে কোথাও নেই। যা এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ দুঃসময়ে প্রতি জিবি ইন্টারনেটের মূল্য ১০ টাকার ভেতরে থাকলে তা মোটামুটি সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে।

তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অধিকাংশই শিক্ষার্থী। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের লকডাউন মুহূর্তে অনলাইনে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে, যুক্ত হতে হচ্ছে বিভিন্ন লাইভ ক্লাসে। এতে প্রতিদিন অনেক ডাটার প্রয়োজন হচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মোবাইল অপারেটরদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা দেশের এই ক্রান্তিকালে একটু মানবিক হোন, ইন্টারনেটের প্রচলিত মূল্য হ্রাস করে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

ইমরান ইমন

শিক্ষার্থী : ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

মোবাইল অপারেটররা একটু মানবিক হোন

মহামারী করোনাভাইরাস জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত সাফল্যের মুখ দেখা দেশের অর্থনীতির চাকাকে করে দিয়েছে অচল। প্রাণঘাতী করোনা ঠেকাতে, জীবন বাঁচাতে মানুষকে এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এ হোম কোয়ারেন্টাইনের বোরিং সময়টাকে একটু মধুময় করতে বেশিরভাগ সময়ই মানুষ ইন্টারনেটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৮৫ শতাংশ জনগণই মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে। কিন্তু এ মোবাইল ডাটা অনেক ব্যয়বহুল, বিশেষ করে এই সময়টার জন্য।

১ জিবি ইন্টারনেটের মূল্য কোনো অপারেটরে ৩২ টাকা, কোথাও ২৫ টাকা আবার কোথাও ২১ বা ২২ টাকা। অর্থাৎ ২০ টাকার নিচে কোথাও নেই। যা এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ দুঃসময়ে প্রতি জিবি ইন্টারনেটের মূল্য ১০ টাকার ভেতরে থাকলে তা মোটামুটি সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে।

তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অধিকাংশই শিক্ষার্থী। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের লকডাউন মুহূর্তে অনলাইনে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে, যুক্ত হতে হচ্ছে বিভিন্ন লাইভ ক্লাসে। এতে প্রতিদিন অনেক ডাটার প্রয়োজন হচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মোবাইল অপারেটরদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা দেশের এই ক্রান্তিকালে একটু মানবিক হোন, ইন্টারনেটের প্রচলিত মূল্য হ্রাস করে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

ইমরান ইমন

শিক্ষার্থী : ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।