সাব-রেজিস্ট্রার অফিস চত্বরে অবৈধ স্থাপনা!

বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস চত্বরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে জান চলাচলে সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় সাব-রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক বাঁধা দিলে কোন ফল হয়নি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও পুনরায় কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি জোরালো কোন পদক্ষেপ। জানা যায়, সরকারি বিধিমতে কোন সরকারি অফিস চত্বরে ব্যক্তিগতভাবে কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘর নির্মাণের সুযোগ নেই। এমন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কতিপয় দলিল লেখক তাদের নিজেদের সুবিধার্থে স্থায়ী ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলিল লেখক সমিতির মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার ও অন্যাদের জন্য প্রতি লাখ টাকার বিপরিতে আদায়কৃত ৫০০ টাকা সপ্তাহে দুই দিনে বন্টন করা হয় যা দলিল লেখক সমিতির মাধ্যম ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবদিক বিবেচনায় উক্ত অবৈধ নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে বা জোরালো কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি সাব-রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক।

সরেজমিনে গত বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেজিস্ট্রি অফিস চত্ব¡রের উত্তরগেটের খালি জায়গায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে লাগানো বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে দলিল লেখক সমিতির উপদেষ্টা স্থায়ী ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এর প্রেক্ষিতে সাব-রেজিস্ট্রার সাজেদুল হক ওই নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে থানা পুলিশকে অবগত করেন।

থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে কতিপয় দলিল লেখকের যোগসাজশে প্রভাবশালী এক নেতার মধ্যস্থতায় পুনরায় নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতি’র সভাপতি এস এম ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের অনুমতি নিয়েই সবাই ঘর তুলছে। এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার সাজেদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, অফিস চত্বরে ব্যক্তি উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করা যাবে, তবে স্থায়ী ইমারত গড়া যাবে না। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ন কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানার সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে আর কেউ কিছু জানায়নি। এখন সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১

সাব-রেজিস্ট্রার অফিস চত্বরে অবৈধ স্থাপনা!

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

image

শেরপুর (বগুড়া) : নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অফিস চত্বরে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা -সংবাদ

বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস চত্বরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে জান চলাচলে সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় সাব-রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক বাঁধা দিলে কোন ফল হয়নি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও পুনরায় কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি জোরালো কোন পদক্ষেপ। জানা যায়, সরকারি বিধিমতে কোন সরকারি অফিস চত্বরে ব্যক্তিগতভাবে কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘর নির্মাণের সুযোগ নেই। এমন নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কতিপয় দলিল লেখক তাদের নিজেদের সুবিধার্থে স্থায়ী ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলিল লেখক সমিতির মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার ও অন্যাদের জন্য প্রতি লাখ টাকার বিপরিতে আদায়কৃত ৫০০ টাকা সপ্তাহে দুই দিনে বন্টন করা হয় যা দলিল লেখক সমিতির মাধ্যম ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবদিক বিবেচনায় উক্ত অবৈধ নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে বা জোরালো কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি সাব-রেজিস্ট্রার মো. সাজেদুল হক।

সরেজমিনে গত বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেজিস্ট্রি অফিস চত্ব¡রের উত্তরগেটের খালি জায়গায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে লাগানো বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে দলিল লেখক সমিতির উপদেষ্টা স্থায়ী ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এর প্রেক্ষিতে সাব-রেজিস্ট্রার সাজেদুল হক ওই নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে থানা পুলিশকে অবগত করেন।

থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে কতিপয় দলিল লেখকের যোগসাজশে প্রভাবশালী এক নেতার মধ্যস্থতায় পুনরায় নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতি’র সভাপতি এস এম ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের অনুমতি নিয়েই সবাই ঘর তুলছে। এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার সাজেদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, অফিস চত্বরে ব্যক্তি উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করা যাবে, তবে স্থায়ী ইমারত গড়া যাবে না। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ন কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানার সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে আর কেউ কিছু জানায়নি। এখন সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।