কেশবপুরে ঘের দখল নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ৪

যশোরের কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি বিলের একটি মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে একটি পক্ষ ঘেরের ৫টি টংঘর ভাঙচুর করেছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ঘেরের ম্যানেজারসহ ৪ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুন ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, ৪ বছর আগে উপজেলার খতিয়াখালি বিলের ৩৫ বিঘা জমি কৃষকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছের ঘের করেন শহরের আলতাপোল এলাকার মেসার্স রাহেলা ফিসারিজের স্বত্ত্বাধিকারী সেলিমুজ্জামান আসাদ। মেয়াদ পূর্ণ হবার পর চলতি বছরের ১ জুন তিনি পুনরায় প্রতি বিঘা সাদা জমি ১৬ হাজার ও খাল ভেড়ি বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা চুক্তিতে লিজ গ্রহণ করেন। ৫৫ জন জমির মালিকের মধ্যে ১০-১১ জন তার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করে খতিয়াখালি গ্রামের মিঠু দত্তের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর থেকে ঘেরের দখল নিয়ে সেলিমুজ্জামান আসাদের সঙ্গে মিঠু দত্তের বিরোধ শুরু হয়। ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদের অভিযোগ, ঘেরটি দখলে নেয়ার জন্য মিঠু দত্ত নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। তিনি মঙ্গলবার রাতে ১০-১১ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে তার ঘেরের ৪-৫টি টংঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। দুপুরে ঘেরের ম্যানেজার সুমন ফকির ও শ্রমিক সাজ্জাত হোসেন, মাদার ও আলম ঘেরের পাড়ে গেলে তাদের পিটিয়ে আহত করে।

শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১

কেশবপুরে ঘের দখল নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ৪

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি বিলের একটি মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে একটি পক্ষ ঘেরের ৫টি টংঘর ভাঙচুর করেছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ঘেরের ম্যানেজারসহ ৪ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুন ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, ৪ বছর আগে উপজেলার খতিয়াখালি বিলের ৩৫ বিঘা জমি কৃষকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছের ঘের করেন শহরের আলতাপোল এলাকার মেসার্স রাহেলা ফিসারিজের স্বত্ত্বাধিকারী সেলিমুজ্জামান আসাদ। মেয়াদ পূর্ণ হবার পর চলতি বছরের ১ জুন তিনি পুনরায় প্রতি বিঘা সাদা জমি ১৬ হাজার ও খাল ভেড়ি বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা চুক্তিতে লিজ গ্রহণ করেন। ৫৫ জন জমির মালিকের মধ্যে ১০-১১ জন তার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করে খতিয়াখালি গ্রামের মিঠু দত্তের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর থেকে ঘেরের দখল নিয়ে সেলিমুজ্জামান আসাদের সঙ্গে মিঠু দত্তের বিরোধ শুরু হয়। ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদের অভিযোগ, ঘেরটি দখলে নেয়ার জন্য মিঠু দত্ত নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। তিনি মঙ্গলবার রাতে ১০-১১ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে তার ঘেরের ৪-৫টি টংঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। দুপুরে ঘেরের ম্যানেজার সুমন ফকির ও শ্রমিক সাজ্জাত হোসেন, মাদার ও আলম ঘেরের পাড়ে গেলে তাদের পিটিয়ে আহত করে।