দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো একাধিক ডাকাত চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এসব চক্র নিত্যনতুন কৌশলে এ মহাসড়কে ডাকাতি করছে। প্রাইভেট গাড়িও ডাকাতির হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি ডাকাতি হচ্ছে ওই মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীর তাজমহল হোটেলের আশপাশের এলাকাটি। সম্প্রতি এমনই এক তরুণ সমাজকর্মী ডাকাতদলের খপ্পরে পড়ে তার সবকিছু হারিয়ে ফেলে। এছাড়া তার প্রাইভেট গাড়িটিও ভাঙচুর করে ডাকাতদল। ক্ষতিগ্রস্ত ওই তরুণ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন আবাসিক এলাকার জজ সরোয়ার বাড়ির ১৭ আঞ্জুমান বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ওয়াফি চৌধুরী (৩৪)। তিনি বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানা কুমিল্লায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গোলাম মোস্তফা ওয়াফি চৌধুরী ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে ঢাকা থেকে আসার পথে কুমিল্লা পার হয়ে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় আসলে তিনি ডাকাতদের কবলে পড়েন। গত ১২ জুন ঢাকা থেকে আসার পথে ওই স্থানে আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে (চট্ট-মেট্টো-গ-১১-৬৮৫২) একটি পাইপ গাড়িতে ছুড়ে মারে। এতে তিনি শব্দ পেয়ে আনুমানিক ৩০০ মিটার সামনে এসে গাড়ির চাকা চেক করে। এ সময় তিনি গাড়িতে দাগ দেখতে পেয়ে ছবি তোলার প্রাক্কালে পিছন দিক থেকে ডাকাতদল তাকে লোহার রড় দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। আবার চারজন তাকে জবাই করতে বিলে নিয়ে যেতে টানা হেচড়া শুরু করে। সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে মারধর করে প্রাইভেট কারের পিছনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ সময় তার মোবাইল ফোন, নগদ টাকা পয়সা ও অন্য মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে সামনে এসে চৌদ্দগ্রাম থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ তাকেসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখেন। এক পর্যায়ে রাত তিনটা থেকে অভিযোগটি গ্রহণ করতে গড়িমসি করতে করতে সকাল ৮টায় তা পুলিশ গ্রহণ করে বলে গোলাম মোস্তফা ওয়াফি চৌধুরী জানায়। তিনি বলেন, গাড়ির ক্ষতির পরিমাণ অনুমানিক চল্লিশ হাজার টাকা। আমার কাছ থেকে একটি হেড ফোন নিয়ে যাবার সময় ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। আমার নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্য সামগ্রী নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমার ঘটনার পর ২০/২৫ মিনিটের মাথায় আরও একটি ডাকাতি হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা একটি পাইপ গাড়িতে ছুড়ে মারে। এতে আওয়াজ হলে চাকা পাংচার হয়েছে মনে করে গাড়িটি থামাই। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ৬-৭ জনের ডাকাত দল বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমার সবর্স্ব কেড়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, এই স্থানটি ডাকাত প্রবণ এলাকা। কয়েকজন পুলিশের গায়ে কাদা দেখেছি। তারা বিলে ডাকাতদের মনে হয় ধাওয়া করছেন। তিনি এই স্থানে এমনকি এই মহাসড়কে ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো
দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো একাধিক ডাকাত চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এসব চক্র নিত্যনতুন কৌশলে এ মহাসড়কে ডাকাতি করছে। প্রাইভেট গাড়িও ডাকাতির হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি ডাকাতি হচ্ছে ওই মহাসড়কের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীর তাজমহল হোটেলের আশপাশের এলাকাটি। সম্প্রতি এমনই এক তরুণ সমাজকর্মী ডাকাতদলের খপ্পরে পড়ে তার সবকিছু হারিয়ে ফেলে। এছাড়া তার প্রাইভেট গাড়িটিও ভাঙচুর করে ডাকাতদল। ক্ষতিগ্রস্ত ওই তরুণ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন আবাসিক এলাকার জজ সরোয়ার বাড়ির ১৭ আঞ্জুমান বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ওয়াফি চৌধুরী (৩৪)। তিনি বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানা কুমিল্লায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গোলাম মোস্তফা ওয়াফি চৌধুরী ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে ঢাকা থেকে আসার পথে কুমিল্লা পার হয়ে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় আসলে তিনি ডাকাতদের কবলে পড়েন। গত ১২ জুন ঢাকা থেকে আসার পথে ওই স্থানে আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে (চট্ট-মেট্টো-গ-১১-৬৮৫২) একটি পাইপ গাড়িতে ছুড়ে মারে। এতে তিনি শব্দ পেয়ে আনুমানিক ৩০০ মিটার সামনে এসে গাড়ির চাকা চেক করে। এ সময় তিনি গাড়িতে দাগ দেখতে পেয়ে ছবি তোলার প্রাক্কালে পিছন দিক থেকে ডাকাতদল তাকে লোহার রড় দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। আবার চারজন তাকে জবাই করতে বিলে নিয়ে যেতে টানা হেচড়া শুরু করে। সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তাকে মারধর করে প্রাইভেট কারের পিছনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ সময় তার মোবাইল ফোন, নগদ টাকা পয়সা ও অন্য মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে সামনে এসে চৌদ্দগ্রাম থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ তাকেসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখেন। এক পর্যায়ে রাত তিনটা থেকে অভিযোগটি গ্রহণ করতে গড়িমসি করতে করতে সকাল ৮টায় তা পুলিশ গ্রহণ করে বলে গোলাম মোস্তফা ওয়াফি চৌধুরী জানায়। তিনি বলেন, গাড়ির ক্ষতির পরিমাণ অনুমানিক চল্লিশ হাজার টাকা। আমার কাছ থেকে একটি হেড ফোন নিয়ে যাবার সময় ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। আমার নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্য সামগ্রী নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমার ঘটনার পর ২০/২৫ মিনিটের মাথায় আরও একটি ডাকাতি হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা একটি পাইপ গাড়িতে ছুড়ে মারে। এতে আওয়াজ হলে চাকা পাংচার হয়েছে মনে করে গাড়িটি থামাই। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ৬-৭ জনের ডাকাত দল বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমার সবর্স্ব কেড়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, এই স্থানটি ডাকাত প্রবণ এলাকা। কয়েকজন পুলিশের গায়ে কাদা দেখেছি। তারা বিলে ডাকাতদের মনে হয় ধাওয়া করছেন। তিনি এই স্থানে এমনকি এই মহাসড়কে ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।