কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমনিতেই দেশে-পিসিআর ল্যাব কম। সরকারি একেকটি ল্যাবে টেস্ট করাতে গেলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেইে টেস্ট করাতে পারছেন না। কিন্তু একশ্রেণির দালাল অর্থের বিনিময়ে ঠিকই টেস্ট করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। টেস্ট করানোর সময় একবার, রিপোর্ট নেয়ার সময় আরেকবার দালাল শ্রেণিকে বাড়তি অর্থ দিতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সরকারি ল্যাবে টেস্ট করানোর জন্য অনেককেই অপেক্ষা করতে হয় সপ্তাহ খানেক। টেস্ট করার পর রিপোর্ট পেতেও অপেক্ষা করতে হয় দিন কয়েক। সরকারি ল্যাবের বিড়ম্বনা এড়াতে অনেকে বেসরকারি ল্যাবের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি ল্যাবগুলো বাড়তি চার্জ আদায় করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাস কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই টেস্ট করা জরুরি। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি টেস্ট করানোর ওপর জোর দিলেও সরকার ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। যার খেসারত আজ সাধারণ মানুষকে নানাভাবে দিতে হচ্ছে। ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশে ৬০টি বুথ স্থাপন করা হলে যে সংকট থেকেই যাবে সেটা জানা কথা। টেস্ট করানোর সংকট দূর করা যায়নি। সাধারণ মানুষের সংকটকে পুঁজি করে যারা বাণিজ্য করছে তাদেরও নিবৃত করা হচ্ছে না। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা জানতে গিয়ে শ্রম আর সময় অপচয় হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সাধারণের অর্থের শ্রাদ্ধ। আবার নানা অব্যবস্থাপনার কারণে কোভিড টেস্টের একেকটি কেন্দ্র সংক্রমণ স্থলে পরিণত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কোভিড টেস্টের চক্করে পড়ে অসুস্থ মানুষের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হচ্ছে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে। এই রোগের সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটাও সহজে জানার উপায় নেই। নীতিনির্ধারকদের উদাসীনতা আর অবহেলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে আকার ধারণ করেছে।
জনগণের উল্লিখিত ভোগান্তি লাঘব করতে প্রথমে দরকার পিসিআর ল্যাবের সংযোগ বাড়ানো। যতবেশি এলাকায় সম্ভব পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে হবে। মানুষের দোরগৌড়ায় টেস্টের সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। নাগরিকদের উদ্ভূত সংকটি নিয়ে যে বা যারা বাণিজ্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি যেসব ল্যাব বাড়তি চার্জ নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১
কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমনিতেই দেশে-পিসিআর ল্যাব কম। সরকারি একেকটি ল্যাবে টেস্ট করাতে গেলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেইে টেস্ট করাতে পারছেন না। কিন্তু একশ্রেণির দালাল অর্থের বিনিময়ে ঠিকই টেস্ট করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। টেস্ট করানোর সময় একবার, রিপোর্ট নেয়ার সময় আরেকবার দালাল শ্রেণিকে বাড়তি অর্থ দিতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সরকারি ল্যাবে টেস্ট করানোর জন্য অনেককেই অপেক্ষা করতে হয় সপ্তাহ খানেক। টেস্ট করার পর রিপোর্ট পেতেও অপেক্ষা করতে হয় দিন কয়েক। সরকারি ল্যাবের বিড়ম্বনা এড়াতে অনেকে বেসরকারি ল্যাবের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি ল্যাবগুলো বাড়তি চার্জ আদায় করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাস কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই টেস্ট করা জরুরি। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি টেস্ট করানোর ওপর জোর দিলেও সরকার ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। যার খেসারত আজ সাধারণ মানুষকে নানাভাবে দিতে হচ্ছে। ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশে ৬০টি বুথ স্থাপন করা হলে যে সংকট থেকেই যাবে সেটা জানা কথা। টেস্ট করানোর সংকট দূর করা যায়নি। সাধারণ মানুষের সংকটকে পুঁজি করে যারা বাণিজ্য করছে তাদেরও নিবৃত করা হচ্ছে না। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা জানতে গিয়ে শ্রম আর সময় অপচয় হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সাধারণের অর্থের শ্রাদ্ধ। আবার নানা অব্যবস্থাপনার কারণে কোভিড টেস্টের একেকটি কেন্দ্র সংক্রমণ স্থলে পরিণত হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কোভিড টেস্টের চক্করে পড়ে অসুস্থ মানুষের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হচ্ছে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে। এই রোগের সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটাও সহজে জানার উপায় নেই। নীতিনির্ধারকদের উদাসীনতা আর অবহেলায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে আকার ধারণ করেছে।
জনগণের উল্লিখিত ভোগান্তি লাঘব করতে প্রথমে দরকার পিসিআর ল্যাবের সংযোগ বাড়ানো। যতবেশি এলাকায় সম্ভব পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে হবে। মানুষের দোরগৌড়ায় টেস্টের সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। নাগরিকদের উদ্ভূত সংকটি নিয়ে যে বা যারা বাণিজ্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি যেসব ল্যাব বাড়তি চার্জ নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।