চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ

বর্তমানে পরিবেশ দূষণ একটি বড় বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ দূষণের ফলে গোটা বিশ্ব চরম বিপর্যয়ের মূখে পতিত। মানুষসহ সব প্রানের অস্তিত্ব পরিবেশের উপরই নির্ভরশীল। কেননা পরিবেশেই প্রাণের ধারক ও বাহক। এক বা একাধিক অন্তর্নিহিত কারণে কিংবা বাহ্যিক কারণে পরিবেশের স্বাভাবিক ধর্ম ও গুণাবলীগুলি ব্যাহত হলেই নানারকম বিপদ সংকেত সৃষ্টি হয় ও পরিবেশ দূষিত হয়। আবার, সভ্যতার ক্রমবিকাশে উন্নয়নের পক্ষে বিবর্তনের সঙ্গে যান্ত্রিক সভ্যতার নিরঙ্কুশ প্রাধান্যের ফলে পরিবেশের বিশুদ্ধতা বিনাশ হয়। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবেশ দূষণ রোধ ও সংরক্ষণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ পরিবেশ সংকটের এই দায় সমগ্র মানবজাতির।

শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, জন্ডিস, পাঁচড়া, ফুসফুসে ক্যান্সার প্রভৃতি জটিল রোগ পরিবেশ দূষণের ফসল। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১ কোটি মানুষ পরিবেশ দূষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। ফলে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিবেশ দূষণ রোধের বিকল্প নাই। পরিবেশকে সুস্থ রাখার জন্য বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করতে হবে। ময়লা আবর্জনা নিদিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হবে জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনা, পরিবেশবান্ধব ‘পরিচ্ছন্ন শক্তি’র ‘ ওপর নির্ভরতা বাড়ানো। কলকারখানার বর্জ্য যাতে পরিবেশ দূষিত না করে তার জন্য বর্জ্য পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যেসব সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা রাখছে তাদের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা করাও জরুরি।

সর্বোপরি পরিবেশ দূষণ রোধে সরকার ও জনসাধারণকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে সুন্দর হয়ে উঠে মানুষের বিচরণ ক্ষেত্রটা। সুস্থ ও সুন্দর মানবজীবন উপহার দেওয়ার জন্য দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

মোঃ আলী আজগর

শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০ , ৫ আষাঢ় ১৪২৭, ২৬ শাওয়াল ১৪৪১

চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ

বর্তমানে পরিবেশ দূষণ একটি বড় বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ দূষণের ফলে গোটা বিশ্ব চরম বিপর্যয়ের মূখে পতিত। মানুষসহ সব প্রানের অস্তিত্ব পরিবেশের উপরই নির্ভরশীল। কেননা পরিবেশেই প্রাণের ধারক ও বাহক। এক বা একাধিক অন্তর্নিহিত কারণে কিংবা বাহ্যিক কারণে পরিবেশের স্বাভাবিক ধর্ম ও গুণাবলীগুলি ব্যাহত হলেই নানারকম বিপদ সংকেত সৃষ্টি হয় ও পরিবেশ দূষিত হয়। আবার, সভ্যতার ক্রমবিকাশে উন্নয়নের পক্ষে বিবর্তনের সঙ্গে যান্ত্রিক সভ্যতার নিরঙ্কুশ প্রাধান্যের ফলে পরিবেশের বিশুদ্ধতা বিনাশ হয়। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবেশ দূষণ রোধ ও সংরক্ষণ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ পরিবেশ সংকটের এই দায় সমগ্র মানবজাতির।

শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, জন্ডিস, পাঁচড়া, ফুসফুসে ক্যান্সার প্রভৃতি জটিল রোগ পরিবেশ দূষণের ফসল। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১ কোটি মানুষ পরিবেশ দূষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। ফলে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিবেশ দূষণ রোধের বিকল্প নাই। পরিবেশকে সুস্থ রাখার জন্য বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করতে হবে। ময়লা আবর্জনা নিদিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হবে জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনা, পরিবেশবান্ধব ‘পরিচ্ছন্ন শক্তি’র ‘ ওপর নির্ভরতা বাড়ানো। কলকারখানার বর্জ্য যাতে পরিবেশ দূষিত না করে তার জন্য বর্জ্য পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যেসব সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা রাখছে তাদের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা করাও জরুরি।

সর্বোপরি পরিবেশ দূষণ রোধে সরকার ও জনসাধারণকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে সুন্দর হয়ে উঠে মানুষের বিচরণ ক্ষেত্রটা। সুস্থ ও সুন্দর মানবজীবন উপহার দেওয়ার জন্য দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

মোঃ আলী আজগর