গত সপ্তাহে সূচক-লেনদেন দুটোই কমেছে

আগের সপ্তাহে কিছু উত্থান হলেও গত সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে ৫ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এরমধ্যে তিন কার্যদিবস সূচক কমেছে, আর দুই কার্যদিবস সূচক কমেছে। সপ্তাহ শেষে দেখা গেছে, উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৭৮ কোটি টাকা কমেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ২৭১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৫ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৫২৮ টাকা বা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৬০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩ কোটি ৮০ হাজার ৭০৬ টাকা কম হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৮ এবং ১৩২৫ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টি বা ৫ শতাংশের, কমেছে ৩৯টির বা ১১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮৫টির বা ৮৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১৭৮ কোটি ৩২ লাখ ১৯ হাজার টাকা বা শূন্য দশমিক ০৫৭ শতাংশ কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭১ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৬ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ৪১৮ টাকা বা ৭৭ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬ হাজার ৮১৮ পয়েন্টে, ৮০৯ পয়েন্টে এবং ৭২৮ পয়েন্টে। অপর সূচক সিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২টির বা ১২ শতাংশের দর বেড়েছে, ৩২টির বা ১৮ শতাংশের কমেছে এবং ১২৪টির বা ৭০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

রবিবার, ২১ জুন ২০২০ , ৭ আষাঢ় ১৪২৭, ২৮ শাওয়াল ১৪৪১

গত সপ্তাহে সূচক-লেনদেন দুটোই কমেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

আগের সপ্তাহে কিছু উত্থান হলেও গত সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে ৫ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এরমধ্যে তিন কার্যদিবস সূচক কমেছে, আর দুই কার্যদিবস সূচক কমেছে। সপ্তাহ শেষে দেখা গেছে, উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৭৮ কোটি টাকা কমেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ২৭১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৫ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৫২৮ টাকা বা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৪ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৬০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩ কোটি ৮০ হাজার ৭০৬ টাকা কম হয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১৮ এবং ১৩২৫ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টি বা ৫ শতাংশের, কমেছে ৩৯টির বা ১১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮৫টির বা ৮৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ১৭৮ কোটি ৩২ লাখ ১৯ হাজার টাকা বা শূন্য দশমিক ০৫৭ শতাংশ কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭১ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৬ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ৪১৮ টাকা বা ৭৭ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬ হাজার ৮১৮ পয়েন্টে, ৮০৯ পয়েন্টে এবং ৭২৮ পয়েন্টে। অপর সূচক সিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে। এ সময়ে সিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২টির বা ১২ শতাংশের দর বেড়েছে, ৩২টির বা ১৮ শতাংশের কমেছে এবং ১২৪টির বা ৭০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।