সরকারকে রুটিন বাজেট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ

সরকারকে রুটিন বাজেট থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের মতামত আমলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ও সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি অর্থবহ বাজেটের জন্য ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও রাজস্ব- এ তিনটি খাত সংস্কারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল ‘সিপিডি বাজেট সংলাপ ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় সাবেক গভর্নর এ পরামর্শ দেন।

প্রস্তাবিত বাজেট পরিবর্তনের এখনও সময় আছে জানিয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারের বাজেট যেন রুটিনের হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে এ বাজেট না হয় যা প্রস্তাব করা হলো তাই পাস হলো সেটা যেন না হয়। বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে পরামর্শ মতামত দিচ্ছেন। এগুলো যেন যোগ করা হয়। বাজেট যেন জনবান্ধবমুখী হয়। সাধারণ মানুষ যেন উপকার পায়। কারণ ইতোমধ্যে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এর কারণে দেশের রপ্তানি, রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ বেশিরভাগ খাতে সংকট তৈরি হয়েছে। ব্যাংক পুঁজিবাজারসহ দেশের আর্থিক খাতের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান সংকট মোকাবিলায় ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও রাজস্ব- এ তিনটি খাতের সংস্কারের প্রস্তাব থাকা দরকার। সাধারণত সবসময় রুটিন বাজেট হয়ে থাকে। তবে এবারের বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রম হবে এমনটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবে তা দেখিনি। আয় আর ব্যয় নির্ধারণের এই বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে।

অর্থনীতি বিশ্লেষক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা উচিত ছিল। সেটা এক বছর হোক অথবা বেশি হোক এমন কিছু সংস্কারে প্রস্তাব থাকা দরকার ছিল। বিশেষ করে ব্যাংক সেক্টরে বা আর্থিক খাতের বিষয়। আমাদের মন্দ ঋণ বেড়ে গেছে এটি কীভাবে আদায় করা যায়। ব্যাংকের পর্ষদগুলো সঠিক পরিচালনা, এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি কমানোসহ বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব। সরকার যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার বেশিরভাগ ব্যাংক ঋণনির্ভর। এটি বাস্তবায়নে প্রস্তাব রাখা। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, আমরা সংস্কার করেছি ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ করে দিয়েছি। এটা সংস্কার নয় এটা আরও পেছনে ঠেলে দেয়া। দ্বিতীয়ত ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে কিছু সংস্কার করবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু বলা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আসবে। এটা তো রুটিন কথা। সবসময় বলে থাকে। উল্টো তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে ট্যাক্সের ব্যবধান কমে যাচ্ছে।

রবিবার, ২১ জুন ২০২০ , ৭ আষাঢ় ১৪২৭, ২৮ শাওয়াল ১৪৪১

সরকারকে রুটিন বাজেট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

সরকারকে রুটিন বাজেট থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞের মতামত আমলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ও সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি অর্থবহ বাজেটের জন্য ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও রাজস্ব- এ তিনটি খাত সংস্কারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল ‘সিপিডি বাজেট সংলাপ ২০২০’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় সাবেক গভর্নর এ পরামর্শ দেন।

প্রস্তাবিত বাজেট পরিবর্তনের এখনও সময় আছে জানিয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবারের বাজেট যেন রুটিনের হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে এ বাজেট না হয় যা প্রস্তাব করা হলো তাই পাস হলো সেটা যেন না হয়। বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে পরামর্শ মতামত দিচ্ছেন। এগুলো যেন যোগ করা হয়। বাজেট যেন জনবান্ধবমুখী হয়। সাধারণ মানুষ যেন উপকার পায়। কারণ ইতোমধ্যে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী সমস্যা। এর কারণে দেশের রপ্তানি, রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ বেশিরভাগ খাতে সংকট তৈরি হয়েছে। ব্যাংক পুঁজিবাজারসহ দেশের আর্থিক খাতের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান সংকট মোকাবিলায় ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও রাজস্ব- এ তিনটি খাতের সংস্কারের প্রস্তাব থাকা দরকার। সাধারণত সবসময় রুটিন বাজেট হয়ে থাকে। তবে এবারের বাজেট কিছুটা ব্যতিক্রম হবে এমনটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবে তা দেখিনি। আয় আর ব্যয় নির্ধারণের এই বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে।

অর্থনীতি বিশ্লেষক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা উচিত ছিল। সেটা এক বছর হোক অথবা বেশি হোক এমন কিছু সংস্কারে প্রস্তাব থাকা দরকার ছিল। বিশেষ করে ব্যাংক সেক্টরে বা আর্থিক খাতের বিষয়। আমাদের মন্দ ঋণ বেড়ে গেছে এটি কীভাবে আদায় করা যায়। ব্যাংকের পর্ষদগুলো সঠিক পরিচালনা, এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি কমানোসহ বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাব। সরকার যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার বেশিরভাগ ব্যাংক ঋণনির্ভর। এটি বাস্তবায়নে প্রস্তাব রাখা। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, আমরা সংস্কার করেছি ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ করে দিয়েছি। এটা সংস্কার নয় এটা আরও পেছনে ঠেলে দেয়া। দ্বিতীয়ত ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে কিছু সংস্কার করবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু বলা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আসবে। এটা তো রুটিন কথা। সবসময় বলে থাকে। উল্টো তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে ট্যাক্সের ব্যবধান কমে যাচ্ছে।