১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসই’তে

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারাদেশ। এতে অর্থনীতির বিছিন্ন সূচক দিন দিন নেতিবাচক হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। শেয়ারবাজারের ধস ঠেকানোর জন্য ফ্লোর প্রাইস বেধে দেয়া হয়েছে। এতে লেনদেনে এমন স্থবিরতা দেখা দিয়েছে যে গতকালের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনকে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইতে মাত্র ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা ১৩ বছর ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল গতকালকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। মূলত গতকাল ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে মোট লেনদেনও এতো কম হয়েছে। এর আগে গত ৪ জুন ডিএসইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৩৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৯ পয়েন্টে, ১৩২৭ পয়েন্টে এবং ৭৮৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭টির বা ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৪টির বা ৫ দশমিক ৭১ শতাংশের এবং ২১৪টির বা ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৯১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯টির আর ৭৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে গতকাল ২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির ৮ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৩১৮টি শেয়ার ২৪ বার হাত বদলে লেনদেন হয়েছে। যার মূল্য ৮ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাংক এশিয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে এমএল ডাইংয়ের।

এছাড়া বিএটিবিসির ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১০ লাখ ২৮ হাজার টাকার, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ১৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, গ্রামীণ স্কিম ২ এর ৯ লাখ ১২ হাজার টাকার, গ্রীনডেল্টা ফান্ডের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, ইন্দোবাংলা ফার্মার ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৯ লাখ ১২ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, ন্যাশনাল টিউবসের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, শাশা ডেনিমসের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার, সিঙ্গার বিডির ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেডের ১২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সোমবার, ২২ জুন ২০২০ , ৮ আষাঢ় ১৪২৭, ২৯ শাওয়াল ১৪৪১

১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসই’তে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারাদেশ। এতে অর্থনীতির বিছিন্ন সূচক দিন দিন নেতিবাচক হচ্ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। শেয়ারবাজারের ধস ঠেকানোর জন্য ফ্লোর প্রাইস বেধে দেয়া হয়েছে। এতে লেনদেনে এমন স্থবিরতা দেখা দিয়েছে যে গতকালের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনকে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইতে মাত্র ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা ১৩ বছর ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল গতকালকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। মূলত গতকাল ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে মোট লেনদেনও এতো কম হয়েছে। এর আগে গত ৪ জুন ডিএসইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৩৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৯ পয়েন্টে, ১৩২৭ পয়েন্টে এবং ৭৮৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭টির বা ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৪টির বা ৫ দশমিক ৭১ শতাংশের এবং ২১৪টির বা ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৯১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯টির আর ৭৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে গতকাল ২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির ৮ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৩১৮টি শেয়ার ২৪ বার হাত বদলে লেনদেন হয়েছে। যার মূল্য ৮ কোটি ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাংক এশিয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে এমএল ডাইংয়ের।

এছাড়া বিএটিবিসির ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১০ লাখ ২৮ হাজার টাকার, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ১৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, গ্রামীণ স্কিম ২ এর ৯ লাখ ১২ হাজার টাকার, গ্রীনডেল্টা ফান্ডের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, ইন্দোবাংলা ফার্মার ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৯ লাখ ১২ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৫ লাখ ২ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৫ লাখ ৭ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, ন্যাশনাল টিউবসের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, শাশা ডেনিমসের ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার, সিঙ্গার বিডির ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেডের ১২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।