করোনা উপসর্গে ৫ জেলায় মৃত্যু ৫

লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান

জেলা বার্তা পরিবেশক, লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান মারা গেছেন। গত রোববার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম শহিদ উল্লাহ। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার উপসর্গে ৫০ জন মারা গেলেন। তাঁদের সবার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়।

মোরেলগঞ্জে ড্রেজার শ্রমিক

প্রতিনিধি,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে সোলায়মান মুন্সী (৩৫) নামের ড্রেজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। সে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া গ্রামের সোহরাফ মুন্সীর ছেলে। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ওই যুবক বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে খুলনা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে।

সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধ

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশনে গোলাম রব্বানী নামের এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সকালে তিনি মারা যান। তিনি কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের মৃত জাহাবক্স দালালের ছেলে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল গোলাম রব্বানী ভর্তি হন। পরে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক।এদিকে, এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, সাতক্ষীরা জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বাগেরহাটে ভ্যান চালক

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে শাহজালাল (২০) নামের একজন ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত শাহজালাল উপজেলার কদমতলা গ্রামের সুজন ফকিরের ছেলে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, শাহজালাল তার বাড়িতে ৩ দিন ধরে জর, সর্দি-কাশি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিল। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। করোনা উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করে তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিহতের লাশ রবিবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দেয়া হয়েছে।

ভাণ্ডারিয়ায় ব্যবসায়ী

প্রতিনিধি, ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর)

ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে গত রোববার রাতে দুলাল হাওলাদার (৫৫) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। সে গৌরিপুর গ্রামের মোতাহার আলী হাওলাদারের ছেলে। সে কয়েকদিন যাবত জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। সাধারণ জ্বর মনে করে তার স্বজনরা করোনা পরীক্ষা করাননি। তার মৃত্যুতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা করোনা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তি গভীররাতে মারা যায় এবং যথাসময়ে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবহিত না করায় মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০ , ৯ আষাঢ় ১৪২৭, ১ জিলকদ ১৪৪১

করোনা উপসর্গে ৫ জেলায় মৃত্যু ৫

লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান

জেলা বার্তা পরিবেশক, লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান মারা গেছেন। গত রোববার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম শহিদ উল্লাহ। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার উপসর্গে ৫০ জন মারা গেলেন। তাঁদের সবার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়।

মোরেলগঞ্জে ড্রেজার শ্রমিক

প্রতিনিধি,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে সোলায়মান মুন্সী (৩৫) নামের ড্রেজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। সে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া গ্রামের সোহরাফ মুন্সীর ছেলে। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ওই যুবক বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে খুলনা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে।

সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধ

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশনে গোলাম রব্বানী নামের এক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সকালে তিনি মারা যান। তিনি কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের মৃত জাহাবক্স দালালের ছেলে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল গোলাম রব্বানী ভর্তি হন। পরে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক।এদিকে, এ নিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, সাতক্ষীরা জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বাগেরহাটে ভ্যান চালক

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে শাহজালাল (২০) নামের একজন ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত শাহজালাল উপজেলার কদমতলা গ্রামের সুজন ফকিরের ছেলে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, শাহজালাল তার বাড়িতে ৩ দিন ধরে জর, সর্দি-কাশি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিল। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। করোনা উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করে তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিহতের লাশ রবিবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দেয়া হয়েছে।

ভাণ্ডারিয়ায় ব্যবসায়ী

প্রতিনিধি, ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর)

ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে গত রোববার রাতে দুলাল হাওলাদার (৫৫) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। সে গৌরিপুর গ্রামের মোতাহার আলী হাওলাদারের ছেলে। সে কয়েকদিন যাবত জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। সাধারণ জ্বর মনে করে তার স্বজনরা করোনা পরীক্ষা করাননি। তার মৃত্যুতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা করোনা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তি গভীররাতে মারা যায় এবং যথাসময়ে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবহিত না করায় মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।