খালের ৩ কিমি.র মধ্যে সেতু নেই : দুর্ভোগে গ্রামবাসী

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খালের দু’পাড়ে বসবাসকারী ১০ হাজার মানুষের চলাচলে নেই কোন সেতু। বেশ কয়েকটি বাঁশের সাঁকো দিয়েই কাশিয়ানী উপজেলার বিলবেষ্টিত নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি ও নিজামকান্দি গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধ হয়েছে। এ সাঁকোর ওপর ভর করেই গ্রামের মানুষ বিলের জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করেন। ফলসি গ্রামের সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনের খালের সাঁকো এ কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এ সাঁকো পার হতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পরতে হয় গ্রামবাসীকে। ফলসি গ্রামবাসী ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। নিজামকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. জাহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ফলসি বাজার থেকে নিজামকান্দি পোস্ট অফিস কাচা সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ব্রিজ নেই। খালে একাধিক বাঁশের সাঁকো দিয়েই দু’গ্রামের মানুষ এপার ওপার চলাচল করেন। এতে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। ফলসি গ্রামের ফরিদ আহম্মেদ মোল্লা বলেন, আমাদের গ্রামের কৃষকরে কয়েক হাজার বিঘা জমি ফলসি দক্ষিণ ডাঙ্গা বিলে। ওই বিলের জমিতে কাজ করতে অধিকাংশ কৃষক খালের সাঁকো পার হন। বিলের জমিতে উৎপাদিত পণ্য এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করা হয়। এতে আমাদের কষ্টের শেষ নেই। সাঁকোর অপর পারে বেলায়েত সরদার তার জায়গা দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছেন। সরকার এখানে একটি ব্রিজ করে দিলে আমাদের এ দুর্ভোগ লাঘব হবে। ফলসি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তালেব মোল্লা বলেন, সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনে খালের ওপর ব্রিজ খুবই দরকার। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও কোন কাজ হয়নি। কাশিয়ানী উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া বলেন, ওই সড়কটি আমাদের। সড়কের মধ্যে কোন ব্রিজ হলে আমরা করে দিতে পারি। কিন্তু সড়কের বাম বা ডানপাশে ব্রিজের প্রয়োজন হলে আমরা দিতে পারি না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এটি করে দিতে পারে বলে জানান ওই প্রকৌশলী। কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরান হোসেন মিয়া বলেন, আগামী আগস্টে আমরা এ ব্যাপারে প্রকল্প করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠাবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেই এ ব্রিজ করা সম্ভব হবে।

বুধবার, ২৪ জুন ২০২০ , ১০ আষাঢ় ১৪২৭, ২ জিলকদ ১৪৪১

খালের ৩ কিমি.র মধ্যে সেতু নেই : দুর্ভোগে গ্রামবাসী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ

image

গোপালগঞ্জ : কাশিয়ানীর ফলসী গ্রামের ভাঙ্গা সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হয় গ্রামবাসী -সংবাদ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খালের দু’পাড়ে বসবাসকারী ১০ হাজার মানুষের চলাচলে নেই কোন সেতু। বেশ কয়েকটি বাঁশের সাঁকো দিয়েই কাশিয়ানী উপজেলার বিলবেষ্টিত নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি ও নিজামকান্দি গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধ হয়েছে। এ সাঁকোর ওপর ভর করেই গ্রামের মানুষ বিলের জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করেন। ফলসি গ্রামের সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনের খালের সাঁকো এ কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এ সাঁকো পার হতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পরতে হয় গ্রামবাসীকে। ফলসি গ্রামবাসী ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। নিজামকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. জাহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ফলসি বাজার থেকে নিজামকান্দি পোস্ট অফিস কাচা সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ব্রিজ নেই। খালে একাধিক বাঁশের সাঁকো দিয়েই দু’গ্রামের মানুষ এপার ওপার চলাচল করেন। এতে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। ফলসি গ্রামের ফরিদ আহম্মেদ মোল্লা বলেন, আমাদের গ্রামের কৃষকরে কয়েক হাজার বিঘা জমি ফলসি দক্ষিণ ডাঙ্গা বিলে। ওই বিলের জমিতে কাজ করতে অধিকাংশ কৃষক খালের সাঁকো পার হন। বিলের জমিতে উৎপাদিত পণ্য এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করা হয়। এতে আমাদের কষ্টের শেষ নেই। সাঁকোর অপর পারে বেলায়েত সরদার তার জায়গা দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছেন। সরকার এখানে একটি ব্রিজ করে দিলে আমাদের এ দুর্ভোগ লাঘব হবে। ফলসি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তালেব মোল্লা বলেন, সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনে খালের ওপর ব্রিজ খুবই দরকার। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও কোন কাজ হয়নি। কাশিয়ানী উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া বলেন, ওই সড়কটি আমাদের। সড়কের মধ্যে কোন ব্রিজ হলে আমরা করে দিতে পারি। কিন্তু সড়কের বাম বা ডানপাশে ব্রিজের প্রয়োজন হলে আমরা দিতে পারি না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এটি করে দিতে পারে বলে জানান ওই প্রকৌশলী। কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরান হোসেন মিয়া বলেন, আগামী আগস্টে আমরা এ ব্যাপারে প্রকল্প করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠাবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেই এ ব্রিজ করা সম্ভব হবে।