হরিহর নদীর বাঁধে নিষ্কাশন বন্ধ : পানিবন্দী মানুষ

হরিহর নদীর বাঁধে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে উজানের পানিতে কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল, হাবাসপোল ও আলতাপোল এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ওই এলাকার ৫০ পরিবার। পানিতে তলিয়ে গেছে কেশবপুর, মধ্যকুল ও আলতাপোল এলাকার ৬টি সড়ক। কেশবপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আপারভদ্রা, হরিহর, বুড়িভদ্রা নদী ও তৎসংলগ্ন খালগুলোর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের নামে ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নদী-খাল পুনর্খনন কাজ শুরু করে। এসব নদীর অধিকাংশ স্থানে বাঁধ দিয়ে খনন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে খনন কাজ। চলতি বছর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগাম ভারি বর্ষণ শুরু হয়। এ অবস্থায় নদীর বাঁধের কারণে বর্ষার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। হরিহর নদীর উজানের পানি খোজাখালি ও আলতাপোল খাল দিয়ে ঢুকে মধ্যকুল, হাবাসপোল ও আলতাপোল এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মধ্যকুল খানপাড়া, ও বিশ্বাস পাড়ার জনগণ। পানিতে তলিয়ে গেছে সাহা পাড়া, সরদার পাড়া, মধ্যকুলের খান পাড়া, ভবানিপুর সড়কসহ আলতাপোল এলাকার ২টি সড়ক। সরেজমিনে মধ্যকুলের খানপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল বারিকের স্ত্রী বিউটি বেগম বাড়িতে পানির ভেতর দিয়ে সাংসারিক কাজকর্ম করছেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, নদীর পানি বাড়িতে ওঠায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আছাদুল্লাহ বলেন, হরিহর নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে খনন কাজ চলছে। যে কারণে নদীর ও বৃষ্টির পানি এক হয়ে তীরবর্তী কিছু এলাকায় পানি উঠেছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত খনন কাজ চলবে। এরপর বাঁধ অপসারণ করার পর এ সমস্যা আর থাকবে না।

বুধবার, ২৪ জুন ২০২০ , ১০ আষাঢ় ১৪২৭, ২ জিলকদ ১৪৪১

হরিহর নদীর বাঁধে নিষ্কাশন বন্ধ : পানিবন্দী মানুষ

শামসুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)

image

কেশবপুর (যশোর) : হরিহর নদীর উজানের পানিতে তলিয়ে পৌর এলাকা -সংবাদ

হরিহর নদীর বাঁধে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে উজানের পানিতে কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল, হাবাসপোল ও আলতাপোল এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ওই এলাকার ৫০ পরিবার। পানিতে তলিয়ে গেছে কেশবপুর, মধ্যকুল ও আলতাপোল এলাকার ৬টি সড়ক। কেশবপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আপারভদ্রা, হরিহর, বুড়িভদ্রা নদী ও তৎসংলগ্ন খালগুলোর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের নামে ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নদী-খাল পুনর্খনন কাজ শুরু করে। এসব নদীর অধিকাংশ স্থানে বাঁধ দিয়ে খনন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে খনন কাজ। চলতি বছর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগাম ভারি বর্ষণ শুরু হয়। এ অবস্থায় নদীর বাঁধের কারণে বর্ষার অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। হরিহর নদীর উজানের পানি খোজাখালি ও আলতাপোল খাল দিয়ে ঢুকে মধ্যকুল, হাবাসপোল ও আলতাপোল এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মধ্যকুল খানপাড়া, ও বিশ্বাস পাড়ার জনগণ। পানিতে তলিয়ে গেছে সাহা পাড়া, সরদার পাড়া, মধ্যকুলের খান পাড়া, ভবানিপুর সড়কসহ আলতাপোল এলাকার ২টি সড়ক। সরেজমিনে মধ্যকুলের খানপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল বারিকের স্ত্রী বিউটি বেগম বাড়িতে পানির ভেতর দিয়ে সাংসারিক কাজকর্ম করছেন। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, নদীর পানি বাড়িতে ওঠায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আছাদুল্লাহ বলেন, হরিহর নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে খনন কাজ চলছে। যে কারণে নদীর ও বৃষ্টির পানি এক হয়ে তীরবর্তী কিছু এলাকায় পানি উঠেছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত খনন কাজ চলবে। এরপর বাঁধ অপসারণ করার পর এ সমস্যা আর থাকবে না।