সরিষাবাড়ীতে ৪ কিমি. সড়ক বেহাল : বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নের শতবর্ষী ডোয়াইল বাজার হতে বেপারীপাড়া বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটির বেহাল দশা। এতে দুর্ভোগে ৬ হাজার গ্রামবাসী। এ সড়কের সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। গত ২১ জুন কর্দমাক্ত সড়কে ধান রোপণ করে প্রতিবাদ জানায় তারা।

বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সূত্রে জানাগেছে,সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নের শতবর্ষী ডোয়াইল বাজার হতে বেপারী পাড়া বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি যার। এ কাচা রাস্তাটি দিয়ে ডোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ডোয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে ডোয়াইল বেপারীপাড়া, ডোয়াইল কাজীসদর, ডোয়াইল ডুলুপাড়া, ডোয়াইল পূর্ব পাড়া, ডোয়াইল ঘোনারপাড়া ডোয়াইল বিলপাড়া ডোয়াইল দক্ষিণ পাড়া, পরমানন্দপুর, ভবানীপুরপূর্ব পাড়া গ্রামসহ প্রায় ৫-৬ হাজার লোকজন প্রতিদিন নানা ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। বর্ষাকালীন ভ্যান, অটোভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অনুপোযোগী, প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা, বাড়ছে জনসাধারণ ও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ। প্রসূতি মা বোনদের জরুরি সেবাদানের জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অত্র এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে রাস্তা না থাকায় পাইকার ব্যবসায়ীগণ যাইতে চায় না । ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক।

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এখন চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় শিক্ষার্থীসহ এই অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার মানুষ আর প্রায় এক হাজার বিভিন্ন পরিবহন প্রতিদিন চলাচল করে।

কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তাটির বেহাল দশা হলেও কোন প্রতিকার নেই বললেই চলে। এ রাস্তাটি দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (বিএসসি) জানান, এ কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ৫-৬ হাজার লোকজন নানা ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। বর্ষাকালীন ভ্যান, অটোভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। জনস্বার্থে রাস্তাটি পাকা করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন।

image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : কর্দমাক্ত সড়কে আটকে যাওয়া ঠেলাগাড়ি টেনে তোলার প্রাণান্ত চেষ্টা -সংবাদ

আরও খবর
১২ জেলায় মেম্বরসহ শনাক্ত ১৩৮
৩ জেলায় মাস্ক-খাদ্য বিতরণ
পদ্মায় ২৫ কেজি ওজনের বাগাইড়

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ , ১১ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জিলকদ ১৪৪১

সরিষাবাড়ীতে ৪ কিমি. সড়ক বেহাল : বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

আব্দুল আজিজ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)

image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : কর্দমাক্ত সড়কে আটকে যাওয়া ঠেলাগাড়ি টেনে তোলার প্রাণান্ত চেষ্টা -সংবাদ

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নের শতবর্ষী ডোয়াইল বাজার হতে বেপারীপাড়া বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটির বেহাল দশা। এতে দুর্ভোগে ৬ হাজার গ্রামবাসী। এ সড়কের সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। গত ২১ জুন কর্দমাক্ত সড়কে ধান রোপণ করে প্রতিবাদ জানায় তারা।

বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সূত্রে জানাগেছে,সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নের শতবর্ষী ডোয়াইল বাজার হতে বেপারী পাড়া বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি যার। এ কাচা রাস্তাটি দিয়ে ডোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ডোয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে ডোয়াইল বেপারীপাড়া, ডোয়াইল কাজীসদর, ডোয়াইল ডুলুপাড়া, ডোয়াইল পূর্ব পাড়া, ডোয়াইল ঘোনারপাড়া ডোয়াইল বিলপাড়া ডোয়াইল দক্ষিণ পাড়া, পরমানন্দপুর, ভবানীপুরপূর্ব পাড়া গ্রামসহ প্রায় ৫-৬ হাজার লোকজন প্রতিদিন নানা ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। বর্ষাকালীন ভ্যান, অটোভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অনুপোযোগী, প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা, বাড়ছে জনসাধারণ ও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ। প্রসূতি মা বোনদের জরুরি সেবাদানের জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অত্র এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে রাস্তা না থাকায় পাইকার ব্যবসায়ীগণ যাইতে চায় না । ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক।

দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এখন চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় শিক্ষার্থীসহ এই অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার মানুষ আর প্রায় এক হাজার বিভিন্ন পরিবহন প্রতিদিন চলাচল করে।

কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত এই রাস্তাটির বেহাল দশা হলেও কোন প্রতিকার নেই বললেই চলে। এ রাস্তাটি দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (বিএসসি) জানান, এ কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ৫-৬ হাজার লোকজন নানা ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। বর্ষাকালীন ভ্যান, অটোভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। জনস্বার্থে রাস্তাটি পাকা করার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন।