ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে সম্প্রতি বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ প্রকাশের বিভিন্ন স্তরে ফেক নিউজ বা ভুয়া সংবাদের অস্তিত্ব থাকলেও ডিজিটাল যুগে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করে প্রযুক্তিকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা যায়, তার পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। কর্মশালার কি নোট উপস্থাপন করেন আমেরিকার ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেটা সাইন্স বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিচালক অ্যাডিশনাল ডিআইজি তবারক উল্লাহ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সেমিনারটির আয়োজক ছিলেন আইসিটি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ)।

একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু অনুষ্ঠানে বলেন, প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমগুলো ফেক নিউজের বড় ভিকটিম। কারণ ফেক নিউজের দাপটে অথেনটিক নিউজ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। কোন ইনসিডেন্টে ৫০ জন লোক হতাহত হলে মানুষ শুনতে চায় ৫০০ লোক হতাহতের কথা। এটা না পেলেই তারা সন্দেহ করে। ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটানো জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল মনে করেন, ফেক নিউজ বোঝার জন্য যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন, একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা অসম্ভব। যদি এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা সার্ভিস গড়ে তোলা যায় যে, যারা একটি নিউজের সত্য মিথ্যা যাচাই করে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে উপস্থিত করবে, তাহলে নিউজ শেয়ারের আগে মানুষ একটা পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে।

অভিনেত্রী মেহজাবিন ফেক নিউজ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলে অনলাইনে নারীদের ভার্নাবিলিটির কথা তুলে ধরেন। তার মতে, বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশে ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের অফিস স্থাপন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেমিনারে একাধিক প্যানেলিস্ট দেশীয় সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির বিষয়েও প্রস্তাব রাখেন।

প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ফেক নিউজ মোকাবিলায় আইসিটি বিভাগ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সচেতনতা মূলক কর্মকা-, সমাজের ডিজিটাল লিটারেসি বাড়াতে প্রকল্প গ্রহণসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে কার্যকর করার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ও আইনগত সহয়তার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি হেল্পলাইন তৈরি ও ভুয়া সংবাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্যাক্ট চেকিং সাইট তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০ , ১১ আষাঢ় ১৪২৭, ৩ জিলকদ ১৪৪১

ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণে সেমিনার অনুষ্ঠিত

image

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে সম্প্রতি বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ প্রকাশের বিভিন্ন স্তরে ফেক নিউজ বা ভুয়া সংবাদের অস্তিত্ব থাকলেও ডিজিটাল যুগে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করে প্রযুক্তিকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা যায়, তার পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। কর্মশালার কি নোট উপস্থাপন করেন আমেরিকার ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেটা সাইন্স বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিচালক অ্যাডিশনাল ডিআইজি তবারক উল্লাহ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সেমিনারটির আয়োজক ছিলেন আইসিটি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি (সিসিএ)।

একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু অনুষ্ঠানে বলেন, প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমগুলো ফেক নিউজের বড় ভিকটিম। কারণ ফেক নিউজের দাপটে অথেনটিক নিউজ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। কোন ইনসিডেন্টে ৫০ জন লোক হতাহত হলে মানুষ শুনতে চায় ৫০০ লোক হতাহতের কথা। এটা না পেলেই তারা সন্দেহ করে। ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটানো জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল মনে করেন, ফেক নিউজ বোঝার জন্য যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন, একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা অসম্ভব। যদি এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা সার্ভিস গড়ে তোলা যায় যে, যারা একটি নিউজের সত্য মিথ্যা যাচাই করে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে উপস্থিত করবে, তাহলে নিউজ শেয়ারের আগে মানুষ একটা পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে।

অভিনেত্রী মেহজাবিন ফেক নিউজ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলে অনলাইনে নারীদের ভার্নাবিলিটির কথা তুলে ধরেন। তার মতে, বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশে ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের অফিস স্থাপন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেমিনারে একাধিক প্যানেলিস্ট দেশীয় সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির বিষয়েও প্রস্তাব রাখেন।

প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ফেক নিউজ মোকাবিলায় আইসিটি বিভাগ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সচেতনতা মূলক কর্মকা-, সমাজের ডিজিটাল লিটারেসি বাড়াতে প্রকল্প গ্রহণসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে কার্যকর করার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ও আইনগত সহয়তার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি হেল্পলাইন তৈরি ও ভুয়া সংবাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্যাক্ট চেকিং সাইট তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।