প্রতিবাদী মেম্বারকে হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

ক্ষুদ্র মুদী দোকানদার ধননজয় আকাশের দোকানে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক দলবল নিয়ে এক পুড়িয়া গাঁজা পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেবার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান ইউপি সদস্য পদ খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার দাবি করেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউনিয়ন পীরগাছার মধ্যে পড়লেও একাংশ রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের মাহিগজ্ঞ থানার মধ্যে পড়েছে। মাহিগজ্ঞ থানার অধিন তালুক উপাশু এলাকায় রেলগেট ঘুনটির পাড় এলাকায় হতদরিদ্র মৃত গনেশ অধিকারির ছেলে ধননজয় আকাশ ছোট্ট একটি মুদী দোকান করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছে। গত ৩০ এপ্রিল সন্ধার দিকে পূর্বশত্রতার জের ধরে ৩টি মোটরসাইকেলে করে কল্যানী ইউপি চেয়ারম্যান তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে আকাশের দোকানে যায়। সে আকাশকে বলে তার দোকানে গাঁজা বিক্রয় হয়। এ কথা বলে দোকান তল্লাশি করে কোন গাঁজার সন্ধান না পাওয়ায় চেয়ারম্যান তার সহযোগী সুভলকে বলে আবারো তল্লাশি করতে বলে। এ সময় তল্লাশির নামে সুভল তার পকেট থেকে এক পুড়িয়া গাঁজা দোকানে রেখে বলে এক পুড়িয়া গাঁজা পাওয়া গেছে। এ সময় উপস্থিত শত শত মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে দোকানে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। পরে এক পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে দোকানি আকাশকে শত শত মানুষের সামনে পিটিয়ে আহত করে। এরপর মাহিগজ্ঞ থানায় খবর দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম পুলিশের কাছে আকাশকে তুলে দেয়। এ ঘটনা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও চেয়ারম্যানের প্রভাবে তাকে এক পুড়িয়া গাঁজা রাখার অপরাধে মাদক মামলা দায়ের করে আদালতে চালান দেয় পুলিশ। স্থানীয় ইউপি মেম্বার হিসেবে জালালকে আকাশের মা সহ স্বজনরা দেখা করে বিচার দাবি করে। ইউপি মেম্বার বিষয়টি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, রংপুর কালিবাড়ি কমিটিসহ বিভিন্নস্থানে অভিযোগ করতে বলেন। পরে আকাশের স্বজনরা পুজা উদযাপন পরিষদ ও কালিবাড়িতে গিয়ে বিচার দাবি করে। অন্যদিকে এলাকাবাসিও মুদি দোকানদার আকাশের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং বলে সে মাদক ব্যবসায়ী নয় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে গ্রেফতার করাবে এবং তদার মেম্বারী খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে দিন কাটছে তার। পুরো ঘটনা জানিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি করেছে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন।

এ ব্যাপারে মাহিগজ্ঞ থানার ওসি আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আকাশ মাদক ব্যবসায়ী নয় বলে এলাকাবাসির অনেকে জানিয়েছে তা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইউপি মেম্বাররা। তিনি বলেন ইউপি সদস্য জালালকে হুমকি দেবার বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।

শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০ , ১২ আষাঢ় ১৪২৭, ৪ জিলকদ ১৪৪১

মাদক রেখে দোকানিকে পুলিশে

প্রতিবাদী মেম্বারকে হুমকি ইউপি চেয়ারম্যানের

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

ক্ষুদ্র মুদী দোকানদার ধননজয় আকাশের দোকানে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক দলবল নিয়ে এক পুড়িয়া গাঁজা পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেবার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান ইউপি সদস্য পদ খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম। এ ঘটনার বিচার চেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার দাবি করেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউনিয়ন পীরগাছার মধ্যে পড়লেও একাংশ রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের মাহিগজ্ঞ থানার মধ্যে পড়েছে। মাহিগজ্ঞ থানার অধিন তালুক উপাশু এলাকায় রেলগেট ঘুনটির পাড় এলাকায় হতদরিদ্র মৃত গনেশ অধিকারির ছেলে ধননজয় আকাশ ছোট্ট একটি মুদী দোকান করে জিবিকা নির্বাহ করে আসছে। গত ৩০ এপ্রিল সন্ধার দিকে পূর্বশত্রতার জের ধরে ৩টি মোটরসাইকেলে করে কল্যানী ইউপি চেয়ারম্যান তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে আকাশের দোকানে যায়। সে আকাশকে বলে তার দোকানে গাঁজা বিক্রয় হয়। এ কথা বলে দোকান তল্লাশি করে কোন গাঁজার সন্ধান না পাওয়ায় চেয়ারম্যান তার সহযোগী সুভলকে বলে আবারো তল্লাশি করতে বলে। এ সময় তল্লাশির নামে সুভল তার পকেট থেকে এক পুড়িয়া গাঁজা দোকানে রেখে বলে এক পুড়িয়া গাঁজা পাওয়া গেছে। এ সময় উপস্থিত শত শত মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে দোকানে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। পরে এক পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে দোকানি আকাশকে শত শত মানুষের সামনে পিটিয়ে আহত করে। এরপর মাহিগজ্ঞ থানায় খবর দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম পুলিশের কাছে আকাশকে তুলে দেয়। এ ঘটনা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও চেয়ারম্যানের প্রভাবে তাকে এক পুড়িয়া গাঁজা রাখার অপরাধে মাদক মামলা দায়ের করে আদালতে চালান দেয় পুলিশ। স্থানীয় ইউপি মেম্বার হিসেবে জালালকে আকাশের মা সহ স্বজনরা দেখা করে বিচার দাবি করে। ইউপি মেম্বার বিষয়টি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, রংপুর কালিবাড়ি কমিটিসহ বিভিন্নস্থানে অভিযোগ করতে বলেন। পরে আকাশের স্বজনরা পুজা উদযাপন পরিষদ ও কালিবাড়িতে গিয়ে বিচার দাবি করে। অন্যদিকে এলাকাবাসিও মুদি দোকানদার আকাশের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং বলে সে মাদক ব্যবসায়ী নয় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে গ্রেফতার করাবে এবং তদার মেম্বারী খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে দিন কাটছে তার। পুরো ঘটনা জানিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি করেছে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন।

এ ব্যাপারে মাহিগজ্ঞ থানার ওসি আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আকাশ মাদক ব্যবসায়ী নয় বলে এলাকাবাসির অনেকে জানিয়েছে তা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইউপি মেম্বাররা। তিনি বলেন ইউপি সদস্য জালালকে হুমকি দেবার বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।