পাথরঘাটায় ইউএনও’র প্রচেষ্টায় প্রকৃত জেলেরা তালিকাভুক্ত

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবিরের হস্তক্ষেপে প্রকৃত জেলেরা তালিকাভুক্ত হতে পেরে জেলেদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলায় ১৪ হাজার ৩৫০ জন জেলে তালিকাভুক্ত থাকলেও তাদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করছেন, কেউ পেশা পরিবর্তন করেছেন তাছাড়া কেউ কেউ অসত্য তথ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এ কারণে জাটকা নিধনে বিরত থাকার সময় জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণে উপজেলার ৭টি ইউপি ও একটি পৌরসভার একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে উপজেলার কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যানের জেল হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে একটি স্বচ্ছ তালিকার - পদক্ষেপ গ্রহণ করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

তিনি জেলেদেরকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন। এর মধ্যে সামুদ্রিক, নদী ও স্থানীয় খাল-বিলে মাছ শিকার করা জেলে। এরপর তিনি উপজেলার সকল যায়গায় মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করে প্রতি ইউনিয়নের একাধিক স্থানে জেলেদের উপস্থিত করে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অফিস ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত প্রত্যেক জেলেকে জনসমুক্ষে যাচাইসহ জেলে মাঝিদের মাধ্যমে জেলেদের কাজের বিভিন্ন মৌখিক তথ্য নিয়ে তালিকা করেছেন। এরপর যাতে অপেশাদার লোক জেলে তালিকাভুক্ত নাহতে পারে সেই জন্য খসড়া তালিকা প্রকাশ করে আপত্তি বা মতামত প্রকাশের সময় দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছেন। পাথরঘাটা উপজেলা ইউএনও অফিস ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় জেলেদের হালনাগাদ তালিকা শুরু হয়েছে ৩১ মে ২০। শেষে হয়েছে ৯ জুন ২০।

এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন বলেন, একটি সচ্ছ জেলে তালিকা করা হয়েছে। এখন থেকে সকল সুযোগ সুবিধা প্রকৃত জেলেরা ভোগ করবে।

শনিবার, ২৭ জুন ২০২০ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৭, ৫ জিলকদ ১৪৪১

পাথরঘাটায় ইউএনও’র প্রচেষ্টায় প্রকৃত জেলেরা তালিকাভুক্ত

প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা)

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবিরের হস্তক্ষেপে প্রকৃত জেলেরা তালিকাভুক্ত হতে পেরে জেলেদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলায় ১৪ হাজার ৩৫০ জন জেলে তালিকাভুক্ত থাকলেও তাদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করছেন, কেউ পেশা পরিবর্তন করেছেন তাছাড়া কেউ কেউ অসত্য তথ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এ কারণে জাটকা নিধনে বিরত থাকার সময় জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণে উপজেলার ৭টি ইউপি ও একটি পৌরসভার একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে উপজেলার কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যানের জেল হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে একটি স্বচ্ছ তালিকার - পদক্ষেপ গ্রহণ করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

তিনি জেলেদেরকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন। এর মধ্যে সামুদ্রিক, নদী ও স্থানীয় খাল-বিলে মাছ শিকার করা জেলে। এরপর তিনি উপজেলার সকল যায়গায় মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করে প্রতি ইউনিয়নের একাধিক স্থানে জেলেদের উপস্থিত করে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অফিস ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত প্রত্যেক জেলেকে জনসমুক্ষে যাচাইসহ জেলে মাঝিদের মাধ্যমে জেলেদের কাজের বিভিন্ন মৌখিক তথ্য নিয়ে তালিকা করেছেন। এরপর যাতে অপেশাদার লোক জেলে তালিকাভুক্ত নাহতে পারে সেই জন্য খসড়া তালিকা প্রকাশ করে আপত্তি বা মতামত প্রকাশের সময় দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছেন। পাথরঘাটা উপজেলা ইউএনও অফিস ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় জেলেদের হালনাগাদ তালিকা শুরু হয়েছে ৩১ মে ২০। শেষে হয়েছে ৯ জুন ২০।

এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন বলেন, একটি সচ্ছ জেলে তালিকা করা হয়েছে। এখন থেকে সকল সুযোগ সুবিধা প্রকৃত জেলেরা ভোগ করবে।