গোয়ালন্দের নৌপথে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যাত্রী। ঝুঁকিতে রয়েছেন লঞ্চের স্টাফরাও। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারপার হচ্ছে এই নৌপথ দিয়ে।

গত বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে দেখা যায়, লঞ্চে যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে হুড়মুড় করে লঞ্চ থেকে নামছে ও উঠছে। গাদাগাদি করে লঞ্চের মধ্যে বসে আছে। লঞ্চের মাস্টার, সুকানি, লস্কার এরাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না। অনেক যাত্রীকে মুখে মাস্ক না নিয়েই লঞ্চ থেকে নামতে দেখা যায়। করোনাভাইরাস সংক্রামন রোধে জনসমগাম স্থান অথবা লঞ্চ ঘাটে জীবানু নাশক টানেল স্প্রে মেশিন থাকলেও দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে ব্যতিক্রম। এখানে যাত্রীদের জন্য নেই কোন টানেল স্প্রে মেশিন। যাত্রীদের জন্য হাত ধোয়ার বেসিং থাকলেও তাতে পানি ও সাবান দেখা যায়নি। এভাবেই প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ। দৌলতদিয়া থেকে লঞ্চে যাত্রী তোলার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওঠতে বারবার আহ্বান করা হচ্ছে। কেউ শুনছে আবার কেউ শুনছে না। শিশুসহ বয়স্ক মানুষ এভাবে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে যাতায়াত করছে। এ সময় নৌপুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের ট্রাফিক বিভাগের লোকজনকে দেখা গেলেও তারা কিছুটা দূরে অবস্থান করছিলেন।

এম.ভি মোস্তফা লঞ্চের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন সেখ বলেন, শুধু যাত্রীরা কেন? আমরা ও লঞ্চের সকল স্টাফ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছি। পেটের দায়ে আমরা লঞ্চ চালাচ্ছি।

বিআইডাব্লিউটির দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. আফতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাত্রীদেরকে বারবার সতর্ক করে মাইকিং প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আগামী সাপ্তাহে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে একটি জীবাণুনাশক টানেল স্প্রে মেশিন বসানো হবে।

শনিবার, ২৭ জুন ২০২০ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৭, ৫ জিলকদ ১৪৪১

গোয়ালন্দের নৌপথে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

image

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : সামাজিক দূরত্ব না মেনে হুড়াহুড়ি করে লঞ্চ থেকে নামছেন যাত্রীরা -সংবাদ

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যাত্রী। ঝুঁকিতে রয়েছেন লঞ্চের স্টাফরাও। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারপার হচ্ছে এই নৌপথ দিয়ে।

গত বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে দেখা যায়, লঞ্চে যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে হুড়মুড় করে লঞ্চ থেকে নামছে ও উঠছে। গাদাগাদি করে লঞ্চের মধ্যে বসে আছে। লঞ্চের মাস্টার, সুকানি, লস্কার এরাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছে না। অনেক যাত্রীকে মুখে মাস্ক না নিয়েই লঞ্চ থেকে নামতে দেখা যায়। করোনাভাইরাস সংক্রামন রোধে জনসমগাম স্থান অথবা লঞ্চ ঘাটে জীবানু নাশক টানেল স্প্রে মেশিন থাকলেও দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে ব্যতিক্রম। এখানে যাত্রীদের জন্য নেই কোন টানেল স্প্রে মেশিন। যাত্রীদের জন্য হাত ধোয়ার বেসিং থাকলেও তাতে পানি ও সাবান দেখা যায়নি। এভাবেই প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ। দৌলতদিয়া থেকে লঞ্চে যাত্রী তোলার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওঠতে বারবার আহ্বান করা হচ্ছে। কেউ শুনছে আবার কেউ শুনছে না। শিশুসহ বয়স্ক মানুষ এভাবে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে যাতায়াত করছে। এ সময় নৌপুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের ট্রাফিক বিভাগের লোকজনকে দেখা গেলেও তারা কিছুটা দূরে অবস্থান করছিলেন।

এম.ভি মোস্তফা লঞ্চের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন সেখ বলেন, শুধু যাত্রীরা কেন? আমরা ও লঞ্চের সকল স্টাফ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছি। পেটের দায়ে আমরা লঞ্চ চালাচ্ছি।

বিআইডাব্লিউটির দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. আফতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাত্রীদেরকে বারবার সতর্ক করে মাইকিং প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আগামী সাপ্তাহে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে একটি জীবাণুনাশক টানেল স্প্রে মেশিন বসানো হবে।