সীতাকুণ্ডে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ ডাক্তারসহ করোনা আক্রান্ত ৯

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফ্রন্ট লাইনের করোনা আক্রান্ত যোদ্ধাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা ও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পর্যন্ত সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চালকসহ ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সীতাকুণ্ড মডেল থানার ১ জন ওসি (ইন্টেলিজেন্ট), ৬ জন উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবলসহ ১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া একরামুল ইসলাম নামে পুলিশের ১ জন উপ-পরিদর্শক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে কেউ নিজ বাসায়, কেউ নগরীর হাসপাতালে এবং আবার কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

জানা যায়, দীর্ঘ সময় সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে জানা-অজানাভাবে করোনা আক্রান্ত হন দায়িত্বরত ডাক্তার ও সেবায় নিয়োজিত কর্তব্যব্যক্তিরা। আর এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার সময় ১৪/২১ দিন হওয়ায়, একদিকে আক্রান্ত, অন্যদিকে ডাক্তার স্বল্পতা, দুইয়ে মিলে সাধারণ রোগীর চিকিৎসা সেবা আরও বেশি ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশি সেবামূলক কাজ করেছেন। এক সময় পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে হিমসিম খেতো। সেই পুলিশ সীতাকুণ্ড উপজেলায় এই করোনাকালে অত্যাধিক আন্তরিকতায় সঙ্গে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত করোনা রোগীর বাড়িতে লকডাউন কার্যকর করা থেকে শুরু করে লকডাউনে থাকা বাসিন্দাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেখাও পুলিশের কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এলাকা বেঁধে লকডাউন, ত্রান বিতরণ, সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণসহ এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই করোনা চলাকালীন সময়ে পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, করোনাকালীন সময়ে মানুষের দৌড়গোড়াই সেবা অথবা কাজ করতে গিয়ে আমার সহকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার থানায় এক এসআই করোনা কাছে হার মেনে মৃত্যুবরণ করেন।

রবিবার, ২৮ জুন ২০২০ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৭, ৬ জিলকদ ১৪৪১

সীতাকুণ্ডে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ ডাক্তারসহ করোনা আক্রান্ত ৯

প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফ্রন্ট লাইনের করোনা আক্রান্ত যোদ্ধাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা ও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পর্যন্ত সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ জন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার চালকসহ ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সীতাকুণ্ড মডেল থানার ১ জন ওসি (ইন্টেলিজেন্ট), ৬ জন উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবলসহ ১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া একরামুল ইসলাম নামে পুলিশের ১ জন উপ-পরিদর্শক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে কেউ নিজ বাসায়, কেউ নগরীর হাসপাতালে এবং আবার কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

জানা যায়, দীর্ঘ সময় সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে জানা-অজানাভাবে করোনা আক্রান্ত হন দায়িত্বরত ডাক্তার ও সেবায় নিয়োজিত কর্তব্যব্যক্তিরা। আর এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার সময় ১৪/২১ দিন হওয়ায়, একদিকে আক্রান্ত, অন্যদিকে ডাক্তার স্বল্পতা, দুইয়ে মিলে সাধারণ রোগীর চিকিৎসা সেবা আরও বেশি ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশি সেবামূলক কাজ করেছেন। এক সময় পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে হিমসিম খেতো। সেই পুলিশ সীতাকুণ্ড উপজেলায় এই করোনাকালে অত্যাধিক আন্তরিকতায় সঙ্গে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার ঘোষিত করোনা রোগীর বাড়িতে লকডাউন কার্যকর করা থেকে শুরু করে লকডাউনে থাকা বাসিন্দাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেখাও পুলিশের কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এলাকা বেঁধে লকডাউন, ত্রান বিতরণ, সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণসহ এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই করোনা চলাকালীন সময়ে পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, করোনাকালীন সময়ে মানুষের দৌড়গোড়াই সেবা অথবা কাজ করতে গিয়ে আমার সহকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার থানায় এক এসআই করোনা কাছে হার মেনে মৃত্যুবরণ করেন।