‘টু-লেট’র জন্য সাড়া পাচ্ছেন ভাবনা

করোনা’র কারণে বিগত চার মাসে রাজধানী’তে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছেন। অনেকেই চাকরি হারিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন দীর্ঘদিন রাজধানীতে থাকার পরেও। প্রিয় রাজধানী’কে ভালোবেসে বুকে আগলে নিয়ে নিজের প্রিয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরেও চাকরি হারিয়ে রাজধানীকে ছেড়ে যেতে কষ্টই হয়েছে অনেকের। তেমনি একটি পরিবারের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে অনিমেষ আইচের গল্প এবং নির্মাণে ‘টু-লেট’ নাটকে। নাটকে প্রধান চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, সৈয়দ মোশাররফ, জয়রাজ ও এই প্রজন্মের নন্দিত অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। গেলো ৪ আগস্ট নাটকটি জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশের পর থেকে যারাই নাটকটি দেখছেন তারাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নাটকটির গল্প এবং এতে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকের অভিনয়েরও প্রশংসা করছেন। নাটকে শিল্পী সরকার অপু ও সৈয়দ মোশাররফের বোবা মেয়ে ময়না’ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন ভাবনা। ঘরবন্দী সময়ের গল্প নিয়ে অনিমেষ আইচের পরিচালনায় নির্মিত ‘টু-লেট’ নাটকটি করোনায় গেলো চার মাসে শুধু রাজধানীতে চাকরিহারা মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবিই ফটে উঠেছে। নাটকটি এরইমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নাটকটিতে অভিনয়ের জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছেন ভাবনা।

‘টু-লেট’ নাটকটি অভিনয় প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী গল্পটা শুনেই প্রথম আমার মন ভীষণ খারাপ হয়েছিল। ময়না চরিত্রটি আমার নিজের ভেতর পরিচালকের ভাবনা অনুযায়ীই প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়েই অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা এই নাটকে কাজ করার সার্থকতা হলো, নাটকটি দেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে যাদেরকে না পারতে চাকরি থেকে বিদায় দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ঠিক সেসব চাকরিহারা মানুষদের তিনি আবারো চাকরিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন। কথা’টি শুনে আমি ভীষণ ইমোসনাল হয়ে পড়েছিলাম। আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। সত্যিই, একজন অভিনেত্রী হিসেবে টু-লেট নাটকে অভিনয় করে এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমার কী-ইবা হতে পারে। অবশ্যই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা টু-লেট নাটকের নাট্যকার এবং নির্মাতা অনিমেষ আইচের প্রতি। আগামীতেও আমি এই ধরনের নাটকেই অভিনয় করতে চাই যেসব নাটকে অভিনয় করলে সমাজের মানুষের উপকার হয়।’ ‘টু-লেট’ নাটকটি প্রযোজনা করেছেন শাহরিয়ার শাকিল।

রবিবার, ০৯ আগস্ট ২০২০ , ১৮ি জিলহজ ১৪৪১, ২৫ শ্রাবণ ১৪২৭

‘টু-লেট’র জন্য সাড়া পাচ্ছেন ভাবনা

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

করোনা’র কারণে বিগত চার মাসে রাজধানী’তে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছেন। অনেকেই চাকরি হারিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন দীর্ঘদিন রাজধানীতে থাকার পরেও। প্রিয় রাজধানী’কে ভালোবেসে বুকে আগলে নিয়ে নিজের প্রিয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরেও চাকরি হারিয়ে রাজধানীকে ছেড়ে যেতে কষ্টই হয়েছে অনেকের। তেমনি একটি পরিবারের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে অনিমেষ আইচের গল্প এবং নির্মাণে ‘টু-লেট’ নাটকে। নাটকে প্রধান চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, সৈয়দ মোশাররফ, জয়রাজ ও এই প্রজন্মের নন্দিত অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। গেলো ৪ আগস্ট নাটকটি জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশের পর থেকে যারাই নাটকটি দেখছেন তারাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নাটকটির গল্প এবং এতে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকের অভিনয়েরও প্রশংসা করছেন। নাটকে শিল্পী সরকার অপু ও সৈয়দ মোশাররফের বোবা মেয়ে ময়না’ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন ভাবনা। ঘরবন্দী সময়ের গল্প নিয়ে অনিমেষ আইচের পরিচালনায় নির্মিত ‘টু-লেট’ নাটকটি করোনায় গেলো চার মাসে শুধু রাজধানীতে চাকরিহারা মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবিই ফটে উঠেছে। নাটকটি এরইমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নাটকটিতে অভিনয়ের জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছেন ভাবনা।

‘টু-লেট’ নাটকটি অভিনয় প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী গল্পটা শুনেই প্রথম আমার মন ভীষণ খারাপ হয়েছিল। ময়না চরিত্রটি আমার নিজের ভেতর পরিচালকের ভাবনা অনুযায়ীই প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়েই অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা এই নাটকে কাজ করার সার্থকতা হলো, নাটকটি দেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে যাদেরকে না পারতে চাকরি থেকে বিদায় দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ঠিক সেসব চাকরিহারা মানুষদের তিনি আবারো চাকরিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন। কথা’টি শুনে আমি ভীষণ ইমোসনাল হয়ে পড়েছিলাম। আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। সত্যিই, একজন অভিনেত্রী হিসেবে টু-লেট নাটকে অভিনয় করে এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমার কী-ইবা হতে পারে। অবশ্যই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা টু-লেট নাটকের নাট্যকার এবং নির্মাতা অনিমেষ আইচের প্রতি। আগামীতেও আমি এই ধরনের নাটকেই অভিনয় করতে চাই যেসব নাটকে অভিনয় করলে সমাজের মানুষের উপকার হয়।’ ‘টু-লেট’ নাটকটি প্রযোজনা করেছেন শাহরিয়ার শাকিল।