আলাউদ্দিন আলীর জনপ্রিয় গান

আলাউদ্দিন আলীর লেখা, সুর করা ও সংগীত পরিচালনায় অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন মিলে প্রায় ৫ হাজার গান তিনি তৈরি করেছেন। এসব জনপ্রিয় গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘আমার মতো এত সুখী নয় তো কারো জীবন’- এমন অসংখ্যা জনপ্রিয় গান রেখে গেছেন কিংবদন্তি সুরকার ও গীতিকার আলাউদ্দিন আলী। তার কালজয়ী কিছু গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’, ‘ও আমার বাংলা মা তোর’, ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’- এসব গান দিয়ে তিনি দ্রুত মানুষের অন্তরে জায়গা করে নেন।

তার আরও জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা’, শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে, তোমাকে চাই আমি আরও কাছে, কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না, পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা। আরও আছে- আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে, আকাশের সব তারা ঝরে যাবে, এ জীবন তোমাকে দিলাম, কেন আশা বেঁধে রাখি, সাগরিকা বেঁচে আছে তোমারই ভালোবাসায়, দিন কি রাতে ইত্যাদি।

বরেণ্য এ গীতিকার ও সুরকার রোববার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

আলাউদ্দিন আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। ১৯৬৮ সালে বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন। আলতা­ফ মাহমুদের সঙ্গে বেহালাবাদক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় তার।

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট ২০২০ , ২০ জিলহজ ১৪৪১, ২৭ শ্রাবণ ১৪২৭

আলাউদ্দিন আলীর জনপ্রিয় গান

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

আলাউদ্দিন আলীর লেখা, সুর করা ও সংগীত পরিচালনায় অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন মিলে প্রায় ৫ হাজার গান তিনি তৈরি করেছেন। এসব জনপ্রিয় গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘আমার মতো এত সুখী নয় তো কারো জীবন’- এমন অসংখ্যা জনপ্রিয় গান রেখে গেছেন কিংবদন্তি সুরকার ও গীতিকার আলাউদ্দিন আলী। তার কালজয়ী কিছু গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’, ‘ও আমার বাংলা মা তোর’, ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’- এসব গান দিয়ে তিনি দ্রুত মানুষের অন্তরে জায়গা করে নেন।

তার আরও জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা’, শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে, তোমাকে চাই আমি আরও কাছে, কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না, পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা। আরও আছে- আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে, আকাশের সব তারা ঝরে যাবে, এ জীবন তোমাকে দিলাম, কেন আশা বেঁধে রাখি, সাগরিকা বেঁচে আছে তোমারই ভালোবাসায়, দিন কি রাতে ইত্যাদি।

বরেণ্য এ গীতিকার ও সুরকার রোববার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

আলাউদ্দিন আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। ১৯৬৮ সালে বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন। আলতা­ফ মাহমুদের সঙ্গে বেহালাবাদক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় তার।