সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে সাঙ্গু গ্রুপ

করোনাভাইরাস সংক্রামণের ক্রান্তিকালে উত্তরা জনপদে কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পী-কলাকুশলী এবং সাংস্কৃতিক কর্মী যাদের জীবিকা মূলতো সাংস্কৃতিক কর্মকে উপজীব্য করে, তাদের পাশে ‘ভালোবাসার উপহার’ সামগ্রী নিয়ে বন্ধুর মতো দাড়িয়েছে উত্তরার ঐতিহ্যবাহী গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি। মার্চে লকডাউন শুরু হলে মানুষ যখন গৃহবন্দী তখন একাডেমির মহাপরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু জানিয়েছেন, উত্তরার অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতা নিয়ে প্রথম পর্যায়ে নিম্ন আয়ের পাচ শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন সাংসারিক উপকরণ-আর্থিক প্রণোদন এবং করোনা প্রতিরোধক স্যানিটাইজ উপাদানের সমন্বিত ভালোবাসার উপহার সামগ্রি। মহামারী যখন বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়লো এবং কর্মহীনতা যখন গ্রাস করে তুললো সংস্কৃত অঙ্গনের মানুষদের তখন গীতাঞ্জলি ললিত কলা একাডেমি, উত্তরার সংস্কৃতকর্মীদের প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে, তাৎক্ষণিক সহযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করলো প্রায় দুই শতাধিক বাদ্যযন্ত্রী, মঞ্চের নেপথ্যকর্মী, সংগীত শিল্পী, আবৃত্তিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনয় শিল্পীসহ শিল্পাঙ্গনের প্রায় দুই শতাধিক শিল্পী এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক মানুষের তালিকা প্রণয়ন। তারপর ধারাবাহিক ভাবে সেই মার্চ থেকে আজকে চলতি আগষ্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত শিল্পী এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট মানুষদের মাঝে ‘ভালোবাসার উপহার’ সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে মোট ১৭ বার। গত ২৩ আগস্ট গীতাঞ্জলি একাডেমি প্রাঙ্গনে ভালোবাসার উপহার প্রদান করেন সাঙ্গু গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম এ তাহের। গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু বলেন, ‘বিপন্ন সময়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলি আমরা আমাদের সবটুকু আন্তরিকতা নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং সাংস্কৃতিক মানুষদের পাশে দাঁড়াব।

আমাদের আন্তরিক আহবানে আমাদের পাশে বলিষ্ঠভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয় জনাব মোহা. আতিকুল ইসলাম, সদ্য প্রয়াত ঢাকা ১৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, উত্তরা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার জনাব নাবিদ কামাল শৈবাল, সাঙ্গু গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম এ তাহের সহ আরো অনেকে। আমরা ইতিমধ্যে ভালোবাসার উপহার নিয়ে সতেরবার দাঁড়িয়েছি সংস্কৃতি কর্মীদের পাশে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের এই ক্রান্তিকালে আমাদের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০ , ৬ মহররম ১৪৪২, ২৬ আগস্ট ২০২০

সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে সাঙ্গু গ্রুপ

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

করোনাভাইরাস সংক্রামণের ক্রান্তিকালে উত্তরা জনপদে কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পী-কলাকুশলী এবং সাংস্কৃতিক কর্মী যাদের জীবিকা মূলতো সাংস্কৃতিক কর্মকে উপজীব্য করে, তাদের পাশে ‘ভালোবাসার উপহার’ সামগ্রী নিয়ে বন্ধুর মতো দাড়িয়েছে উত্তরার ঐতিহ্যবাহী গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি। মার্চে লকডাউন শুরু হলে মানুষ যখন গৃহবন্দী তখন একাডেমির মহাপরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু জানিয়েছেন, উত্তরার অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতা নিয়ে প্রথম পর্যায়ে নিম্ন আয়ের পাচ শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন সাংসারিক উপকরণ-আর্থিক প্রণোদন এবং করোনা প্রতিরোধক স্যানিটাইজ উপাদানের সমন্বিত ভালোবাসার উপহার সামগ্রি। মহামারী যখন বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়লো এবং কর্মহীনতা যখন গ্রাস করে তুললো সংস্কৃত অঙ্গনের মানুষদের তখন গীতাঞ্জলি ললিত কলা একাডেমি, উত্তরার সংস্কৃতকর্মীদের প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে, তাৎক্ষণিক সহযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করলো প্রায় দুই শতাধিক বাদ্যযন্ত্রী, মঞ্চের নেপথ্যকর্মী, সংগীত শিল্পী, আবৃত্তিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনয় শিল্পীসহ শিল্পাঙ্গনের প্রায় দুই শতাধিক শিল্পী এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক মানুষের তালিকা প্রণয়ন। তারপর ধারাবাহিক ভাবে সেই মার্চ থেকে আজকে চলতি আগষ্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত শিল্পী এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট মানুষদের মাঝে ‘ভালোবাসার উপহার’ সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে মোট ১৭ বার। গত ২৩ আগস্ট গীতাঞ্জলি একাডেমি প্রাঙ্গনে ভালোবাসার উপহার প্রদান করেন সাঙ্গু গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম এ তাহের। গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু বলেন, ‘বিপন্ন সময়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলি আমরা আমাদের সবটুকু আন্তরিকতা নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং সাংস্কৃতিক মানুষদের পাশে দাঁড়াব।

আমাদের আন্তরিক আহবানে আমাদের পাশে বলিষ্ঠভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয় জনাব মোহা. আতিকুল ইসলাম, সদ্য প্রয়াত ঢাকা ১৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, উত্তরা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার জনাব নাবিদ কামাল শৈবাল, সাঙ্গু গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম এ তাহের সহ আরো অনেকে। আমরা ইতিমধ্যে ভালোবাসার উপহার নিয়ে সতেরবার দাঁড়িয়েছি সংস্কৃতি কর্মীদের পাশে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের এই ক্রান্তিকালে আমাদের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।