জামালপুর এলজিইডির অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) শীর্ষক প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন গত দেড় মাসেও তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি। এতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে এলজিইডির একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে । জামালপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ৪৬.০২.০০০০.০০১.৯৯.৩০৩.২০১৮-৩৩৯৩ স্মারকমূলে শেরপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীনকে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপুর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) শীর্ষক প্রকল্পে প্রেষণে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) পদে পদায়ন পূর্বক বদলি করা হয়। প্রধান প্রকৌশলীর এই বদলির আদেশের প্রেক্ষিতে জাহানারা পারভীন গত ৬ জুলাই জামালপুর এলজিইডির নির্বাহীর প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যোগদানপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ রয়েছে, এলজিইডির প্রভাতি প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন নতুন কর্মস্থলে যোগদানপত্র দাখিল করলেও গত দেড় মাসেও কাজে যোগ না দিয়ে তিনি পূর্বের কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত জামালপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, জাহানারা পারভীন শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ সহকারী প্রকিৗশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শেরপুরে দীর্ঘ ৫ বছর দায়িত্ব পালন করায় কতিপয় ঠিকাদারদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে বেশ অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যান। এজন্য তিনি শেরপুরের কর্মস্থলে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। নতুন কর্মস্থলে যোগদানে গড়িমসির বিষয়ে জাহানারা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, তিনি ৬ জুলাই যোগদানের জন্য জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যোগদানপত্র জমা দিয়ে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরের অনুমতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে ছাড়পত্র না দেয়ায় তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন না। তবে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসউদ্দিন আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাহানারা পারভীনের স্থলে নতুন সহকারী প্রকৌশী না দেয়ার পদটি শূন্য রয়েছে। এজন্য তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। এদিকে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রভাতী প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে জাহানারা পারভীন গত ৬ জুলাই তার কাছে যোগদানপত্র দিয়েছেন। আমি সেই যোগদানপত্র প্রভাতী প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রেরণ করেছি। এখন পর্যন্ত কোন আদেশ আসেনি এবং প্রভাতী প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন কর্মস্থলে যোগও দেননি।
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০
প্রতিনিধি, জামালপুর
জামালপুর এলজিইডির অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) শীর্ষক প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন গত দেড় মাসেও তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি। এতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে এলজিইডির একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে । জামালপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ৪৬.০২.০০০০.০০১.৯৯.৩০৩.২০১৮-৩৩৯৩ স্মারকমূলে শেরপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীনকে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপুর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) শীর্ষক প্রকল্পে প্রেষণে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) পদে পদায়ন পূর্বক বদলি করা হয়। প্রধান প্রকৌশলীর এই বদলির আদেশের প্রেক্ষিতে জাহানারা পারভীন গত ৬ জুলাই জামালপুর এলজিইডির নির্বাহীর প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যোগদানপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ রয়েছে, এলজিইডির প্রভাতি প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন নতুন কর্মস্থলে যোগদানপত্র দাখিল করলেও গত দেড় মাসেও কাজে যোগ না দিয়ে তিনি পূর্বের কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত জামালপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, জাহানারা পারভীন শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ সহকারী প্রকিৗশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শেরপুরে দীর্ঘ ৫ বছর দায়িত্ব পালন করায় কতিপয় ঠিকাদারদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে বেশ অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যান। এজন্য তিনি শেরপুরের কর্মস্থলে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। নতুন কর্মস্থলে যোগদানে গড়িমসির বিষয়ে জাহানারা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, তিনি ৬ জুলাই যোগদানের জন্য জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যোগদানপত্র জমা দিয়ে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরের অনুমতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে ছাড়পত্র না দেয়ায় তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন না। তবে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসউদ্দিন আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাহানারা পারভীনের স্থলে নতুন সহকারী প্রকৌশী না দেয়ার পদটি শূন্য রয়েছে। এজন্য তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। এদিকে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, প্রভাতী প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে জাহানারা পারভীন গত ৬ জুলাই তার কাছে যোগদানপত্র দিয়েছেন। আমি সেই যোগদানপত্র প্রভাতী প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রেরণ করেছি। এখন পর্যন্ত কোন আদেশ আসেনি এবং প্রভাতী প্রকল্পের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন কর্মস্থলে যোগও দেননি।