কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

বাগেরহাটের শরণখোলায় ছাগলে বীজতলা খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. জাকির হোসেন জোমাদ্দার (৫৫) নামের একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। ২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় উপজেলার ধানসাগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কৃষককে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সন্ধ্যা সাতটায় তিনি মারা যান। নিহত জাকির একই গ্রামের মৃত. সোমেদ জোমাদ্দারের ছেলে। খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছেন। নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির ও স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, তাদের একটি ছাগল পার্শ্ববর্তী কৃষক হুমায়ুনের বীজ তলায় গেলে প্রতিবেশি মন্টু জোমাদ্দারের ছেলে ছাগলটির গায়ে কাঁদা মেখে দেয়। বিষয়টি কৃষক হুমায়ুনের নজরে পড়লে তিনি বিষয়টি জানার জন্য মন্টু জোমাদ্দারের কাছে যায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথার কাটা শুরু হয়। ওই সময় জাকির প্রতিবাদ করলে মন্টু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সালিশ মীমাংসার কথা বলে প্রতিবেশি মৃত. হালিম জোমাদ্দারের ছেলে মন্টু জোমাদ্দার (৩২) জাকিরকে তার বাড়ি থেকে পল্লীমঙ্গল এলাকার ব্যবসায়ী তার ভাই সেলিম জোমাদ্দারের দোকানে ডেকে নেয়। বিষয়টি নিয়ে সেখানে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হলে মন্টুর নেতৃত্বে তার ভাই সেন্টু জোমাদ্দার (৪২), সেলিম জোমাদ্দার (৫৬) এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার নিশান বাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আ. ছত্তার খানের ছেলে মিলন খান (৩৩) ও সোহেল খান (৩২)সহ ৫-৬ জন এক জোট হয়ে জাকিরকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের শরণখোলায় ছাগলে বীজতলা খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. জাকির হোসেন জোমাদ্দার (৫৫) নামের একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। ২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় উপজেলার ধানসাগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কৃষককে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সন্ধ্যা সাতটায় তিনি মারা যান। নিহত জাকির একই গ্রামের মৃত. সোমেদ জোমাদ্দারের ছেলে। খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছেন। নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির ও স্ত্রী শিউলি বেগম জানান, তাদের একটি ছাগল পার্শ্ববর্তী কৃষক হুমায়ুনের বীজ তলায় গেলে প্রতিবেশি মন্টু জোমাদ্দারের ছেলে ছাগলটির গায়ে কাঁদা মেখে দেয়। বিষয়টি কৃষক হুমায়ুনের নজরে পড়লে তিনি বিষয়টি জানার জন্য মন্টু জোমাদ্দারের কাছে যায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথার কাটা শুরু হয়। ওই সময় জাকির প্রতিবাদ করলে মন্টু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সালিশ মীমাংসার কথা বলে প্রতিবেশি মৃত. হালিম জোমাদ্দারের ছেলে মন্টু জোমাদ্দার (৩২) জাকিরকে তার বাড়ি থেকে পল্লীমঙ্গল এলাকার ব্যবসায়ী তার ভাই সেলিম জোমাদ্দারের দোকানে ডেকে নেয়। বিষয়টি নিয়ে সেখানে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হলে মন্টুর নেতৃত্বে তার ভাই সেন্টু জোমাদ্দার (৪২), সেলিম জোমাদ্দার (৫৬) এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার নিশান বাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আ. ছত্তার খানের ছেলে মিলন খান (৩৩) ও সোহেল খান (৩২)সহ ৫-৬ জন এক জোট হয়ে জাকিরকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।