৩ মাস ধরে তীব্র গ্যাস সংকট : ভোগান্তি চরমে

মানিকগঞ্জে গত দুই-তিন মাস যাবত গ্যাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘণ্টা খানেক গ্যাস পাওয়া যায়। সামান্য সময় গ্যাস পাওয়া গেলেও থাকে না পর্যাপ্ত সময়। ফলে রান্নাবান্না করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন গৃহিনীরা। তবে মাস শেষে ঠিকই বিল গুণতে হয় গ্রাহকদের। অন্যদিকে কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে বিল দিতে অনীহা গ্রাহকদের। বিল না পেয়ে কর্তৃপক্ষ বকেয়া খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করে রাখে। এ নিয়ে জেলাতে গ্যাস ব্যবহারকারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মানিকগঞ্জ গ্যাস অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আবাসিক সংযোগের সংখ্যা ১২ হাজারের অধিক। এর মধ্যে বাণ্যিজিক সংযোগ ৪০টি, শিল্পনগরী সংযোগ ৪০টি ক্যাপটিভ (জেনারেটর) সংযোগ ৩০টি এবং ১৮টি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। গ্যাসের যেখানে ১১৫ পিএসআই (চাপ) থাকার কথা সেখানে রয়েছে ৯০। শিল্প বাণিজ্য ও আবাসিক সেক্টরে গ্যাস সংযোগ বাবদ প্রায় ২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গ্যাসের উন্নতি না করতে পারলে বকেয়ার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় চারতলা বারির মালিক আব্দুর রহিম বলেন, চারতলা বাসায় ৬টি ইউনিট আছে। এক বছর যাবত তার বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন গ্যাস কর্তৃকক্ষ। তিনিও নতুন করে গ্যাস পাবার জন্য কর্তৃপক্ষের দ্বারস্ত হননি। তবে বকেয়া পড়েছিল প্রায় এক লাখ টাকা। গ্যাস থাকত না বলে ভাড়াটিয়ারা লাইনের গ্যাস বাবদ মাসিক টাকা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করত। তিনিও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে থেকে গ্যাসের জন্য টাকা নেননি। বকেয়া টাকার কারণে তিতাস গ্যাসের লোকজন এসে লাইন কেটে দেয়। লাইনের গ্যাসের এই দুরাবস্থার কারণে ভাড়াটিয়ার এখন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রাহকরা জানান, অনেক টাকা খরচ করে গ্যাস নিয়েছি। এখন যে সংযোগটি বিছিন্ন করব তাও করতে পারছিনা। এ দিকে গ্যাস ঠিকমতো থাকে না। অযথাই বিল দিতে হয়। লাইন কেটে দেয়ার কথা ভাবছি। পরে যদি কখনো প্রয়োজন হয় তখন যদি আবার টাকা দিতে হয় -এমন ভয় কাজ করছে এই গৃহিনীর। এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস মানিকগঞ্জের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আতিকুল হক সিদ্দিকী জানান, জাতীয়ভাবে গ্যাসের সঙ্কট থাকায় গ্রাহকদের গ্যাসের সঙ্কট থাকায় গ্রাহকদের সেবা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত মানিকগঞ্জে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে। মানিকগঞ্জের ভুক্তভোগী লোকজন এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

৩ মাস ধরে তীব্র গ্যাস সংকট : ভোগান্তি চরমে

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জে গত দুই-তিন মাস যাবত গ্যাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘণ্টা খানেক গ্যাস পাওয়া যায়। সামান্য সময় গ্যাস পাওয়া গেলেও থাকে না পর্যাপ্ত সময়। ফলে রান্নাবান্না করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন গৃহিনীরা। তবে মাস শেষে ঠিকই বিল গুণতে হয় গ্রাহকদের। অন্যদিকে কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে বিল দিতে অনীহা গ্রাহকদের। বিল না পেয়ে কর্তৃপক্ষ বকেয়া খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করে রাখে। এ নিয়ে জেলাতে গ্যাস ব্যবহারকারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মানিকগঞ্জ গ্যাস অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আবাসিক সংযোগের সংখ্যা ১২ হাজারের অধিক। এর মধ্যে বাণ্যিজিক সংযোগ ৪০টি, শিল্পনগরী সংযোগ ৪০টি ক্যাপটিভ (জেনারেটর) সংযোগ ৩০টি এবং ১৮টি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। গ্যাসের যেখানে ১১৫ পিএসআই (চাপ) থাকার কথা সেখানে রয়েছে ৯০। শিল্প বাণিজ্য ও আবাসিক সেক্টরে গ্যাস সংযোগ বাবদ প্রায় ২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গ্যাসের উন্নতি না করতে পারলে বকেয়ার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় চারতলা বারির মালিক আব্দুর রহিম বলেন, চারতলা বাসায় ৬টি ইউনিট আছে। এক বছর যাবত তার বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন গ্যাস কর্তৃকক্ষ। তিনিও নতুন করে গ্যাস পাবার জন্য কর্তৃপক্ষের দ্বারস্ত হননি। তবে বকেয়া পড়েছিল প্রায় এক লাখ টাকা। গ্যাস থাকত না বলে ভাড়াটিয়ারা লাইনের গ্যাস বাবদ মাসিক টাকা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করত। তিনিও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে থেকে গ্যাসের জন্য টাকা নেননি। বকেয়া টাকার কারণে তিতাস গ্যাসের লোকজন এসে লাইন কেটে দেয়। লাইনের গ্যাসের এই দুরাবস্থার কারণে ভাড়াটিয়ার এখন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রাহকরা জানান, অনেক টাকা খরচ করে গ্যাস নিয়েছি। এখন যে সংযোগটি বিছিন্ন করব তাও করতে পারছিনা। এ দিকে গ্যাস ঠিকমতো থাকে না। অযথাই বিল দিতে হয়। লাইন কেটে দেয়ার কথা ভাবছি। পরে যদি কখনো প্রয়োজন হয় তখন যদি আবার টাকা দিতে হয় -এমন ভয় কাজ করছে এই গৃহিনীর। এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস মানিকগঞ্জের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আতিকুল হক সিদ্দিকী জানান, জাতীয়ভাবে গ্যাসের সঙ্কট থাকায় গ্রাহকদের গ্যাসের সঙ্কট থাকায় গ্রাহকদের সেবা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত মানিকগঞ্জে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে। মানিকগঞ্জের ভুক্তভোগী লোকজন এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।