মঠবাড়িয়ায় দিনমজুরদের জমি দখলের অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এমাদুলহক (৩৭) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে নিরীহ দিনমজুরদের ভিটেবাড়ির জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ও প্রাণনাশের হুমকিকসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মিরুখালী গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে এমাদুল খান (৪৩) ওই এলাকার একজন চিহ্নিত ত্রাস, ভূমিদুস্যু ও মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত। এলাকার শতশত নিরীহ, সহজ-সরল মানুষ তার হাতে জিম্মি। ক্ষমতার অপব্যবহার ও পেশীশক্তির বলে আইন-কানুনের প্রতি তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে এলাকা ছাড়া হতে হয়। ইতোপূর্বে মালেক নামে এক ব্যক্তি এমাদুলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাকে জেলে যেতে হয়েছে। ওই এলাকার মৃত কাঞ্চন খানের ছেলে আবুল কালাম-এর ১৩ শতাংশ জমি গত ২ মাস আগে দখল করে নিয়ে জরিপ অফিসে প্রভাব খাটিয়ে পর্চা করে নেন। একই এলাকার দিনমজুর হাবিব গংদের ৯ শতাংশ এমাদুল তার দলবল নিয়ে দখল করেন। মিরুখালী গ্রামের মালেক মিয়ার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৩ শতাংশ বসতবাড়ির জমি গত ৩ মাস আগে দখল করে। ভুক্তভোগী মালেক জানান, এমাদুল এলাকার ভূমিদস্যু ও মুর্তিমান আতঙ্ক। এমাদুলের নিজস্ব একটি বাহিনী রয়েছে। ওই বাহিনী দিয়ে এমাদুল এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার ১৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়ায় এর প্রতিবাদ করলে এমাদুল আমাকে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এমাদুল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। ওই মামলায় আমাকে জেলহাজতে যেতে হয়। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান জানান, সম্প্রতি এমাদুল আমার ৯ শতাংশ জমি দখল করে নিলে এর প্রতিবাদ করায় সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এমাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বসতবাড়ির জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিবাদ চলছে। আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর দিয়েছি। ওই বিবাদের জেরে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

মঠবাড়িয়ায় দিনমজুরদের জমি দখলের অভিযোগ

প্রতিনিধি, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এমাদুলহক (৩৭) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে নিরীহ দিনমজুরদের ভিটেবাড়ির জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ও প্রাণনাশের হুমকিকসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মিরুখালী গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে এমাদুল খান (৪৩) ওই এলাকার একজন চিহ্নিত ত্রাস, ভূমিদুস্যু ও মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত। এলাকার শতশত নিরীহ, সহজ-সরল মানুষ তার হাতে জিম্মি। ক্ষমতার অপব্যবহার ও পেশীশক্তির বলে আইন-কানুনের প্রতি তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে এলাকা ছাড়া হতে হয়। ইতোপূর্বে মালেক নামে এক ব্যক্তি এমাদুলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাকে জেলে যেতে হয়েছে। ওই এলাকার মৃত কাঞ্চন খানের ছেলে আবুল কালাম-এর ১৩ শতাংশ জমি গত ২ মাস আগে দখল করে নিয়ে জরিপ অফিসে প্রভাব খাটিয়ে পর্চা করে নেন। একই এলাকার দিনমজুর হাবিব গংদের ৯ শতাংশ এমাদুল তার দলবল নিয়ে দখল করেন। মিরুখালী গ্রামের মালেক মিয়ার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৩ শতাংশ বসতবাড়ির জমি গত ৩ মাস আগে দখল করে। ভুক্তভোগী মালেক জানান, এমাদুল এলাকার ভূমিদস্যু ও মুর্তিমান আতঙ্ক। এমাদুলের নিজস্ব একটি বাহিনী রয়েছে। ওই বাহিনী দিয়ে এমাদুল এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার ১৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়ায় এর প্রতিবাদ করলে এমাদুল আমাকে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এমাদুল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। ওই মামলায় আমাকে জেলহাজতে যেতে হয়। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান জানান, সম্প্রতি এমাদুল আমার ৯ শতাংশ জমি দখল করে নিলে এর প্রতিবাদ করায় সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এমাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বসতবাড়ির জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিবাদ চলছে। আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর দিয়েছি। ওই বিবাদের জেরে প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা।