বিয়ে করলেন সাব্বির আহমেদ

বিয়ে করলেন ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা সাব্বির আহমেদ। মাগুরার নাসির উদ্দিন বাবু ও সাজেদা পারভীন দম্পতির কন্যা নাসরুমা নাসির বিথীর সঙ্গে গেলো ২৪ আগস্ট মাগুড়া জেলা পাড়ায় মেয়েদের নিজ বাড়িতে উভয় পরিবারের নিকট আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন সাব্বির আহমেদ। হঠাৎ করেই বিয়ে করা প্রসঙ্গে সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘একটা স্বপ্নতো ছিলোই আসলে যে আমার জীবন সঙ্গীনি হবে আমার মনেরই মতো। দীর্ঘদিন যাবতই আমি আমার মনের মতো কাউকেই পাচ্ছিলাম না, যে কারণে বিয়েও করা হয়ে উঠছিল না। সবকিছু মিলিয়ে যখন বিথীর সঙ্গে আমার পরিচয় হলো, কথা হলো। তখন তা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করি আমি। পরিবারও সম্মতি দিল। পরিবারের সম্মতির মধ্যদিয়ে সেই কাঙ্খিত মানুষটিকে যখন আমার জীবনে পেলাম, তখন এর চেয়ে আনন্দদায়ক, তৃপ্তিদায়ক আর কিছুই হতে পারেনা। মনে হয় পৃথিবীতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে সুখী মানুষটি আমি, কারণ আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে আমার জীবন সঙ্গীনি হিসেবে পেয়েছি। বিথী খুব সুন্দর এবং একজন ভালো মনের মানুষ। আমার কাজকে অনেক শ্রদ্ধা করে। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। আমি যেন বিথীকে নিয়ে সুখী হতে পারি, এই দোয়া চাই সবার কাছে।’ সাব্বির আহমেদ জানান আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ১৯৯৬ সালে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে মাগুড়াতেই সাব্বিরের অভিনয়ের যাত্রা। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদ-’। এটি একটি পথনাটক ছিল।

এরপর ২০০৫ সাল থেকে ঢাকার মঞ্চে তিনি অভিনয় শুরু করেন। টিভিতে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিলো তারেক খানের নির্দেশনায় ‘প্রেম সৈনিক’। এতে তার বিপরীতে ছিল নূসরাত ইমরোজ তিশা। ২০০৮ সালে সাব্বির প্রথম বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন, বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনে।

২০১২ সালে কলকাতায় প্রথম তিনি পার্থ সেন’র নির্দেশনায় প্রথম ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন।

গোলাম মোস্তফা শিমুলের নির্দেশনায় ‘কারণ তোমায় ভালোবাসি’ ও ‘হরিজুপিয়া’ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। দুটি চলচ্চিত্রই মুক্তি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত চার শতাধিক নাটকে সাব্বির অভিনয় করেছেন। সাব্বিরের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো: ফারুকুল ইসলাম ও মা শাহানাজ পারভীন। গেলো ঈদে সাব্বির আহমেদ অভিনীত দুটি নাটক বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। একটি নাজমুল রনির ‘টু ইডিয়টস’ এবং অন্যটি মহিন খানের ‘ভারপ্রাপ্ত স্বামী’।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

বিয়ে করলেন সাব্বির আহমেদ

image

বিয়ে করলেন ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা সাব্বির আহমেদ। মাগুরার নাসির উদ্দিন বাবু ও সাজেদা পারভীন দম্পতির কন্যা নাসরুমা নাসির বিথীর সঙ্গে গেলো ২৪ আগস্ট মাগুড়া জেলা পাড়ায় মেয়েদের নিজ বাড়িতে উভয় পরিবারের নিকট আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন সাব্বির আহমেদ। হঠাৎ করেই বিয়ে করা প্রসঙ্গে সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘একটা স্বপ্নতো ছিলোই আসলে যে আমার জীবন সঙ্গীনি হবে আমার মনেরই মতো। দীর্ঘদিন যাবতই আমি আমার মনের মতো কাউকেই পাচ্ছিলাম না, যে কারণে বিয়েও করা হয়ে উঠছিল না। সবকিছু মিলিয়ে যখন বিথীর সঙ্গে আমার পরিচয় হলো, কথা হলো। তখন তা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করি আমি। পরিবারও সম্মতি দিল। পরিবারের সম্মতির মধ্যদিয়ে সেই কাঙ্খিত মানুষটিকে যখন আমার জীবনে পেলাম, তখন এর চেয়ে আনন্দদায়ক, তৃপ্তিদায়ক আর কিছুই হতে পারেনা। মনে হয় পৃথিবীতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে সুখী মানুষটি আমি, কারণ আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে আমার জীবন সঙ্গীনি হিসেবে পেয়েছি। বিথী খুব সুন্দর এবং একজন ভালো মনের মানুষ। আমার কাজকে অনেক শ্রদ্ধা করে। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। আমি যেন বিথীকে নিয়ে সুখী হতে পারি, এই দোয়া চাই সবার কাছে।’ সাব্বির আহমেদ জানান আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ১৯৯৬ সালে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে মাগুড়াতেই সাব্বিরের অভিনয়ের যাত্রা। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদ-’। এটি একটি পথনাটক ছিল।

এরপর ২০০৫ সাল থেকে ঢাকার মঞ্চে তিনি অভিনয় শুরু করেন। টিভিতে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিলো তারেক খানের নির্দেশনায় ‘প্রেম সৈনিক’। এতে তার বিপরীতে ছিল নূসরাত ইমরোজ তিশা। ২০০৮ সালে সাব্বির প্রথম বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন, বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনে।

২০১২ সালে কলকাতায় প্রথম তিনি পার্থ সেন’র নির্দেশনায় প্রথম ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন।

গোলাম মোস্তফা শিমুলের নির্দেশনায় ‘কারণ তোমায় ভালোবাসি’ ও ‘হরিজুপিয়া’ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। দুটি চলচ্চিত্রই মুক্তি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত চার শতাধিক নাটকে সাব্বির অভিনয় করেছেন। সাব্বিরের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো: ফারুকুল ইসলাম ও মা শাহানাজ পারভীন। গেলো ঈদে সাব্বির আহমেদ অভিনীত দুটি নাটক বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। একটি নাজমুল রনির ‘টু ইডিয়টস’ এবং অন্যটি মহিন খানের ‘ভারপ্রাপ্ত স্বামী’।