গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে ফখরুল

বাংলাদেশে গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, এটা একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। জাতিসংঘের চার্টারে সেটা আছে। অথচ সেটা বাংলাদেশে অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে।’

গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার নেতাকর্মীর ৪০টি পরিবারকে সহযোগিতা প্রদানে এই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে গুম ও খুন হওয়া ঢাকা মহানগরের এসএম আদনান চৌধুরী, কাওসার হোসেন, ডা. সগীর, নজরুল ইসলাম, মো. মজিদ, ঢাকা জেলার ফয়সল উদ্দিন হাশেমী ও মানিকগঞ্জের মো. শাওন- এই সাতজনের পরিবারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার টাকা তুলে দেন মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন দেখি যে সেনাপ্রধান আর আইজি দুইজনে পাশাপাশি বসে প্রেস কনফারেন্স করেন এবং বলেন মেজর সিনহার ওপর গুলি এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কার কাছে যাব? কোথায় যাব? কী বলব?’

দেশের পরিবর্তনে জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমাদের মানুষের কাছেই যেতে হবে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে। এখন যে লড়াই, এই লড়াই, এই সংগ্রাম হচ্ছে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। এই সংগ্রাম হচ্ছে স্বাধীনতাকে রক্ষা করার সংগ্রাম, অস্তিত্বকে রক্ষা করার লড়াই। এই লড়াইয়ে হতাশ হলে চলবে না, এই লড়াইয়ে পরাজিত হলে চলবে না। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়লাভ করতেই হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গুম হওয়া, খুন হওয়ার ঘটনায় মানুষের আর্তনাদ সরকারের কানে পৌঁছায় না। তাদের কানে পৌঁছায় না এই জন্য যে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে তাদের এতটুকু দ্বিধা হয় না। নিরীহ সন্তানদের পিতৃহারা করতে তাদের এতটুকু সংকোচ হয় না। সরকার অবলীলায় মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা যখন নিখোঁজ বা গুম হওয়ার কথা মানুষের সামনে বারবার করে তুলে ধরি, তারা বলেন, না আমরা তো এটা বলতে পারি না। অনেকে চলে যায়, নিজেরা নিজেরা চলে যায়। তারা নাকি হারিয়ে গেছে, অনেকে বলে এ ধরনের কোন ঘটনাই নাকি ঘটে নাই।’

সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী, পারভেজ আলম হিরু, চৌধুরী আলমমহ অন্যান্য নেতাকর্মীর গুম হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গুম হওয়া পরিবারের এই ত্যাগ গোটা জাতিকে নিঃসন্দেহে শক্তি জোগাবে জেগে উঠতে। জোর করে কেউ টিকতে পারে নাই। নমরুদ পারে নাই, ফেরাউন পায় নাই, হিটলার পারে নাই। সুতরাং জোর করে কেউ টিকতে পারবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

image

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহায়তার জন্য গতকাল সমবেত হন - সংবাদ

আরও খবর
ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর একান্ত চিন্তার ফসল : প্রধানমন্ত্রী
জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের ১৪ দফা দাবি
শিশুকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে জুতাপেটা
বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা বিবেচনার সুযোগ আছে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার কাজে পাথরের পরিবর্তে ইটের ব্যবহার
সংবাদপত্র শিল্প অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ব্যাপকভাবে চলছে মাদকের কারবার
জাল-জালিয়াতি প্রমাণিত হলেও বেঁকে বসেছেন সভাপতি
দেশে উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে
শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ গ্রেফতার ২

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে যাচ্ছে ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহায়তার জন্য গতকাল সমবেত হন - সংবাদ

বাংলাদেশে গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, এটা একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। জাতিসংঘের চার্টারে সেটা আছে। অথচ সেটা বাংলাদেশে অবলীলায় ঘটে যাচ্ছে।’

গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার নেতাকর্মীর ৪০টি পরিবারকে সহযোগিতা প্রদানে এই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে গুম ও খুন হওয়া ঢাকা মহানগরের এসএম আদনান চৌধুরী, কাওসার হোসেন, ডা. সগীর, নজরুল ইসলাম, মো. মজিদ, ঢাকা জেলার ফয়সল উদ্দিন হাশেমী ও মানিকগঞ্জের মো. শাওন- এই সাতজনের পরিবারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার টাকা তুলে দেন মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন দেখি যে সেনাপ্রধান আর আইজি দুইজনে পাশাপাশি বসে প্রেস কনফারেন্স করেন এবং বলেন মেজর সিনহার ওপর গুলি এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কার কাছে যাব? কোথায় যাব? কী বলব?’

দেশের পরিবর্তনে জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমাদের মানুষের কাছেই যেতে হবে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে। এখন যে লড়াই, এই লড়াই, এই সংগ্রাম হচ্ছে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই। এই সংগ্রাম হচ্ছে স্বাধীনতাকে রক্ষা করার সংগ্রাম, অস্তিত্বকে রক্ষা করার লড়াই। এই লড়াইয়ে হতাশ হলে চলবে না, এই লড়াইয়ে পরাজিত হলে চলবে না। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়লাভ করতেই হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গুম হওয়া, খুন হওয়ার ঘটনায় মানুষের আর্তনাদ সরকারের কানে পৌঁছায় না। তাদের কানে পৌঁছায় না এই জন্য যে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে তাদের এতটুকু দ্বিধা হয় না। নিরীহ সন্তানদের পিতৃহারা করতে তাদের এতটুকু সংকোচ হয় না। সরকার অবলীলায় মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা যখন নিখোঁজ বা গুম হওয়ার কথা মানুষের সামনে বারবার করে তুলে ধরি, তারা বলেন, না আমরা তো এটা বলতে পারি না। অনেকে চলে যায়, নিজেরা নিজেরা চলে যায়। তারা নাকি হারিয়ে গেছে, অনেকে বলে এ ধরনের কোন ঘটনাই নাকি ঘটে নাই।’

সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী, পারভেজ আলম হিরু, চৌধুরী আলমমহ অন্যান্য নেতাকর্মীর গুম হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গুম হওয়া পরিবারের এই ত্যাগ গোটা জাতিকে নিঃসন্দেহে শক্তি জোগাবে জেগে উঠতে। জোর করে কেউ টিকতে পারে নাই। নমরুদ পারে নাই, ফেরাউন পায় নাই, হিটলার পারে নাই। সুতরাং জোর করে কেউ টিকতে পারবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।