বন্ধুর সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভার এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ এনে আমতলী থানায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছাত্রীর বন্ধু জিসান ওরফে সোহেল (১৮) ও ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক সাগরকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল রাজু ও সাগর নীড় হোটেলে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের বাদশা গাজীর পুত্র জিসান ওরফে সোহেলের সঙ্গে মোবাইলে কথোপোকথনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে জিসান দেখা করার প্রস্তাব দেয়।
দেখা হওয়ার সময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আবাসিক হোটেল রাজু’র ২০৩ নম্বর কক্ষে ওঠায়। সেখানে জিসান ওরফে সোহেল (১৮) ও সাগর (২১)সহ ৫ জনে মিলে রাতভর ধর্ষণ করে ওই শিক্ষার্থীকে। সকালে পরিবহনে আমতলী পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে এ ঘটনা জানায়।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওইদিন বিকেলে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে। অভিযানকালে ভিকটিমের শনাক্ত মতে আমতলী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সানু হাওলাদারের পুত্র ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক সাগরকে (২১) গ্রেফতার করে। এরপর পটুয়াখালীর মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের বাদশা গাজীর পুত্র জিসান ওরফে সোহেলকে (১৮) গ্রেফতার করে।
পুলিশ আরও জানান, আবাসিক হোটেল সাগর নীড়’র গেস্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ রুম ও নামের সঙ্গে কোন মিল নেই। সেখানে ওই ছাত্রীর নাম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। দুই রুমে শিক্ষার্থীসহ ৬ জন অবস্থান করলেও সেখানে রেজিস্টারে ১ জনের নাম রয়েছে, কক্ষ নম্বর দেখানো হয়েছে বি-ফোর ও বি-ফাইভ। ওই হোটেলের গেস্ট রেজিস্টারে কোন ধরনের নিয়মকানুন মানা হয়নি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার শনাক্ত মতে দুই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি আসামিদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০
প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
বন্ধুর সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভার এক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ এনে আমতলী থানায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছাত্রীর বন্ধু জিসান ওরফে সোহেল (১৮) ও ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক সাগরকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল রাজু ও সাগর নীড় হোটেলে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের বাদশা গাজীর পুত্র জিসান ওরফে সোহেলের সঙ্গে মোবাইলে কথোপোকথনের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে জিসান দেখা করার প্রস্তাব দেয়।
দেখা হওয়ার সময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আবাসিক হোটেল রাজু’র ২০৩ নম্বর কক্ষে ওঠায়। সেখানে জিসান ওরফে সোহেল (১৮) ও সাগর (২১)সহ ৫ জনে মিলে রাতভর ধর্ষণ করে ওই শিক্ষার্থীকে। সকালে পরিবহনে আমতলী পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে এ ঘটনা জানায়।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওইদিন বিকেলে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে। অভিযানকালে ভিকটিমের শনাক্ত মতে আমতলী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সানু হাওলাদারের পুত্র ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক সাগরকে (২১) গ্রেফতার করে। এরপর পটুয়াখালীর মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের বাদশা গাজীর পুত্র জিসান ওরফে সোহেলকে (১৮) গ্রেফতার করে।
পুলিশ আরও জানান, আবাসিক হোটেল সাগর নীড়’র গেস্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ রুম ও নামের সঙ্গে কোন মিল নেই। সেখানে ওই ছাত্রীর নাম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। দুই রুমে শিক্ষার্থীসহ ৬ জন অবস্থান করলেও সেখানে রেজিস্টারে ১ জনের নাম রয়েছে, কক্ষ নম্বর দেখানো হয়েছে বি-ফোর ও বি-ফাইভ। ওই হোটেলের গেস্ট রেজিস্টারে কোন ধরনের নিয়মকানুন মানা হয়নি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার শনাক্ত মতে দুই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি আসামিদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।