যুবাদের প্রয়োজন প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান

আমি একজন তরুণ, তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও যুবাদের সমস্যাগুলো একটু হলেও বুঝি। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, বিষয়টি আমরা প্রত্যেকে কোন না কোন শ্রেণীতে পড়ে এসেছি। আসলে শিক্ষিত হলেই কি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব? উত্তরটা যদি সরাসরি বলি তাহলে না-ই বলতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন উত্তর যদি না হয় তাহলে গত ১৫-১৬ বছর পডাশোনা করে কি করলাম! তো এখন উত্তরটা তুলে ধরি, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ জনবল তৈরি হয় না এ যেন শুধু পডার জন্যই পডা, কারিগরি শিক্ষার বড়ই অভাব।

কিন্তু অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে একজন শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা ও তার দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। কেননা তাদের চিন্তা ধারা এমন যে এই শিক্ষার্থী-ই আমাদের দেশকে একদিন নেতৃত্ব দিবে। যদি সে দক্ষ হয় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে আর অধ্যক্ষ হলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে শিক্ষা একটা বাণিজ্য হিসেবে দেখা দিয়েছে এখানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় কিন্তু স্নাতক পাসের পর চাকরির জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়, বছরের পর বছর চাকরির আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। আর শিক্ষিত হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যেন কৃষিকাজ করতেই পারবে না, সমাজ তাকে হেয় চোখে দেখে। আমাদের স্বাধীনতার এতো বছর পরও কিছু ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারিনি। যুব সমাজের সদস্য হওয়ায় একটা জিনিস বুঝেছি বাঙালি যুবকদের অফুরন্ত সময়। সরকারি প্রশিক্ষণ এদের নাগালে পৌঁছায় না (যদিও দুই একটা হয় তবু নগণ্য)।

এদেশের যুবকরা মুখিয়ে আছে একটা সুযোগের অপেক্ষায়। যদি প্রত্যেকটা থানায় দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয় এবং সেটা যুবাদের কাজে লাগে সেই বিষয়টা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে এদেশের অদক্ষ ও সম্ভাবনাময়ী যুবারা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে একটু হলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।

মো. পারভেজ আমিন,

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি।

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ , ৭ মহররম ১৪৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০

যুবাদের প্রয়োজন প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান

আমি একজন তরুণ, তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও যুবাদের সমস্যাগুলো একটু হলেও বুঝি। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, বিষয়টি আমরা প্রত্যেকে কোন না কোন শ্রেণীতে পড়ে এসেছি। আসলে শিক্ষিত হলেই কি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব? উত্তরটা যদি সরাসরি বলি তাহলে না-ই বলতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন উত্তর যদি না হয় তাহলে গত ১৫-১৬ বছর পডাশোনা করে কি করলাম! তো এখন উত্তরটা তুলে ধরি, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষ জনবল তৈরি হয় না এ যেন শুধু পডার জন্যই পডা, কারিগরি শিক্ষার বড়ই অভাব।

কিন্তু অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে একজন শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা ও তার দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। কেননা তাদের চিন্তা ধারা এমন যে এই শিক্ষার্থী-ই আমাদের দেশকে একদিন নেতৃত্ব দিবে। যদি সে দক্ষ হয় তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে আর অধ্যক্ষ হলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে শিক্ষা একটা বাণিজ্য হিসেবে দেখা দিয়েছে এখানে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় কিন্তু স্নাতক পাসের পর চাকরির জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়, বছরের পর বছর চাকরির আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। আর শিক্ষিত হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী যেন কৃষিকাজ করতেই পারবে না, সমাজ তাকে হেয় চোখে দেখে। আমাদের স্বাধীনতার এতো বছর পরও কিছু ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারিনি। যুব সমাজের সদস্য হওয়ায় একটা জিনিস বুঝেছি বাঙালি যুবকদের অফুরন্ত সময়। সরকারি প্রশিক্ষণ এদের নাগালে পৌঁছায় না (যদিও দুই একটা হয় তবু নগণ্য)।

এদেশের যুবকরা মুখিয়ে আছে একটা সুযোগের অপেক্ষায়। যদি প্রত্যেকটা থানায় দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয় এবং সেটা যুবাদের কাজে লাগে সেই বিষয়টা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে এদেশের অদক্ষ ও সম্ভাবনাময়ী যুবারা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে একটু হলেও নিজেদের মেলে ধরতে পারবে।

মো. পারভেজ আমিন,

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি।