৩৪ শতাংশ পোশাকশ্রমিক পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত ৩৪ শতাংশ শ্রমিক তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। এর মধ্যে নারী ২৬ শতাংশ ও পুরুষ ৬০ শতাংশ। ৬৬ শতাংশ শ্রমিকের পরিবারে আরও অন্তত একজন উপার্জনকারী রয়েছেন, যারা কিছু সহায়তা করতে পারে। পোশাক শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর করোনা মহামারীর প্রভাব মূল্যায়নের উদ্দেশে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য ওঠে এসেছে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) গত ১৫ সপ্তাহ ধরে ১৩৬৭ জন শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জরিপ চালিয়ে আসছে।

এই সিরিজ জরিপে প্রতি সপ্তাহে নতুন প্রশ্ন যোগ করা হয়। প্রতি সপ্তাহে একই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়, তবে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সামান্য পরিবর্তিত হয়। জরিপে অংশ নেয়া শ্রমিকরা চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত আছেন, অংশগ্রহণকারীদের তিন-চতুর্থাংশ নারী, যেটি পুরো তৈরি পোশাক খাতের প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। এসব তথ্য জুলাই মাসে সংগ্রহ করা হয়। জরিপে ওঠে এসেছে, একটি পরিবারের আরও একজন উপার্জনকারী থাকা ৬৬ শতাংশ শ্রমিকের পরিবারের ওই উপার্জনকারী কোন না কোন চাকরি করেন। প্রায় ৯ শতাংশের পরিবারে আরও দু’জন উপার্জনকারী আছেন। তিনজনের বেশি উপার্জনকারী আছেন এমন শ্রমিকের সংখ্যা ১ শতাংশ। উপার্জনকারীদের মধ্যে ৭১ শতাংশের স্বামী কিংবা স্ত্রী উপার্জন করেন। স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া পরিবারের অন্যদের মধ্যে উপার্জনকারীর মধ্যে বাবা ৬ শতাংশ, ভাই ৬ শতাংশ, বোন ৬ শতাংশ, ছেলে ৫ শতাংশ, মা ৪ শতাংশ ও মেয়ে ২ শতাংশ। করোনার কারণে মার্চ থেকে জুনের মধ্যে যে প্রবণতা ছিল, তা জুলাই মাসেও অব্যাহত ছিল। অর্থাৎ বেকারত্ব কমেছে, শ্রমঘণ্টা বেড়েছে এবং নারী-পুরুষের আয়ের মধ্যে ফারাক কমেছে। পরিবারের অন্য উপার্জনকারীদের এ সময়ে গড়ে ২৩৯ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। জুনে যা ছিল ২৩৪ ঘণ্টা। আয়ের তথ্যে দেখা যায়, পরিবারের অন্য উপার্জনকারীদের গড় আয় ১০ হাজার টাকা। জুনে যা ছিল ৯ হাজার টাকা। এদের মধ্যে নারীদের গড় আয় ১০ হাজার টাকা এবং পুরুষদের গড় আয় ৯ হাজার টাকা।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

৩৪ শতাংশ পোশাকশ্রমিক পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত ৩৪ শতাংশ শ্রমিক তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। এর মধ্যে নারী ২৬ শতাংশ ও পুরুষ ৬০ শতাংশ। ৬৬ শতাংশ শ্রমিকের পরিবারে আরও অন্তত একজন উপার্জনকারী রয়েছেন, যারা কিছু সহায়তা করতে পারে। পোশাক শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর করোনা মহামারীর প্রভাব মূল্যায়নের উদ্দেশে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য ওঠে এসেছে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) গত ১৫ সপ্তাহ ধরে ১৩৬৭ জন শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জরিপ চালিয়ে আসছে।

এই সিরিজ জরিপে প্রতি সপ্তাহে নতুন প্রশ্ন যোগ করা হয়। প্রতি সপ্তাহে একই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়, তবে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সামান্য পরিবর্তিত হয়। জরিপে অংশ নেয়া শ্রমিকরা চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত আছেন, অংশগ্রহণকারীদের তিন-চতুর্থাংশ নারী, যেটি পুরো তৈরি পোশাক খাতের প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। এসব তথ্য জুলাই মাসে সংগ্রহ করা হয়। জরিপে ওঠে এসেছে, একটি পরিবারের আরও একজন উপার্জনকারী থাকা ৬৬ শতাংশ শ্রমিকের পরিবারের ওই উপার্জনকারী কোন না কোন চাকরি করেন। প্রায় ৯ শতাংশের পরিবারে আরও দু’জন উপার্জনকারী আছেন। তিনজনের বেশি উপার্জনকারী আছেন এমন শ্রমিকের সংখ্যা ১ শতাংশ। উপার্জনকারীদের মধ্যে ৭১ শতাংশের স্বামী কিংবা স্ত্রী উপার্জন করেন। স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া পরিবারের অন্যদের মধ্যে উপার্জনকারীর মধ্যে বাবা ৬ শতাংশ, ভাই ৬ শতাংশ, বোন ৬ শতাংশ, ছেলে ৫ শতাংশ, মা ৪ শতাংশ ও মেয়ে ২ শতাংশ। করোনার কারণে মার্চ থেকে জুনের মধ্যে যে প্রবণতা ছিল, তা জুলাই মাসেও অব্যাহত ছিল। অর্থাৎ বেকারত্ব কমেছে, শ্রমঘণ্টা বেড়েছে এবং নারী-পুরুষের আয়ের মধ্যে ফারাক কমেছে। পরিবারের অন্য উপার্জনকারীদের এ সময়ে গড়ে ২৩৯ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। জুনে যা ছিল ২৩৪ ঘণ্টা। আয়ের তথ্যে দেখা যায়, পরিবারের অন্য উপার্জনকারীদের গড় আয় ১০ হাজার টাকা। জুনে যা ছিল ৯ হাজার টাকা। এদের মধ্যে নারীদের গড় আয় ১০ হাজার টাকা এবং পুরুষদের গড় আয় ৯ হাজার টাকা।