ভোলায় ঝড়ে ডুবে গেছে পন্টুন : প্লাবিত ৪০ গ্রাম

ভোলায় গত বুধবার নিম্নম্নচাপের প্রভাব ও ঝড়ের তা-বে উত্তাল মেঘনার আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে গেছে ইলিশা লঞ্চঘাটের পন্টুন। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল। একই সঙ্গে ভোলা-ঢাকা রুটে কর্ণফুলী-১৪সহ বেশ কয়েকটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে। অপরদিকে শহর রক্ষাবাঁধের ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে পারেন নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ এ কাজ করতে যেখানে একযোগে দুই শতাধিক শ্রমিক প্রয়োজন সেখানে মাত্র ২০-২৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। অপরদিকে ইচ্ছে করেই পানি প্রবেশ বন্ধ করছে না পাউবো। এমন বিষয় স্বীকার করেন ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ধসে যাওয়া ৫০ মিটারের মধ্যে ৫ মিটার এলাকা বন্ধ করা হয়নি। ফলে ওই স্থান দিয়ে জোয়ারের সময় পানি প্রবেশ করছে। আশপাশ বন্ধ করার পর ওই স্থান বন্ধ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অপরদিকে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, পানি চাপ থাকায় তারা কাজ শেষ করতে পারছেন না। চাপ একটু কমে গেলে ধসে যাওয়া অংশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। এদিকে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। অপরদিকে গত বুধবার দুপুর ৩টায় ইলিশা লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পন্টুন পানিতে ডুবে আছে।

ঘাট ইজারাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক সরোয়াদ্দি মাস্টার জানান, এই ঘাটে প্রয়োজন গ্যাংওয়ে যুক্ত পন্টুন। তা দেয়া হয় নি। ফলে কোটি টাকা মূল্যের নতুন পন্টুন ঝড়ের তান্ডবের মুখে দুমড়ে মুচড়ে যায়। একই সঙ্গে এটি তলিয়ে যায়। এদিকে পন্টুন ডুবে যাওয়ার খবরে বিকালেই বিআইডব্লিউটিএ’র একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুর আড়াইটায় গ্রিণলাইন-২ মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের কারনে ৪ শতাধিক যাত্রী নামিয়ে দিয়ে খালি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে জানান ম্যানেজার রনি।

জেলায় পানির তোড়ে এদিকে ঝড়োবাতাসে মেঘনার অতি জোয়াওে জেলার অন্তত ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া প্লাবিত হয় ২১টি চর। পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

ভোলায় ঝড়ে ডুবে গেছে পন্টুন : প্লাবিত ৪০ গ্রাম

প্রতিনিধি, ভোলা

image

ভোলায় গত বুধবার নিম্নম্নচাপের প্রভাব ও ঝড়ের তা-বে উত্তাল মেঘনার আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে গেছে ইলিশা লঞ্চঘাটের পন্টুন। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল। একই সঙ্গে ভোলা-ঢাকা রুটে কর্ণফুলী-১৪সহ বেশ কয়েকটি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে। অপরদিকে শহর রক্ষাবাঁধের ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে পারেন নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ এ কাজ করতে যেখানে একযোগে দুই শতাধিক শ্রমিক প্রয়োজন সেখানে মাত্র ২০-২৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। অপরদিকে ইচ্ছে করেই পানি প্রবেশ বন্ধ করছে না পাউবো। এমন বিষয় স্বীকার করেন ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ধসে যাওয়া ৫০ মিটারের মধ্যে ৫ মিটার এলাকা বন্ধ করা হয়নি। ফলে ওই স্থান দিয়ে জোয়ারের সময় পানি প্রবেশ করছে। আশপাশ বন্ধ করার পর ওই স্থান বন্ধ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অপরদিকে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, পানি চাপ থাকায় তারা কাজ শেষ করতে পারছেন না। চাপ একটু কমে গেলে ধসে যাওয়া অংশ সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। এদিকে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। অপরদিকে গত বুধবার দুপুর ৩টায় ইলিশা লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পন্টুন পানিতে ডুবে আছে।

ঘাট ইজারাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক সরোয়াদ্দি মাস্টার জানান, এই ঘাটে প্রয়োজন গ্যাংওয়ে যুক্ত পন্টুন। তা দেয়া হয় নি। ফলে কোটি টাকা মূল্যের নতুন পন্টুন ঝড়ের তান্ডবের মুখে দুমড়ে মুচড়ে যায়। একই সঙ্গে এটি তলিয়ে যায়। এদিকে পন্টুন ডুবে যাওয়ার খবরে বিকালেই বিআইডব্লিউটিএ’র একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুর আড়াইটায় গ্রিণলাইন-২ মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের কারনে ৪ শতাধিক যাত্রী নামিয়ে দিয়ে খালি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে জানান ম্যানেজার রনি।

জেলায় পানির তোড়ে এদিকে ঝড়োবাতাসে মেঘনার অতি জোয়াওে জেলার অন্তত ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া প্লাবিত হয় ২১টি চর। পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।