কালকিনির রাস্তা চষা ক্ষেত ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

রাস্তায় জমে থাকা কাঁদা-পানির চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার পূর্ব কয়ারিয়া গ্রামবাসী রাস্তায় ধান চারা রোপণ করে সংস্কার দাবি করেছেন। ওই গ্রামের একমাত্র ভরসা প্রধান এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া আজ পর্যন্ত এ০ই অবহেলিত গ্রামের কোন রাস্তাঘাট স্পর্শ করেনি।

স্থানীয় ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, ৫নং ওয়ার্ডের পূর্বকয়ারিয়া গ্রামের চৌধুরীহাট থেকে শিরাজ সরদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকেই নেই কোন সংস্কার।

আর বর্ষাকালে এ রাস্তার হাটু কাঁদায় চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই হাটু কাঁদার রাস্তা দিয়েই গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ যেতে হয়। জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার-হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়ে। যুগের পর যুগ এই গ্রামের মানুষ কষ্ট আর প্রচ- দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই জীবন পার করে আসছেন।

এছাড়া কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কারণ বর্ষাকালে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন করা যেন অসম্ভব এক বিষয়। এ গ্রামের কোন জরুরী অসুস্থ রোগীকে গ্রামের এই মেঠোপথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার সংস্কারের দাবি জানালেও কোন কাজ না হওয়ায় এবার তারা রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মনের কষ্টে ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে গত বুধবার দুপুরে গ্রামবাসীরা কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে এই মৌন প্রতিবাদ জানান। অভিনব এই প্রতিবাদে অংশ নেন ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক মানুষ।

গ্রামের বাসিন্দা শিরাজ সরদার ও মো. ছিদ্দিকুর রহমানসহ অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, দেশের সব জায়গায় সবকিছু উন্নয়ন হলেও আমাদের অবহেলিত গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তাটির উন্নয়ন হয় না। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত নয় বলে আমাদের জীবন মান উন্নয়ন হচ্ছেন না।

কয়ারিয়া ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান নূরমোহাম্মদ মোল্লা বলেন, রাস্তাটি করার জন্য আমি সকল চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি সংস্কার কাজ করার জন্য সকল চেষ্টা করছি।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

কালকিনির রাস্তা চষা ক্ষেত ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

প্রতিনিধি, কালকিনি (মাদারীপুর)

image

রাস্তায় জমে থাকা কাঁদা-পানির চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার পূর্ব কয়ারিয়া গ্রামবাসী রাস্তায় ধান চারা রোপণ করে সংস্কার দাবি করেছেন। ওই গ্রামের একমাত্র ভরসা প্রধান এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া আজ পর্যন্ত এ০ই অবহেলিত গ্রামের কোন রাস্তাঘাট স্পর্শ করেনি।

স্থানীয় ও সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, ৫নং ওয়ার্ডের পূর্বকয়ারিয়া গ্রামের চৌধুরীহাট থেকে শিরাজ সরদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকেই নেই কোন সংস্কার।

আর বর্ষাকালে এ রাস্তার হাটু কাঁদায় চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই হাটু কাঁদার রাস্তা দিয়েই গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ যেতে হয়। জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার-হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়ে। যুগের পর যুগ এই গ্রামের মানুষ কষ্ট আর প্রচ- দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই জীবন পার করে আসছেন।

এছাড়া কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কারণ বর্ষাকালে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন করা যেন অসম্ভব এক বিষয়। এ গ্রামের কোন জরুরী অসুস্থ রোগীকে গ্রামের এই মেঠোপথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার সংস্কারের দাবি জানালেও কোন কাজ না হওয়ায় এবার তারা রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মনের কষ্টে ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে গত বুধবার দুপুরে গ্রামবাসীরা কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে এই মৌন প্রতিবাদ জানান। অভিনব এই প্রতিবাদে অংশ নেন ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক মানুষ।

গ্রামের বাসিন্দা শিরাজ সরদার ও মো. ছিদ্দিকুর রহমানসহ অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, দেশের সব জায়গায় সবকিছু উন্নয়ন হলেও আমাদের অবহেলিত গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তাটির উন্নয়ন হয় না। আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত নয় বলে আমাদের জীবন মান উন্নয়ন হচ্ছেন না।

কয়ারিয়া ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান নূরমোহাম্মদ মোল্লা বলেন, রাস্তাটি করার জন্য আমি সকল চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি সংস্কার কাজ করার জন্য সকল চেষ্টা করছি।