মহেশপুরে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট : দিশেহারা খামারি

ঝিনাইদহের মহেশপুরে গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে মহা বিপাকে পড়েছেন গবাদী পশু পালনকারীরা । সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গবাদী পশু পালনকারীদের বিচালির গাদা ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্যাভাবে গবাদি পশু রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। গো চারণ ভূমিগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় কাচা ঘাস, বিচালির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সাধারণ কৃষকসহ গরুর খামারিরা তাদের পশু নিয়ে মহা সঙ্কট ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গো-খাদ্যের সংকটের কারণে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার অনেক গরুর খামার। খৈল, ভুসি, বিচালি ও কাচা ঘাস সহ গো-খাদ্যের অন্যান্য দ্রব্যের বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা সংগ্রহে তারা হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে এসব খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কচুরি পানা, বিভিন্ন গাছের লতা পাতা সহ নানা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পশু। আর এতে করে পশুর চিকিৎসায় বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে তাদের। এসব কারণে কৃষকরা বাধ্য হচ্ছে তাদের পশু বিক্রি করে দিতে। গো- খাদ্যের সংকটের কারণে অনেক কৃষকের গরু পালন বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার একাধিক পশু পালনকারীরা জানান, গো-খাদ্যের মূল্য এতোটাই চড়া যা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। খাদ্য সঙ্কটের কারণে গাভীও কম দুধ দিচ্ছে বলে তারা জানান। এক মুষ্টি বিচালি ১০ থেকে ১২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছে, একটি গরুর প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫-৩০ মুষ্টি বিচালির প্রয়োজন। এছাড়ার বিচালির সাথে খৈল, ভূসি ও খুদের প্রয়োজন হয়।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০২০ , ৮ মহররম ১৪৪২, ২৮ আগস্ট ২০২০

মহেশপুরে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট : দিশেহারা খামারি

প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

ঝিনাইদহের মহেশপুরে গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে মহা বিপাকে পড়েছেন গবাদী পশু পালনকারীরা । সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গবাদী পশু পালনকারীদের বিচালির গাদা ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্যাভাবে গবাদি পশু রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। গো চারণ ভূমিগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় কাচা ঘাস, বিচালির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সাধারণ কৃষকসহ গরুর খামারিরা তাদের পশু নিয়ে মহা সঙ্কট ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গো-খাদ্যের সংকটের কারণে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার অনেক গরুর খামার। খৈল, ভুসি, বিচালি ও কাচা ঘাস সহ গো-খাদ্যের অন্যান্য দ্রব্যের বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা সংগ্রহে তারা হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে এসব খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কচুরি পানা, বিভিন্ন গাছের লতা পাতা সহ নানা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পশু। আর এতে করে পশুর চিকিৎসায় বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে তাদের। এসব কারণে কৃষকরা বাধ্য হচ্ছে তাদের পশু বিক্রি করে দিতে। গো- খাদ্যের সংকটের কারণে অনেক কৃষকের গরু পালন বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার একাধিক পশু পালনকারীরা জানান, গো-খাদ্যের মূল্য এতোটাই চড়া যা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। খাদ্য সঙ্কটের কারণে গাভীও কম দুধ দিচ্ছে বলে তারা জানান। এক মুষ্টি বিচালি ১০ থেকে ১২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছে, একটি গরুর প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫-৩০ মুষ্টি বিচালির প্রয়োজন। এছাড়ার বিচালির সাথে খৈল, ভূসি ও খুদের প্রয়োজন হয়।